#কলকাতা: ঋতুপর্ণ ঘোষ। বাংলা সিনেমার শুধু নয়, বিশ্ব সিনেমায় তিনি একটা নাম। তাঁর পরিচালিত ছবি আজও সমান ভাবে চর্চিত। তবে ঋতুপর্ণ আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ২০১৩ সালের ৩০ মে তিনি আমাদের চিরদিনের মতো ছেড়ে চলে যান। অনেক কিছুই বলার ছিল ঋতুর। কিন্তু সময় তাঁকে এত তাড়াতাড়ি কেড়ে নেবে কে জানত। তাঁর মৃত্যু যেন আজও সকলের বুকে দগদগে ক্ষত। শোকের ছায়া নামে এই দিনটাতে গোটা বাংলায়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আজ শুধুই ঋতু।
মৃত্যুর আট বছর কেটে গেলেও তাঁকে ভোলা যে সম্ভব নয়। টলিপাড়ায় আজ সবার মনেই ঋতুর রাজত্ব। ছেড়ে গিয়েও যাওয়া হল না তাঁর। হয়ত বেঁচে থাকতে এত ভালোবাসা সবার থেকে পাননি তিনি। বাংলা ছবিকে ভেঙে গুড়িয়ে নতুন রূপ দেওয়ার পরেও সেই কদর কি করেছে কেউ। ঋতুই তাঁর ছবিতে বলেছিলেন 'কদর তো সবাই করে, কিন্তু ভালবাসে কে?" এই কথা সবটা হয়ত সত্যি না। কারণ সে সময়েও খুব কম হলেও ভালোবাসার মানুষ ছিলেন: যেমন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
ঋতুপর্ণ না থাকলে প্রসেনজিৎ সারা জীবন 'পসেনজিত' হয়েই থেকে যেতেন। ঋতু চিনতেন খাটি হীরে। প্রসেনজিতের প্রতিভার সঠিক মুল্যায়ণ ঋতুপর্ণই করেছিলেন। বয়সে সামান্য বড় বুম্বা ও ঋতুর মধ্যে সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। একে অপরকে শুধু ভালোবাসতেন তা নয় শ্রদ্ধাও করতেন তাঁরা। প্রতিবারের মতো ঋতু মৃত্যুদিনে আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ।
View this post on Instagram
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে প্রসেনজিৎ ঋতুর উদ্দেশ্যে লিখলেন," ৮ বছর হয়ে গেছে তোর কোনো মেসেজ নেই, বকাঝকা নেই, সাক্ষাৎ হয় না, ঝগড়া হয় না, নতুন নতুন গল্প নিয়ে আলোচনা হয় না। কিন্তু তুই আছিস - আমাদের মনে, আমাদের কথাবার্তায় তুই চির বর্তমান। এই সময়টায় তোর থাকা খুব দরকার ছিল রে। ভালো থাকিস ঋতু।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।