অঞ্জলি না কি সাংবাদিক! পরিবারের সঙ্গে প্রথম আলাপে এমন কেন বলেছিলেন সচিন?

Last Updated:

প্রথমবার বিমানবন্দরেই অঞ্জলির সঙ্গে দেখা হয় সচিনের। তখন সচিনের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর।

#মুম্বই: মাস্টার-ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ব্যাট হাতে বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলারদের তুলোধোনা করেছেন। তবে মাঠের বাইরে সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক বাজায় রাখেন সচিন। ভক্ত থেকে শুরু করে বিরোধী ক্রীড়ামহল- সকলের মনেই তাঁর জায়গাটা একেবারে আলাদা। তবে শুধু ২২ গজেই নয়, বৈবাহিক জীবনেও এক-একটা বছর বেশ সুখে-দুঃখে স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকরের (Anjali Tendulkar) সঙ্গে পার করে ফেলেছেন তিনি। এবার স্ত্রী অঞ্জলির সঙ্গে তাঁর ২৬ তম বিবাহ বার্ষিকী পালন করলেন লিটল মাস্টার।
প্রথমবার বিমানবন্দরেই অঞ্জলির সঙ্গে দেখা হয় সচিনের। তখন সচিনের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। ইংল্যান্ড সফর শেষে তখন তিনি ভারতের মাটিতে ফিরছিলেন। অন্য দিকে মুম্বই বিমানবন্দরে মা’কে নিতে গিয়েছিলেন অঞ্জলি। সচিনই ছিলেন সেই ক্রিকেটার যিনি সব চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তাই তত দিনে মোটামুটি সকলে কাছেই তিনি চেনা। সেখানেই সচিনের অটোগ্রাফ নিতে যান অঞ্জলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সে দিন আর নেওয়া হয়নি অটোগ্রাফ। তবে নাছোড়বান্দা অঞ্জলি কোনও ক্রমে জোগাড় করে ফেলেন সচিনের ফোন নম্বর। তখন থেকেই শুরু হয় আলাপচারিতা।
advertisement
ব্যাট হাতে ২২ গজে কাঁপন ধরালেও ব্যক্তিগত জীবনে বেশ লাজুকে এবং চাপা স্বভাবের ছিলেন সচিন। তবে সেই সঙ্গে পরিকল্পনা বানাতে বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে যখন সচিনের বায়োগ্রাফি ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ (Playing It My Way) প্রকাশ পায় তখন অঞ্জলি বর্ণনা করেন, মাস্টার-ব্লাস্টার যখন তাঁকে তাঁর বাড়িতে ডাকেন তখন পরিবারের লোকজনের সামনে তিনি কী ভাবে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। সচিন কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন এবং তিনি চাননি যে তাঁর বাবা-মা এই মেয়েটির বিষয়ে কিছু অনুসন্ধান করুন।
advertisement
advertisement
এর পর কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার একটি পরিকল্পনা করেন এবং অঞ্জলিকে তাঁর পরিবারের সামনে একজন সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় করান। অঞ্জলি, যিনি পেশায় একজন ডাক্তার, সচিন তাঁকে সাংবাদিকের মতো আচরণ করতে বলায় তিনি সালোয়ার কামিজ পরেই এসেছিলেন।
অঞ্জলি আরও জানান, ফোন কল ব্যয়বহুল এবং সোশ্যাল মিডিয়া তেমন একটা সক্রিয় না থাকার কারণে সচিনের সফরকালে তিনি কী ভাবে তাঁকে চিঠি লিখতেন। সচিন-পত্নী আরও যোগ করেন, কেবল কয়েক মিনিট সচিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি তার কলেজ থেকে অনেক দূরে হেঁটে হেঁটে একটি ফোন বুথে যেতেন। কিন্তু পরে তাঁরা টেলিফোনের বিল বাঁচানোর জন্য চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/ক্রিকেট/
অঞ্জলি না কি সাংবাদিক! পরিবারের সঙ্গে প্রথম আলাপে এমন কেন বলেছিলেন সচিন?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement