সায়ক জানান, ‘‘বর্ষপূর্তির আয়োজন দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম।বাওয়ালি রাজবাড়ি ভাড়া করেছিল সাগ্নিক। এলাহি আয়োজন। কেকের ভিতরে ছিল দামি আংটি৷’’ প্রশ্ন এসেছিল সায়কের মনে৷ কোথা থেকে আসছে এত টাকা? কিন্তু পল্লবী যেহেতু খুবই ভাল বন্ধু, তাই তিনি আর জিজ্ঞাসা করেননি, এত টাকা কোথা থেকে আসছে।
পল্লবীর জন্য গয়না কিনতে যাওয়ার সময় সায়ককেই সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন সাগ্নিক। কিন্তু সায়কের সময় হয়নি। ফলে, সাগ্নিক সঙ্গে নেন ঐন্দ্রিলাকে৷ হাওড়া থেকে সাগ্নিকের গাড়িতেই আসেন ঐন্দ্রিলা৷ ঐন্দ্রিলার কথা অনুযায়ী সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না৷ ফলে অসংগতি ধরা পড়ছে আবারও৷ দুটি ঘটনা কোনওভাবেই মেলানো যাচ্ছে না৷মেয়ের মৃত্যুর পর পল্লবীর পরিবারের পক্ষ থেকে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। দফায় দফায় সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদের পর, গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন : দুর্নীতি মামলার জের! লালুপ্রসাদ যাদবের ১৬ ঠিকানায় একযোগে CBI তল্লাশি!
পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এখনও জ্বলজ্বল করছে প্রাণশক্তি ভরপুর এক জলজ্যান্ত মেয়ের বেঁচে থাকার মুহূর্তগুলি। যার বেশিরভাগেই তাঁর সঙ্গী সাগ্নিক। অগুণতি প্রেমের মুহূর্ত লেন্সবন্দি হয়েছে তাঁকে নিয়ে। সেসবই আজ মাত্র পঁচিশ বছর বয়সি এই ঝকঝকে প্রতিভাবান টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যুতে ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে৷ পল্লবী অভিনেত্রী হলেও সাগ্নিক আগাগোড়াই ইন্ডাস্ট্রির বাইরে। তিনি কী করতেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তাঁর বাবা সুভাষ চক্রবর্তী জানান, ‘অনলাইন’-এ কাজ করেন ছেলে। দেখা যাচ্ছে সাগ্নিকের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি রয়েছে ‘প্রাইভেট’ করা। অর্থাৎ তাঁর অনুমতি ছাড়া সেই প্রোফাইলের ছবি ভিডিয়ো দেখা যাবে না। তবে কী করে সাগ্নিকের এত বিলাসবহুল চালচলন ছিল সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷