Exclusive: ‘ইন্ডাস্ট্রির কেউ ১০ কেজি ওজন কমালেই ১০-১৫ টা সুযোগ পেয়েই যাবেন’, বিস্ফোরক অভিনেত্রী অদাহ শর্মা

Last Updated:

একেবারে মাস্টার স্ট্রোক খেলে ইনিংস শুরু। কিন্তু তারপর ম্যাচ জমতে সময় লেগে গেল অনেক। কখনও পরিস্থিতি, কখনও আবার নেপটিজম, তাঁর পথ আগলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তিনি ধৈর্য হারাননি। সম্প্রতি পরিচালক আবির সেনগুপ্তের সঙ্গে কাজ করেছেন 'সোলসাথী'-তে। অদাহ শর্মার অভিনয় জীবন মোটেও মসৃণ ছিল না। তবে তিনি থামতে শেখেননি। পেশার অনিশ্চয়তা, হতাশা, ক্ষোভ নিউজ 18 বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অদাহ।

প্রশ্ন- অদাহ, সম্প্রতি বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেন, যোগাযোগ কেমন করে হলো?
এটা একটু নট সো রিয়েল মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এমনটাই ঘটেছিল। আবির সেনগুপ্ত, আমাকে টুইট করেন। বলেন, 'একটা গল্পের জন্য আপনার কথা ভাবছি'। আইডিয়াটা শেয়ার করেন। আমার 'সোলসাথী'-র মূল ভাবনা দারুণ লেগেছিল। হিন্দি ছবিতে, যমজ কিংবা হমশাকল, এটাই হয়ে এসেছে। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে, আপনার আত্মা কিংবা অল্টার ইগো-কে আলাদা করে দেখানো হচ্ছে। দুটো চরিত্রই আমি করেছি। একেবারে অন্য রকম অভিজ্ঞতা।
advertisement
প্রশ্ন- আপনার কথা অনুযায়ী, এই ধরনের কনসেপ্ট আগে হয়নি। তাহলে এই ভাবনার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করলেন কী করে?
advertisement
এই ছবিটির সঙ্গে অনেক মহিলারা নিজের জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছেন । আসলে কী জানেন তো, প্ৰতিটা মেয়েই চায়, তাঁকে কেউ পছন্দ করলে তাঁর অন্তরটাকে পছন্দ করুক। বাহ্যিক দিকটা অস্থায়ী। সেটা দেখে কেউ বিচার করুক, তা কোনো মেয়েই চান না। কিন্তু সেটাই হয়ে থাকে। এই মানসিকতা পৃথিবীর সব জায়গাতেই রয়েছে। সব জায়গার মেয়েরা এটার মধ্যে দিয়ে যায়। সকলের কাছে এটা একটা পরিচিত অনুভূতি। আমারও তাই। ঘটনাটা বাস্তবিক নয়। তবে মূল আবেগটা খুব রিলেটেবল।
advertisement
প্রশ্ন- আপনার শুরুর দিকটা জানতে চাইবো। '1920'-র সময় আপনার বয়স খুব কম। সমালোচকরা ভীষণ প্রশংসা করেছিল আপনার। ছবি পাওয়ার জন্য খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছিল নিশ্চয়ই?
'1920'-তে আমি ভাল অভিনয় করেছিলাম বলার জন্য ধন্যবাদ। আর এখন তো স্ট্রাগল শব্দটার কপিরাইট-ই একজন নিয়ে নিয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোনও আউটসাইডার কোনো কষ্ট করেছে, বলে তো মনে হয় না। তাও এই নিয়ে মন্তব্য করে নতুন করে কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না।
advertisement
প্রশ্ন- এই ছবির কথা তো বলাই যেতে পারে। আপনি মার্শাল আর্টস জানতেন,বলে এই ছবি করতে সুবিধে হয়েছে নিশ্চয়ই?
একেবারে ঠিক বলেছেন। দেখলে বোঝা যায় না '1920'-তে ওই ঘোস্ট-এর অংশটা পুরোটাই অ্যাকশন সিন। আমি শুধু 'কম‍্যান্ডো'-তে অ্যাকশন করেছি, এমনটা নয় কিন্তু। আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি যে, আমি কেরিয়ার শুরু করেছি, এরকম একটা ছবি দিয়ে। '1920'-তে আমি অভিনেতা হিসেবে নিজের অনেকগুলো দিক দেখাতে পেরেছি। অনেকের তো গোটা জীবন পার হয়ে যায়, কিন্তু তাঁরা অভিনেতা হিসেবে কত কিছু করতে পারেন, তা পর্দায় দেখানো হয় না।
advertisement
প্রশ্ন- আপনি এই ছবি পেলেন কী করে? কারণ আমি যত টুকু জানি, আপনি প্রচুর অডিশন দিচ্ছিলেন, কিন্তু কোনো চরিত্রই পাচ্ছিলেন না। আপনার চুল কারলি। আপনি খুব বাচ্চা, বাচ্চা দেখতে, এই সব কারণের জন্য আপনাকে নাকোচ করা হচ্ছিল।
আপনি ঠিক জানেন। আসলে কী বলুন তো, কাউকে নাকোচ করার এই ধরণের কোনো কারণ হয় না। আপনি কাউকে নিতে চাইলে তাঁর কারলি চুল থাকলেও নেবেন। এগুলো মেক আপ দিয়ে ঢাকা কোনো ব্যাপার? ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এলে, আপনাকে যে অনেকেই নাকোচ করবেন, সেটা জেনেই আসতে হবে। বহিরাগতদের জন্য সত্যি খুব কঠিন। '1920'-র অডিশনে আমাকে পরিচালকের ভাল লেগেছিল, আমি ভাগ্যবান।
advertisement
প্রশ্ন- এত প্রমিসিং ডেবিউ, তারপর কী ভুল হল? হিট ছবির অংশ হতে পারলেন না কেন? 'ফির' নামে একটি হরর ছবি করেছিলেন, '1920'-র পর। সেটাই কি ভুল হয়েছিল?
ভুল-ঠিক জানি না। আমি বিক্রম ভাটের সঙ্গে তিনটি ছবির চুক্তি করেছিলাম। তাই 'ফির'-এ অভিনয় করতে হয়। কিন্তু ছবিতে আমি অতিথি শিল্পী ছিলাম। ১০ দিনের জন্য মাত্র শ্যুট করেছিলাম। এই ছবি, মুক্তি পাওয়ার আগেই অনলাইনে লিক করে যায়। এই ঘটনা বক্স অফিসে প্রভাব ফেলেছিল। এটাও 'ফির' না চলার একটা কারণ। আমারও কিছু সমস্যা রয়েছে।
advertisement
প্রশ্ন- সেটা কেমন?
আমি খুব একটা, সকলের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারি না। মাত্র তিনটে নেটওয়ার্কিং সাইটে অ্যাকাউন্ট আছে। আমি নাচ, মার্শাল আর্টস জানি সেটাই কেউ জানতেনই না। আমি নিজের প্রচার মোটেও করতে পারি না। ইনস্টাগ্রাম হওয়ায় নিজের ট্যালেন্ট দেখানোর একটা জায়গা পেয়েছি।
প্রশ্ন- আপনি তো দারুণ নাচ জানেন। জ্যাজ, ব্যালে ও বেলি ডান্সের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
ক'জন জানেন বলুন তো সে কথা? ছবিতে নাচ করার সুযোগ কোথায় পেয়েছি। কিন্তু গত বছর একটি তামিল ছবি করলাম, প্রভুদেবা স্যার-এর সঙ্গে। ছবিতে স্যার এর সঙ্গে ডান্স করার, সুযোগ পেয়েছি। গানটা দীর্ঘ দিন চার্ট বাস্টার ছিল। এই সুযোগ, আমার কাছে চাঁদ পাওয়ার চেয়ে কম কিছু নয়।
প্রশ্ন- একটা অন্য প্রশ্ন করবো, 'হাসি তো ফাসি' করলেন কেন? মানে আপনি জানতেন মুখ্য চরিত্র আপনি  নয়, তাও কেন? শুধু বড় ব্যানার বলে?
এটা পুরোনো ক্ষত। ছবিটা নিশ্চয়ই দেখেছেন। আমার স্ক্রিন টাইম কিন্তু বাকি দুজনের সমান। চিত্রনাট্য শোনার সময়, গল্পটা পুরোপুরি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ছিল। ছবির প্রচার যেমন হয়। দর্শক ছবিটাও সেই চোখে দেখতে শুরু করে।
প্রশ্ন- আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল?
প্রোমোশনে আমাকে রাখাই হয়নি। আমাকে বলতে বারণ করা হয়েছিল যে, আমি এই ছবিতে আছি। কোথাও সাক্ষাৎকার দিতেও বারণ করা হয়েছিল। একজনকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না যে সে ছবিতে আছে। অন্য দুজন ছবির প্রচার করে চলেছে। দর্শক তো ভাবেনই যে, এটা পরিণীতি-সিদ্ধার্থের ছবি। ছবি মুক্তির পর দেখা গিয়েছে, এই ছবিতে আমি আছি।
প্রশ্ন- আপনি প্রতিবাদ করেননি? নিদেনপক্ষে প্রশ্ন করেননি?
না করিনি। আমি মনে করি যদি কোনো ছবি করতে রাজি হই, তবে প্রযোজকের কথা আমাকে মানতে হবে। খারাপ লেগেছে, কিন্তু মেনে নিয়েছিলাম। সেই সময় আমি পুরি জগন্নাধের তেলেগু ছবির প্রস্তাব পাই। খুব বড় ছবি। আমার চরিত্রও বেশ ভাল। জগন্নাধ স্যার আমাকে দিয়ে ছবির প্রচার করিয়েছিলেন। খুব বিস্তারে প্রচার হয়েছিল। একই সময়ই 'হাসি তো ফসি' আর এই ছবিটা মুক্তি পায়। এই তেলেগু ছবি অসম্ভব সফল হয়েছিল। মনে হয়েছিল, সেই ছবিরই অংশ হই, যেই ছবি আমাকে চায়। জোর করে কোনো ছবির অংশ হয়ে কি লাভ? আপনিই বলুন। তা ছাড়াও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি পুরোটাই দর্শকের মতে চলে। বলিউডের মতো নয়।
প্রশ্ন- আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা শুনেই প্রশ্নটা করছি, নেপটিজম তাহলে রয়েছে বলিউডে? কী বলবেন?
কী বলি বলুন তো। হিন্দিতে একটা কথা আছে না মৌকা, আমাদের জন্য খুব কম। ইন্ডাস্ট্রির কেউ যদি হন, বেশি কিছু করতে হবে না। ১০ কেজি ওজন কমালেই ১০-১৫ টা সুযোগ পেয়েই যাবেন। তারপর হয়তো দর্শক আপনাকে নাকচ করতে পারেন। কিন্তু আমরা যাঁরা বাইরে থেকে এসেছি, তাঁরা প্রথম সুযোগের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াই। একবার আপনি ভাল অভিনেতা এটা প্রমাণ হলে, কাজ পাওয়া যায়। আমিও যেমন অনেক ভাল পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
প্রশ্ন- কখনও মনে হয়েছে কোনো ক্যাম্পের অংশ হলে বেশি সুযোগ পেতেন?
পেতাম হয়তো। কিন্তু আমি নিজের দুনিয়াতেই থাকি। অভিনেতা আমি বদলাতে পারি। নিজের চরিত্র বদলে ফেলা তো সম্ভব নয়। আমার কাছে সব চেয়ে জরুরি, নিজে ভাল থাকা। যেটা মনে হয়, কোনো ক্যাম্পে নাম লেখালে, থাকতাম না।
প্রশ্ন- একদম শেষে জানতে চাইবে, আবার হরর ছবি করবেন না?
'1920' পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম,চট করে কোনো হরর করবো না। এই ছবিকে চাপিয়ে যেতে পারে, এমন কোনো হরর ছবি পেলে, তাহলেই করবো। কারণ দর্শক তুলনা টানবেন। নেক্সট লেভেলের কিছু পেলে তবেই করবো। এখন এরকম একটা ছবি পেয়েছি। ১০ বছর পর আবার হরর করছি। ছবির নাম 'স্ সাল কে বাদ'। আমার পর্দায় অনেক কিছু করার ইচ্ছে ছিল। সুযোগ পায়নি এত দিন। 'কম্যান্ডো' সিরিজে অভিনয় করার পর, ভাল কাজ আসা শুরু হয়েছে। আমার পরের ছবি 'ম্যান টু ম্যান'-এর পরিচালনাও আবির করছেন। যেখানে আমি একজন পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করছি। লভ স্টোরি, কিন্তু টুইস্ট রয়েছে। একটি ছেলের একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। বিয়ে করে তারা। বিয়ের পর ছেলেটি জানতে পারে সে একটি মেয়ে নয়, পুরুষকে বিয়ে করেছে।
ARUNIMA DEY
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Exclusive: ‘ইন্ডাস্ট্রির কেউ ১০ কেজি ওজন কমালেই ১০-১৫ টা সুযোগ পেয়েই যাবেন’, বিস্ফোরক অভিনেত্রী অদাহ শর্মা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement