জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ, মেহমুদ-এর এই পাঁচ ছবি না দেখলে বলিউড দেখা বৃথা!

Last Updated:

চার দশক ধরে প্রায় ৩০০টি সিনেমা করেছেন এই কিংবদন্তী শিল্পী।

#মুম্বই: মাস্টারজি হোক কিংবা খান্না। 'হম কালে হ্যায়' কিংবা 'এক চতুর নার'। এই মানুষটার অভিনয় আজও ভুলতে পারেননি ভারতীয় দর্শক। তাঁর কমিক টাইমিং, অনবদ্য অভিব্যক্তি বার বার সিনেপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে। মেহমুদ। ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা এই কমেডিয়ানের আজ জন্মদিন। 'কিসমত' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে যাঁর অভিনয় শুরু। তার পর চার দশক ধরে প্রায় ৩০০টি সিনেমা করেছেন এই কিংবদন্তী শিল্পী।
সেই সময়ে একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল। বলা হত, মেহমুদ যে সিনেমায় অভিনয় করতেন, সেই সিনেমায় না কি অন্য হিরোরা অভিনয় করতে চাইতেন না। কারণ তাঁরা জানতেন মেহমুদ অভিনয় করলে তাঁদের চরিত্রগুলি চাপা পড়ে যেতে পারে। আসুন, আজ ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে দেখে নেওয়া যাক মেহমুদের সেরা পাঁচটি সিনেমার তালিকা।
পড়োসন (১৯৬৮)
advertisement
advertisement
এই সিনেমার সহ প্রয়োজক ছিলেন মেহমুদ। সিনেমায় তিনি সায়রা বানু অর্থাৎ বিন্দুর দক্ষিণ ভারতীয় গানের শিক্ষক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। মাস্টার পিল্লাই বা মাস্টারজির এই অভিনয় আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা গান 'এক চতুর নার' এই সিনেমারই। ভোলা (সুনীল দত্ত) ও বিদ্যাপতির (কিশোর কুমার) সঙ্গে মাস্টারজির সেই আইকনিক গানের লড়াই আজও ভোলা যায় না।
advertisement
ভূত বাংলা (১৯৬৫)
এই সিনেমায় পরিচালক হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন মেহমুদ। তৎকালীন সময়ে দর্শকদের একটু অন্যরকম স্বাদ দেওয়ার জন্য হরর-কমেডি ঘরানাকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। রঙ্গন বসুর সঙ্গে সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখার পাশাপাশি নিজেই প্রযোজনা করেছিলেন ছবিটি। এই সিনেমায় তনুজা ও নাজির হুসেনকে কাস্ট করেছিলেন মেহমুদ। এখানেই শেষ নয় । মেহমুদের হাত ধরেই 'ভূত বাংলা'-য় সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ডেবিউ করেন আর ডি বর্মণ।
advertisement
পেয়ার কিয়ে যা (১৯৬৬)
সে বছর এই সিনেমার জন্য সেরা কমেডিয়ান হিসেবে ফিল্মফেয়ার পেয়েছিলেন মেহমুদ। কিশোর কুমারের পাশাপাশি মেহমুদের কমিক টাইমিং আজও সিনেমাটিকে দ্বিতীয়বার দেখার জন্য বাধ্য করে। 'পেয়ার কিয়ে যা'-তে মেহমুদের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ওম প্রকাশ। ওম প্রকাশের সঙ্গে মেহমুদের মজার দৃশ্যগুলি আজও ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা কমেডি।
advertisement
বম্বে টু গোয়া (১৯৭২)
কেন্দ্রীয় চরিত্র খান্নার ভূমিকায় দেখা যায় মেহমুদকে। এই সিনেমায় বাস কনডাক্টর মেহমুদকে ভোলা বড়ই মুশকিল। চালকের ভূমিকায় তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন আনওয়ার আলি। সিনেমায় ভিলেনের রোলে দেখা গেছিল শত্রুঘ্ন সিনহাকে। অরুণা ইরানিকে সঙ্গে নিয়ে বম্বে থেকে গোয়া যাত্রা আর মেহমুদের অভিনয়ের মুন্সিয়ানা এই সিনেমাকে এক আলাদা পর্যায়ে নিয়ে গেছিল যার সামনে দাঁড়াতে পারেননি ছবির নায়ক অমিতাভ বচ্চনও। সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন এস রামনাথন।
advertisement
গুমনাম (১৯৬৫)
আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাস 'অ্যান্ড দেয়ার ওয়্যার নান; অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল এই সিনেমা। সিনেমার স্টারকাস্টও ছিল অনেক বড়। মনোজ কুমার, নন্দা, প্রাণ, হেলেন, মদন পুরির পাশাপাশি এই সিনেমায় মেহমুদের অভিনয় সিনেপ্রমীদের মন জয় করে নিয়েছিল। মেহমুদের লুকও ছিল বেশ মজাদার। হিটলারের মতো গোঁফ আর পরনে লুঙ্গি। চাকরের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় আর রফির গাওয়া 'হম কালে হ্যায় তো কেয়া হুয়া দিলওয়ালে হ্যায়' গানে নানা মজার দৃশ্যের জন্য আজও মেহমুদকে ভুলতে পারেননি ভারতীয় দর্শক।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ, মেহমুদ-এর এই পাঁচ ছবি না দেখলে বলিউড দেখা বৃথা!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement