দাদার বিয়ের কার্ড দিতে গিয়েছিলাম সৌমিত্রদাদুকে : শন বন্দ্যোপাধ্যায়

Last Updated:

'এখানে আকাশ নীল' ধারাবাহিক বন্ধ হচ্ছে শুনে আকাশ ভেঙে পড়েছে শন অনুরাগীদের মাথায়!

শর্মিলা মাইতি
#কলকাতা: 'এখানে আকাশ নীল' ধারাবাহিক বন্ধ হচ্ছে শুনে আকাশ ভেঙে পড়েছে শন অনুরাগীদের মাথায়! শন-অনামিকার ব্লকবাস্টার হিট জুটিকে রোজ দেখতে পাবে না, এ যেন করোনা আবহের মতোই দম-বন্ধকরা! সদ্য শেষ এপিসোড শুট করেছেন শন। ইন্টারভিউ শুরু হতে বোঝা গেল শনের মনে বিশেষ দুঃখ-টুঃখ নেই, বরং বেশ চিলড আউট। অনেক দিন পর ফাঁকা সময় পেয়েছেন। মি-টাইম উপভোগ করছেন।
advertisement
"সিরিয়ালের জন্য রোজ শুটিং করতাম। সেই কাছের মানুষগুলোকে মিস করছি ঠিকই। কিন্তু একটু বিশ্রাম, একটু বাড়ির কাজ করা খুব দরকার ছিল। পেয়ে গেলাম সময়টা। আবার তো ফিরতেই হবে শুটিং ফ্লোরে।" নিজের ঘরের আরামচেয়ারে বসে বললেন শন।
advertisement
মেপে কথা বলা অভ্যেস করেছেন। যখন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলেন, তখন থেকে? হাসলেন শন, "হ্যাঁ। মনের ভিতরে মেপে নিই। আমি পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকতে চাই সব সময়ে! "
advertisement
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সদ্য করোনামুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আনুষঙ্গিক অসুস্থতার কারণে এখনও তাঁকে লড়াই করতে হচ্ছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে। প্রার্থনারত গোটা বিশ্বের বাঙালি। আপনি নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে ওঁর সান্নিধ্য পেয়েছেন। কবে প্রথম দেখা হয়েছিল?
"প্রথম দেখা যখন হয়, তখন আমি এত ছোট যে কিছুই মনে নেই। দিদার (সুপ্রিয়া) হাত ধরে গিয়েছিলাম ওঁর বাড়িতে এইটুকুই মনে আছে। ছোট থেকেই আমি খুব লাজুক স্বভাবের। সব সময়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকতাম। কোনওদিন কারুর সঙ্গে মুখ তুলে কথাও বলিনি। নিজের জগতে থাকতাম সব সময়ে। " বলতে থাকলেন শান।
advertisement
সেই লাজুক ছেলেটা হঠাৎ স্মার্ট, ড্যাশিং ডক্টর হয়ে গেল! কী করে এটা সম্ভব? "লজ্জা পাওয়া ব্যাপারটা যেহেতু আমার মজ্জায়, তাই আমার নিজেরই ভয় ছিল বড় হয়ে, এই গ্ল্যামার ওয়র্ল্ডে হয়ত নিজেকে মানিয়ে নিতেই পারব না। যাই হোক,  সৌমিত্রদাদুর সঙ্গে প্রথম যে মুহূর্ত টা আমার স্মরণে আছে, সেটা নেমন্তন্ন কার্ড হাতে করে। তখনও আমি লাজুকই ছিলাম। ক্লাস ইলেভেনে পড়ি তখন। দাদার বিয়ের কার্ড হাতে দিদার সঙ্গে গিয়েছিলাম সৌমিত্রদাদুর বাড়ি। মনে আছে, দিদাই নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আমি শুধু মাথা নিচু করে কার্ডটা দিয়ে এসেছিলাম তাঁর হাতে। আমার অবস্থা দেখে তিনি হেসেছিলেন। আজ দিদা নেই। সৌমিত্রদাদুর জন্য  প্রার্থনা করি, যেন তিনি ফিরে আসেন। বাংলা ছবির জগত চিরঋণী তাঁর কাছে। "
advertisement
সৌমিত্র-সুপ্রিয়া দুটি কোন ছবিগুলো আপনার প্রিয়?
"ওই জুটির ছবি আমি একটাও দেখিনি, অনেস্টলি। কিন্তু খুব মন দিয়ে দেখেছি 'অপুর সংসার'। এত সুদর্শন, দুর্দান্ত অভিনেতা সৌমিত্রদাদু! কী বডি ল্যাঙ্গোয়েজ! ওঁকে ওই ছবিতে সবচেয়ে ভাল লাগে।"
কখনও সুযোগ পেলে অপুর চরিত্রটা করবেন? " " দশ বার ভাবব। সৌমিত্রদাদু যেভাবে আইকন হয়ে গিয়েছেন সেই চরিত্রে, সেভাবে ফুটিয়ে  তুলতে কখনও পারব বলে মনে হয় না। তাই অনেক ভাবার পর হয়ত না-ই বলব। "
advertisement
শনের মুখে সেই লাজুক, মিষ্টি হাসি।
আর কোথাও লুকিয়ে আছে একটা না-বলতে-পারা নম্রভাব। গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা।
আজকের যুগের তারকাদের মধ্যে যা বিরল।
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
দাদার বিয়ের কার্ড দিতে গিয়েছিলাম সৌমিত্রদাদুকে : শন বন্দ্যোপাধ্যায়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement