#ওয়াশিংটন: তা, সত্যি বলতে কী, 'সারপ্রাইজ' কিন্তু হলিউডের এই গায়িকা এবং নায়িকা আমাদের হামেশাই দিয়ে থাকেন! জেনিফার লোপেজ নতুন কোনও গান গাইছেন, সেই গানের জন্য তৈরি হচ্ছে ভিডিও, আর সেখানে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো কোনও কিছুই নেই- এ কথা বিশ্বাস করা যায় না। বিপণনের কৌশলের এই যুগে নিজের অসামান্য গায়কির উপরেই সবটা ছেড়ে দিতে চান না তিনি।
এবং এ ক্ষেত্রে নানা ভাবে নিজের শারীরিক সম্পদকে ব্যবহার করে থাকেন জেনিফার। সারা শরীরে সবুজ আলোর মালা নিয়ে গানের ভিডিওয় আত্মপ্রকাশ করা বা চোখ ঝলসে দেওয়া সোনার কুচি অঙ্গে ধারণ করে দেখা দেওয়া- এ সব এখন নেহাতই ইতিহাস!
কাজেই শুক্রবার ২৭ নভেম্বর জেনিফারের যে গান মুক্তি পেতে চলেছে, যার নাম রাখা হয়েছে ইন দ্য মর্নিং, তার প্রচারের জন্য ন্যুড মেক-আপ আর সিক্ত দেহমহিমা অবলম্বনের পথে হাঁটলেন তিনি। সম্প্রতি জেনিফার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে এই গানের অফিসিয়াল কভার শেয়ার করে নিয়েছেন। সেখানেই তাঁকে দেখা গিয়েছে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনের দিকটা মাথায় রেখে স্ত্রী-অঙ্গ পুরোপুরি আড়াল করে রেখেছেন জেনিফার।
তিনি লিখেছেন- 'সারপ্রাইজ'! সন্দেহ নেই, তা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি! এর পরে শুক্রবার ২৭ নভেম্বর ইন দ্য মর্নিং মুক্তির খবরটা জানিয়েছেন গায়িকা এবং নায়িকা। তবে এত কিছুর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অশালীনতার অভিযোগ ওঠেনি। বরং গডেস, ক্যুইন, লেজেন্ড- এমন সব মহিমাণ্বিত বিশেষণে তাঁর সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ইউজাররা। সঙ্গে কৌতূহল জাগিয়েছে নায়িকার আঙুলে আলো-ছড়ানো হিরের আংটি। সূত্রে খবর- ওটার নেপথ্যে রয়েছেন জেনিফারের বাগদত্ত অ্যালেক্স রডরিগজ।
তবে শুধু ছবিই নয়, গানের কয়েক কলি আর নগ্ন ফটোশ্যুটের এক ভিডিও শেয়ার করতেও ভোলেননি জেনিফার! সমালোচকেরা অবশ্য একটা প্রশ্ন করতে ছাড়ছেন না! তাঁদের বক্তব্য- গানের প্রচারে কণ্ঠের বদলে শরীরকে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া?
এর উত্তরটা ২০২০ সালের ই পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে বছরসেরা পিপল আইকনের পুরস্কার নেওয়ার সময়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন জেনিফার। বলেছিলেন- একজন লাতিনা, তায় নারী হয়ে কোনও কিছু অর্জন করার লক্ষ্যে তাঁকে অনেক বেশি খাটতে হয়। এর জন্য তিনি যা করে থাকেন, তা অনেকেরই চোখ টাটায়! 'সারপ্রাইজ'-এর মতো এ কথাও যে সত্যি, না মেনে আর উপায় কী!