Ravi Basrur: ধার মেটাতে কিডনি বিক্রি! কেজিএফ-এর সঙ্গীত পরিচালক রবি বাসরুর জীবন কাহিনী কাঁদাবে!

Last Updated:

Ravi Basrur: ধার মেটানোর জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন! কামারশালায় লোহা পিটিয়েই কাটছিল দিন। 'কেজিএফ' থেকেই বদলেছে সঙ্গীত পরিচালক রবি বাসরুর জীবন!

Ravi Basrur
Ravi Basrur
#কর্ণাটক: সদ্যই মুক্তি পেয়েছে 'কেজিএফ চ্যাপ্টার ২'। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই বক্স অফিসে দারুণ সফল। ছবির পরিচালক প্রশান্ত নীল। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন যশ, সঞ্জয় দত্ত, রবীনা ট্যান্ডন, শ্রীনিধি শেট্টি, প্রকাশ রাজের মতো অভিনেতারা। তবে এই ছবির সফলতার পরেই সামনে এসেছে এক করুণ কাহিনি। ছবির সঙ্গীত পরিচালক রবি বাসরুর জীবনের গল্প। যা জানলে চোখে জল আসতে বাধ্য। স্বপ্ন যদি সত্যি করতে হয়, তাহলে কতটা লড়াই এবং চেষ্টা থাকতে হয়, তাই যেন বলে রবি বাসরুর জীবনের গল্প।
কর্ণাটকের বাসরুর গ্রামে ১৯৮৪-এ জন্ম রবির। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই তাঁর জীবনে ছিল লড়াই আর লড়াই। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের গানের দল খুলে ভক্তিগীতির অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। ছোট থেকেই ছিল মিউজিকের প্রতি ভালবাসা। কিন্তু এই গানের দল বেশি দিন চলেনি। রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেই মাত্র ২০০ টাকা পকেটে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন রবি, মাত্র ১৭ বছর বয়সে। সেখানে একটি কারখানায় কাজ জোটে তাঁর।
advertisement
advertisement
সারাদিন ধরে লোহা পিটানোর কাজ করতেন তিনি। কিন্তু স্বপ্ন তাড়া করে বেরাচ্ছিল তাঁকে। এর পর চব্বিশ বছর বয়সে জমানো ও ধার দেনা করা টাকার বিনিময়ে পুরোনো হারমোনিয়াম, তবলা কিনে রওনা দিয়েছিলেন মুম্বাই, দু চোখে মিউজিশিয়ান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। তবে সেই দিনটা সঠিক ভাগ্য নিয়ে আসেনি রবির জন্য। যেদিন রবি মুম্বাই পৌঁছান তার পরের দিনই মুম্বাই সিরিয়াল রেল ব্লাস্ট হয়। হারমোনিয়াম, তবলা সমেত স্টেশনে ঢাউস ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে থাকা রবিকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। পরে রবি ছাড়া পেলেও তাঁর সেই ব্যাগ আর ফিরে আসেনি। সমস্ত আশা আকাঙ্খা স্বপ্ন একটা মুহূর্তে ধুলিসাৎ হয়ে যায়। কর্ণাটকে ফিরে যাওয়ার ভাড়া টুকুও হাতে ছিল না। অনেক কষ্ট করে কিছুদিন পর বাড়ি ফেরেন।
advertisement
বাড়ি ফিরেই পাওনাদারেরা তাগাদা দিতে থাকে। সেই সঙ্গে পরিবারের দায়িত্ব‌ । যদিও বাসরুর দাদা তাঁকে কিছুটা সাহায্য করতেন। তিনি চাইতেন ভাই সঙ্গীত নিয়েই কিছু করুক। সে সময় বাসরুর হাতে সম্বল বলতে পারিবারিক কামারশালা ‌। কিন্তু ততদিনে বাজারে তাঁর বেশ ধার দেনা। কামারশালার রোজগারে কিছুতেই সম্ভব না তা শোধ করা। সে সময় নিজের কিডনি বিক্রির জন্য হাসপাতালেও গিয়েছিলেন পরিচালক। যদিও শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল বুঝে ফিরে আসেন। কিডনি বিক্রি করা হয় না। তখন থেকেই মনে জেদ নিয়ে ফের নতুন করে মিউজিক নিয়েই কাজ করার কথা ভাবেন। । তবে আর মুম্বইয়ে তিনি আর যাননি। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিই বেছে নেন কাজ করার জন্য।
advertisement
ছোটোখাটো কাজ করতে করতে হাতে কেজিএফ আসে। কেজিএফ থেকেই রবির বলিউডে কাজ করার স্বপ্নও সফল হয়।‌ হাতে আসে সলমান খানের 'অন্তিম দ্য ফাইনাল ট্রুথ'। তারপর কেজিএফ টু।‌ নায়ক ও ডাইরেক্টরের সাথে রবি বাসরুরকে নিয়েও চলছে চর্চা। জুটছে প্রশংসা।‌ তবে এত নাম-যশের পরেও বদলাননি একটুও‌। এখনও রবি বাসরুরে গেলে বাড়ির কামারশালায় লোহা ঠোকেন। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করে লিখেছিলেন, 'আজ গোটা দিনে ৩৫ টাকার কাজ করলাম'। তবে জানেন কী বাসরুর রবির সারনেম নয়, গ্রামের নাম। নিজের নামের পরে রবি নিজের গ্রামের নামটাই ব্যবহার করেন। তিনি রবি বিশ্বকর্মা নয়, লোকজন রবি বাসরুর নামেই তাঁকে চেনে‌। নিজের সঙ্গে সঙ্গে ছোট্ট গ্রামটাকেও সকলের সামনে এনেছেন তিনি। এমনকি করোনা কালেও গোটা সময় তিনি কামারশালাতেই কাজ করেছেন।  বাসরুরের এই ভিডিও এখন ভাইরাল।
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Ravi Basrur: ধার মেটাতে কিডনি বিক্রি! কেজিএফ-এর সঙ্গীত পরিচালক রবি বাসরুর জীবন কাহিনী কাঁদাবে!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement