Ankita Chakraborty: বন্ধুদের উপস্থিতিতে পাহাড়ে বিয়ে, তার পর অশান্তি! কী সমস্যার মুখোমুখি হন অঙ্কিতা

Last Updated:

Ankita-Prantik: কনে সিঁদুর পরায় বিশ্বাসী নন। কিন্তু বিয়েতে সিঁদুর পরতেই হল। কেন? অঙ্কিতা বললেন, ''আমার একদম ইচ্ছে ছিল না সিঁদুর পরার। আমি তো এ সবে বিশ্বাসীই নই। কিন্তু...।''

#কলকাতা: জানুয়ারি মাস। তায় আবার সিকিমের হাড়হিম করা ঠান্ডা। কিন্তু মানুষ তো চায়, বিয়ের দিনটা যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে। অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী এবং প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ঠিক করে সিকিম যাওয়ার টিকিট কেটে বন্ধুদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে সদলবলে রওনা দিলেন বিয়ে করতে। টলিউড তো দূরস্ত, দুই পরিবারের সদস্যদের কানেও খবর পৌঁছয়নি। অঙ্কিতা কেবল নিজের ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাবা-মা জানতেন, দুই ভাই-বোন আর তাঁদের বন্ধুরা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন। বিয়ে হল রীতি না মেনেই। কেবল শিবের মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করা। ব্যস, তার পর পার্টি। যদিও কনে সিঁদুর পরায় বিশ্বাসী নন। কিন্তু সিঁদুর পরতেই হল। কেন? অঙ্কিতা বললেন, ''আমার একদম ইচ্ছে ছিল না সিঁদুর পরার। আমি তো এ সবে বিশ্বাসীই নই। কিন্তু বন্ধুরা জোর করল, ছবি তুলবে বলে। তাই কেবল সিঁদুরদান পর্বটি পালন করেছি আমরা। কিছু মেনে নয়, কেবলই সিঁদুর পরে সেজেগুজে ছবি তুলব বলে।'' তার পর পার্টি। সে সব ছবি ভিডিও তো ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকে ভর্তি। কিন্তু তার পর কী হয়েছিল? কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি?
সেই উত্তর দেওয়ার আগে খানিক ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক। ছোটবেলায় যদি অঙ্কিতার ইচ্ছে হত, তিনি চুল কাটবেন। কাউকে কিছু না বলে পার্লার বা সেলুনে গিয়ে চুল কেটে আসতেন। তার পর বাড়ির লোককে জানাতেন। অভিনেত্রী হয়ে নাম করার পর যখন তাঁর ইচ্ছা হল, মুম্বইয়ে গিয়ে কাাজ করবেন, সটান মুম্বই চলে গেলেন। বাড়িতে জানত, কয়েক দিনের জন্য মেয়ে ঘুরতে গিয়েছে বা কোনও কাজ সেরে বাড়ি ফিরবে। কারও ধারণাই ছিল না যে তিনি মুম্বইয়ে নিজের একার সংসার পেতে ফেলেছেন। অনেক পরে সে কথা বাড়িতে বলেন। নিজের মতো করে জীবন যাপন করার জন্য তিনি অনেক লড়াই করেছেন, করে চলেছেন, হয়তো ভবিষ্যতেও করবেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত রাজনীতি থেকে সরে যেতে রাজি নন পর্দার 'ইন্দ্রাণী'।
advertisement
বিয়ের ক্ষেত্রেও সেই রীতিই মেনেছিলেন। বিয়ে মানে তাঁর কাছে চিরাচরিত ধারণা নয়। তাঁর স্বামীর প্রয়োজন নেই, এক জন বন্ধুর প্রয়োজন, যাঁকে তিনি ভরসা করতে পারবেন। প্রান্তিকও এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী বলেই তাঁরা এখন এক ছাদের তলায়। অঙ্কিতা বললেন, ''আমি জানি, আমি আমার বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। কিন্তু ইচ্ছে করে করিনি। মা-বাবার দিকটাও বুঝি, একমাত্র মেয়ে, তার বিয়ে নিয়ে হয়তো অনেক আশা ছিল। এও বুঝতাম যে, অনেকে এসে মা-বাবাকে নানা কথা বলছে আমাকে নিয়ে। সে সবও শুনতে হয়েছে ওঁদের। কিন্তু তাঁদের মেয়ে তো আচার-অনুষ্ঠান করে বিয়ে করতে চায়নি। একগুচ্ছ মানুষকে সন্তুষ্ট করার দায় ছিল না তাঁর। হ্যাঁ তবে, পরিবার, কয়েক জন আত্মীয়, ইন্ডাস্ট্রির কয়েক জন বন্ধু, তাঁদের খাওয়ানোর ইচ্ছে আমার আছে। তাই পরের বছর হয়তো আমরা আবার বিয়ে করব। আনুষ্ঠানিক ভাবে। কিন্তু আচার আচরণ মেনে নয়। কেবল খাওয়ানোর জন্য, ব্যস।''
advertisement
advertisement
অঙ্কিতা বিয়ে সারার পর বাবাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন। চমকে উঠেছিলেন তাঁর বাবা। বলেছিলেন, ''ও! তোরা ওই জন্য সিকিম গেলি!'' চুপ করে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বাড়ি ফিরে মাকে জানিয়েছিলেন। তখন তাঁরা বোঝেননি ঠিক কথা। কিন্তু সেই সমস্যাটুকুও কাটিয়ে উঠেছেন অঙ্কিতা। তাঁর মা-ববা আজ বোঝেন, তাঁদের মেয়ে তো এটাই চেয়েছিলেন।
advertisement
অভিনেত্রী চান, নিজের জীবন নিজের শর্তে বাঁচতে। একইসঙ্গে তিনি চান, আরও অনেক মেয়ে তাঁকে দেখে সাহস অর্জন করুন। উদবুদ্ধ করতে চান অঙ্কিতা। কালার্স বাংলায় তাঁর নতুন ধারাবাহিক 'ইন্দ্রাণী'র সাহায্যে সে কাজ আরও সহজ হবে বলে তাঁর ধারণা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Ankita Chakraborty: বন্ধুদের উপস্থিতিতে পাহাড়ে বিয়ে, তার পর অশান্তি! কী সমস্যার মুখোমুখি হন অঙ্কিতা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement