আমন আলি থেকে বিক্রম ঘোষ, তিনদিন ধরে 'নাদ' ফেস্টিভ্যালে চাঁদের হাট

Last Updated:

ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পন্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসেছিল "নাদ"-এর আসর। গোটা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ।

News18
News18
কলকাতা: সঙ্গীতের আসর কলকাতায় নতুন নয়। কিন্তু ‘নাদ’ এমন এক অভিনব উচ্চমানের মনোজ্ঞ ফিউশন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর যেখানে শ্রোতারা বিরল যুগলবন্দির সুর-তাল-ছন্দে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পন্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসেছিল “নাদ”-এর আসর। গোটা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ।
‘নাদ’-এর বয়স মোটে চার। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের ঐতিহ্যে নতুন পালক। কিন্তু এই চার বছরেই কলকাতার মন জয় করে নিয়েছে এই অনুষ্ঠান। এবারে ২১ থেকে ২৩ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে বসেছিল ‘নাদ’-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে ছিল ফিউশন।  ‘নাদ’-এর প্রথম দিনে ছিল আমন আলি বঙ্গাসের সরোদ, তবলায়  অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়। কানায় কানায় ভর্তি সভাঘর, আমন আলি শুরু করলেন রাগ ললিতা দিয়ে।  এরপর আভরি, হংসধ্বনি, সরস্বতী শোনান। হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাঘর। আমন বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কলকাতায় আসছি। তবে বাবার মত কলকাতার মন জয় করতে পেরেছি কিনা জানি না। কলকাতার শ্রোতা সব সময় আমার কাছে স্পেশ্যাল।”
advertisement
advertisement
এছাড়া ছিল অদিতি মঙ্গলদাসের কত্থক, অজয় পহঙ্কার এবং অভিজিৎ পহঙ্কারের যুগলবন্দি ‘সাউন্ডস্কেপ’, একক হারমোনিয়ামে তন্ময় দেওচকে। এবারের উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ ছিল শেষদিনে বিক্রম ঘোষের ব্র্যান্ড নিউ “ট্রান্সফর্মশন”। তবলা, মৃদঙ্গম, ভায়োলিন, কিবোর্ডের মিশ্রনে এক অভিনব ফিউশন। উনি শুরু করেন রাগ ‘যোগ’ দিয়ে।’নাদ’ শেষ হয় বিক্রম ঘোষের ফিউশন ঝংকারে। বিক্রম ঘোষ বলেন, “ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা বদলাচ্ছে। রাগ একই রেখে পরিবেশনা যুগোপযোগী হয়ে উঠছে।” একঝাঁক তরুণ তুর্কিদের নিয়ে স্টেজে উঠেছিলেন তবলা মায়েস্ত্র বিক্রম ঘোষ।
advertisement
ভারতীয় বিদ্যা ভবন-এর তরফ থেকে জি ভি সুব্রহ্মমনিয়ম এবং বিক্রম ঘোষ দুজনেই চান কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে অন্য মাত্রা আনতে। বলা বাহুল্য, কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে ‘নাদ’ সেই নতুন পালক। জি ভি সুব্রহ্মমনিয়মের কথায়, “নাদ ধীরে ধীরে গোটা দেশেই একটা সাড়া ফেলেছে। দারুণভাবে মানুষের সাড়া পাচ্ছি। তিন দিন ধরে সভাঘর ছিল কানায় কানায় ভর্তি।”
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
আমন আলি থেকে বিক্রম ঘোষ, তিনদিন ধরে 'নাদ' ফেস্টিভ্যালে চাঁদের হাট
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement