প্রসেনজিৎ-অরিন্দম শীল সবপক্ষের মতামত , বাংলা সিনেমার উন্নতিতে এল নানা প্রস্তাব

Last Updated:

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি এই শিল্পের উত্থান-পতন দেখেছি কিন্তু আমি মনে করি এখন বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে যেতেই হবে যে কোনও উপায়ে।’’

 Discussion on bengali cinema
Discussion on bengali cinema
#কলকাতা: বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একটি আলোচনার আয়োজন করল 'ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি অফ কমার্স'৷ এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের প্রয়াস। বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে মতামত প্রদর্শন ও আলোচনার জন্য সম্প্রতি আয়োজন করেছিল একটি আলোচনা সভার। টলিউডে প্রতিভার কোনো অভাব না থাকা সত্বেও বিভিন্নক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে ইন্ডাস্ট্রি যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সিনেমার বিষয়বস্তু ,পরিকাঠামো, বাজেট ও দর্শকের বাংলা সিনেমার প্রতি আগ্রহ ইত্যাদিও।
এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সুরকার বিক্রম ঘোষ, পরিচালক ও লেখক অরিজিৎ বিশ্বাস, অভিনেতা-পরিচালক ও প্রযোজক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তিনবার জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী এবং আইসিসির বিনোদন বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারপার্সন অরিন্দম শীল। এছাড়াও ছিলেন আইসিসির সভাপতি প্রদীপ সুরেখা ও আইসিসির প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় বুধিয়া। আলোচনার শুরুতে  প্রদীপ সুরেখা বলেন, "বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির শুধুমাত্র বিনোদনই নয় কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করতে হবে। সামগ্রিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলার বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষাতেও তুলে ধরতে হবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে।"
advertisement
advertisement
আইসিসির বিনোদন বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারপার্সন অরিন্দম শীল বলেন, "বর্তমানে বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক উন্নতির জন্য সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি কমিটি তৈরি করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশের সরকার একজোটে কাজ করলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভাল করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা এখানে আবশ্যক কারণ বাংলাদেশে প্রতিভার কোনো অভাব নেই এবং সেই জন্যে 'হাওয়া'-এর মতন একটি সিনেমা বানাতে তাঁরা সক্ষম হয়েছে। আমাদের  কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতাও এখানে প্রয়োজন কারণ বিনিয়োগের পরিমাণ অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির চেয়ে তুলনামূলক ভাবে কম। আগামী বছর দুই দেশের সহযোগিতায় আমরা একটি বড় প্রজেক্ট নিয়ে আসতে চলেছি এবং সর্বোপরি আমাদের মূল উদ্যেশ্য হল টিভি ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দর্শকে হলমুখী করা।"
advertisement
অভিনেতা-পরিচালক ও প্রযোজক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে বলেন, “তামিল এবং তেলেগু সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বহুবছর ধরেই প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু কন্নড় ও মালায়ালম ইন্ডাস্ট্রির বৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্য করা গিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। কয়েকবছর আগেও একটি কন্নড় সিনেমার গড়ে বাজেট ছিল সাড়ে সাত লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫-২৫ কোটি টাকা, কিন্তু বাংলার বাজেট এখনও আগের মতোই রয়ে গেছে। অ্যাম্যাজন প্রাইম, নেটফ্লিক্সের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলি বাংলা কন্টেন্টের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এই সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের সকলকে একত্রে লড়তে হবে এবং যার জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগের কারণ প্রতিভার অভাব এখানে নেই। বিনিয়োগের ওপর লাভের ব্যাপারে ভাবতে হবে এবং সেইজন্য সিনেমার বিষয়বস্তুর ওপর নজর দেওয়া দরকার।"
advertisement
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি এই শিল্পের উত্থান-পতন দেখেছি কিন্তু আমি মনে করি এখন বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে যেতেই হবে যে কোনও উপায়ে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক কাজ হচ্ছে কিন্তু আলোচনা করে ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক উন্নতির দরকার আছে আরও বেশি করে যা একটি মাত্র সন্ধ্যায় শেষ করা সম্ভব নয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এই কাজে এবং দর্শকের মন জয় করতে হবে। আমার ধারণা সিনেমা বানানোর সব উপাদান ও বিষয়বস্তু আমাদের কাছে রয়েছে এবং এখন দরকার শুধু দর্শকের কাছে সঠিকভাবে সেগুলিকে প্রদর্শন করা।"
advertisement
অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী বলেন, “চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা আছে এবং আমাদের ভালো সিনেমা বানানোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে প্রথমেই লাভের কথা না ভেবে, কারণ দীর্ঘমেয়াদে ভালো সিনেমা সফল হবেই। বাংলা সাহিত্যের এক অদ্ভূত ধনভাণ্ডার রয়েছে আমাদের কাছে এবং সেই সমস্ত দর্শকের কাছে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।"
সঞ্জয় বুধিয়া অধিবেশনের শেষের দিকে বলেন, “এই অধিবেশনটির মাধ্যমে আমরা অর্থাৎ আইসিসি বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে তুলে ধরার জন্য বাণিজ্য এবং সৃজনশীলতাকে একত্রিত করতে চাই। এর জন্য একদিন পর্যাপ্ত নয় কখনই এবং এটি সবেমাত্র একটি সূচনা। এই ধরণের আলোচনা অদূর ভবিষ্যতে আয়োজন করার প্রয়াস সর্বদা জারী থাকবে।"
advertisement
Manash Basak
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
প্রসেনজিৎ-অরিন্দম শীল সবপক্ষের মতামত , বাংলা সিনেমার উন্নতিতে এল নানা প্রস্তাব
Next Article
advertisement
Durga Puja 2025: শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
  • চোখের দৃষ্টিতে যাঁদের শুধুই অন্ধকার, তাঁদের জন্য অনুভূতিই সব। শারদোৎসবের আমেজ-উদ্দীপনায় তাঁরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ।

VIEW MORE
advertisement
advertisement