নাটকের মঞ্চে শিলাজিৎ

Last Updated:

নাটকের মঞ্চে শিলাজিৎ।

#কলকাতা: প্রথম নাটক ছ'বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'মুকুট'। রাজার ছোটছেলে 'রাজধর-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
তারপর?
"তারপর আবার কী? নাটক করেই চলেছি। রোজই তো নাটক করি!"
advertisement
দরাজ গলায় হাসলেন শিলাজিৎ।
এ'বছর এপ্রিল মাসে আবার ফিরছেন নাটকের মঞ্চে। 'বালাজি রঙ্গালয়' দল-এর নাটক 'অকল্প'। পরিচালক বালাজি। চিত্রনাট্য লিখেছেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। এক সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা মিলবে শিলাজিতের। তাঁকে কেন্দ্র করেই নাটকের প্লট গড়াতে থাকে। শিলাজিতের ভাষায়, "আমার চরিত্রের নাম শিবকুমার। খুব কড়া। জেলটাকে সে নিজের বাপের জেল মনে করে। মঞ্চে দেখা যায় এক নামী মধ্যবয়স্কা অভিনেত্রীকে ইন্টারোগেট করছে শিবকুমার। এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু তিনি কিছুতেই মানছেন না। গড়াতে থাকে চিত্রনাট্য। ভীষণ ডার্ক। বাস্তব, পরাবাস্তব আর কল্পনার মিশেল। এখানে সেঁজুতির অভিনয় করার কথা ছিল। ও কেন হঠাৎ ব্যাক আউট করল, বলতে পারব না। নাটকের মিউজিক করছে দিশারি।  প্রথম ক্লোজ ডোর শো হবে ২৪ মার্চ। মোহিত মঞ্চে। "
advertisement
এর আগে প্রায় ১০-১২ বছর আগে ব্রাত্য বসুর নাটক 'শহরইয়ার'-এ অয়িনয় করেছিলেন শিলাজিৎ। একটি ব্যান্ডের ফ্রন্ট-ম্যানের চরিত্রে। কিন্তু একটা শো-এর পরেই, চিত্রনাট্যে বদল আনেন ব্রাত্য। চরিত্রায়নও বদলে যায়।  তারপর আর সেই নাটকটি করেননি শিলাজিৎ।
sila
আমি বাজারদর অনুযায়ী চলি না। নিজের দর নিজেই ঠিক করি!
advertisement
মাঝে এই এতগুলো বছরে আর কখনও নাটকের অফার পাননি?
পেয়েছি। কিন্তু তাদের প্রোডাকশন নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত ছিলাম। তাই করিনি। গত ১০-১৫ বছর যাবৎ অনেক যাত্রার অফারও পেয়েছি। কিন্তু আমার বক্তব্য ছিল, যদি কেউ যাত্রার আসল ফ্লেভার  বযায় রাখতে পারে, তাহলেই করব! কিন্তু তেমনটা হয়নি।
হঠাৎ এই নাটকটা করতে রাজি হলেন কেন?
advertisement
প্রথমত, নাটকটা মূলত ক্লোজ-ডোর হবে। নাটক সবার জন্য নয়। দ্বিতীয়ত, চিত্রনাট্য ও ভাবনা দুর্দান্ত। একই সঙ্গে,  যে অর্থ পাচ্ছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমি বাজারদর অনুযায়ী চলি না। নিজের দর নিজেই ঠিক করি!
বছরে ক'টা শো করবেন?
৪০টা।
নাটক করা কী নিছক শখে?
আমার ছোটবেলা কেটেছে পুরো 'নৌটঙ্কি' এক পাড়ায়। জোড়াবাগান আর আহিড়িটোলার মাঝের অঞ্চল। আমাদের পাড়াতেই ৩-৪টে নাটকের দল ছিল, যারা বছরে নিয়মিত ২-৩ টে করে নাটক প্রযোজনা করত। কল-শোও পেত। আমার বাবা, অরুণ মজুমদার নাট্যকার ছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তীকে বাবাই প্রথম অভিনয়ের সুযোগ দেন। নাটকের নাম ছিল 'চারমূর্তি'। মিঠুন দা হয়েছিলেন 'টেনি দা'। মহাজাতি সদনে নাটকটা হয়েছিল। আমার তখন ৫-৬ বছর বয়স। বরাবরই নাটক দেখতে ভালবাসি। করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেরকম সুযোগ পাইনি।
advertisement
Facebook Facebook
ছবি আঁকা, গান, অভিনয় তো ছিলই! এবার জুড়ল নাটক। রিহার্সালও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে...
আমি তো বরাবরই অনেককিছু একসঙ্গে করি! এই সব ক'টা বিষয়ই আমার ভালবাসার। আবার একইসঙ্গে, শুধু ছবি আঁকা বাদ দিয়ে, বাকিগুলো কিন্তু নেশার সঙ্গে আমার পেশাও! পেশাতে বিভিন্নরকম অনির্দিষ্টতা থাকে। কাজেই সবসময়ই কিছু না কিছু করে যেতে হয়! প্রফেশনালি রোজগারটা তো করতে হবে!
advertisement
নিজের জন্য আর কোনও সময় বেঁচে থাকে?
রাতে ৭-৮ ঘণ্টার একটা সময় রয়েছে, যেটা শুধুমাত্র আমার! সেখানে আর কারওর প্রবেশ নেই! সেই সময় আমি যা ইচ্ছে করতে পারি! কোনও পর্ণোর্গ্রাফিক ছবি দেখতে পারি, বোকাবোকা গল্প পড়তে পারি অথবা  কোনও ওয়র্ড গেমও খেলতে পারি!
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
নাটকের মঞ্চে শিলাজিৎ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement