ভুবনবাবুর স্মার্টফোন প্রাপ্তি উপলক্ষে উপলের গান মিশে গেল দেবাশিস দেবের কার্টুন ইলাস্ট্রেশনের সঙ্গে
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
Last Updated:
Bhubanbabur Smartphone : ছবির পরিচালক প্রণবেশ চন্দ্র এবং শান্তনু বসু। অনেক আগে বাংলা এবং হিন্দি ছবির টাইটেল কার্ডে কার্টুন,ক্যালিগ্রাফির নিদর্শন দেখা যেত। বলা চলে একটা প্রচলন ছিল।
কলকাতা : এই প্রথম বার উপলের গানে মিশে গেল দেবাশিস দেবের কার্টুন ইলাস্ট্রেসন ৷ ভুবনবাবুর স্মার্টফোন-এ গান বলতে একটাই, ছবির শীর্ষ সঙ্গীত। একটু অন্য ধারার ছবি, তাই শুরুটাও অন্য ধারার। টাইটেল কার্ড থেকে সেই অন্যরকম ব্যাপার শুরু। অলঙ্করণ-কার্টুন এর দুনিয়ায় দেবাশিস দেব এক বিশেষ নাম । ছবির শুরুতেই তাঁর হাতের জাদুর সঙ্গে মিশেছে উপল সেনগুপ্তের গান।
ছবির পরিচালক প্রণবেশ চন্দ্র এবং শান্তনু বসু। অনেক আগে বাংলা এবং হিন্দি ছবির টাইটেল কার্ডে কার্টুন,ক্যালিগ্রাফির নিদর্শন দেখা যেত। বলা চলে একটা প্রচলন ছিল। মূলত কমেডি মুভিতে এই রকম টাইটেল কার্ড চলত। তখন অবশ্য ডিজিটাল যুগ ছিল না।অন্য পদ্ধতিতে করা হত । ‘চলতি কা নাম গাড়ি’, ‘পড়োশন’, বাংলার ‘চারমূর্তি’, ‘বসন্ত বিলাপ’ প্রভৃতি ছবির টাইটেল কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল এই শৈলি। এমনকি সত্যজিৎ রায় নিজের টাইটেল কার্ড নিজে বানাতেন যাতে ক্যালিগ্রাফি, অলংকরণ সবই তিনিই সৃষ্টি করতেন ৷ সঙ্গে থাকত টাইটেল মিউজিক।
advertisement
ভুবনবাবুর স্মার্টফোন ছবির টাইটেল মিউজিক কম্পোজ করেছেন বিশিষ্ট গায়ক-সুরকার উপল সেনগুপ্ত। যিনি নিজে ছবিও আঁকেন, কাগজ কেটে বানিয়ে ফেলেন হরেক রকম জিনিস। প্রণবেশ চন্দ্র মূলত বিজ্ঞাপন জগতের মানুষ। গ্রাফিক আর্টিস্ট হিসাবে কাজ শুরু করে পরে বিজ্ঞাপন, স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি এমনকি ফিচার ছবি 'চার দিকের গল্প' তৈরি করেন।ভুবনবাবুর স্মার্ট ফোন তাঁর নির্দেশনায় দ্বিতীয় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়িতে গণপতি বিগ্রহ আনলেন রাজ, ওয়াকারের সাহায্যে ভাঙা পায়ে দাঁড়িয়েই অভ্যর্থনা-পুজো করলেন শিল্পা
সহ-পরিচালক এবং কাহিনিকার শান্তনু বসু। ভুবনবাবু একজন চাকরিজীবী। তাঁর জীবনে একটা স্মার্ট ফোন কী,কী পরিবর্তন নিয়ে আসে সেই নিয়েই গল্পের জাল বোনা হয়েছে। মুখ্য ভূমিকায় চিন্তা মুখোপাধ্যায়, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়,ঈশান মজুমদার, সিদ্ধার্থ ঘোষ প্রমুখ।
advertisement
আরও পড়ুন : রবীন্দ্রনাথ-কাদম্বরীর চোরা প্রেমের গল্প নিয়ে পর্দায় ফিরছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
উপল সেনগুপ্ত বললেন, "এই সময়ে দাঁড়িয়ে অ্যানিমেটেড টাইটেল কার্ড খুব একটা হয় না। আমার গানটা ছবির বিষয় নিয়ে একটু ধারণা দেবে। একটুকরো ঝলক বলা যায়। ছেলেবেলা থেকেই ক্যালিপসো মিউজিকের ভক্ত। হ্যারি বেলাফন্টের নানা গানের চলন মন টানে। চন্দ্রবিন্দুর গানেও এই ধারার সুর করেছি।ছবির মূল বিষয়কে মাথায় রেখে সুর আর গান তৈরি করেছি।প্রণবেশ খুব সুন্দর লিখেছেন।আমার খুব বড় পাওনা দেবাশিস দেব এর আঁকার সঙ্গে আমার গানের এই প্রথম মিল হল। ওঁর আঁকা কার্টুনের আমি একজন অনুরাগী।শীর্ষেন্দুর লেখার সঙ্গে ওঁর অলংকরণ বা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রের জুড়ি মেলা ভার।আমার সত্যি এটা একটা ভীষণ বড় প্রাপ্তি ৷’’
advertisement
প্রণবেশ চন্দ্র বললেন, " মজার ছবি তাই মজার টাইটেল কার্ড হওয়া উচিত।স্মার্ট ফোন নিয়ে গান লেখার সময়ই উপল দার কথা মাথায় আসে। উপলদা সুর তৈরি করে ফেলেন।এবার আসে দৃশ্যায়নের পর্ব। সহ-পরিচালক শান্তনু বসুর সঙ্গে ঠিক করি দেবাশিস দেবের কার্টুন ইলাস্ট্রেসন ব্যবহার করব।দেবাশিসদা ছবি দেখে তৈরি করেন টাইটেল কার্ড। ছবি দেখে গান মিক্সিং করেন অভিজিৎ (টেনি) রায়।"
advertisement
দেবাশিস দেব বললেন, " প্রণবেশ ঠিক কোন,কোন চরিত্রের কথা টাইটেল কার্ডে ভাবছেন জেনে নিয়ে কাজটা করি। তার আগে ছবিটা দেখে নিয়ে ছিলাম। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় বেশ কিছু কাজ করেছিলেন চণ্ডী লাহিড়ীকে দিয়ে । মৌচাক, ধন্যি মেয়ে, মন্ত্রমুগ্ধ ইত্যাদি। সেগুলোকে অ্যানিমেটেডও করা হয়েছিল। এই ছবির কাহিনি আগে গল্প আকারে প্রকাশিত হয় ৷ তারও অলঙ্করণ আমি করেছিলাম। টাইটেল কার্ড একটা ছবির ইমেজ ক্যারি করে।" ছবির মুক্তি আগামী ২ সেপ্টেম্বর।
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
August 31, 2022 9:49 AM IST