Ayushmann Khurrana Visits Kolkata | 'আমরা অনেক ধারণাই না বুঝে মেনে নিই, প্রশ্ন করি না': আয়ুষ্মান খুরানা

Last Updated:

Ayushmann Khurrana visits Kolkata | । অনুভব সিনহার 'অনেক' ছবির প্রমোশনে কলকাতায় আয়ুষ্মান খুরানা

#কলকাতা: সাত বছর আগে টানা শুটিং করেছেন এই শহরে। অনুভব সিনহার 'অনেক' ছবির প্রমোশনের আবার কলকাতায় ফিরে আসা। নিউটাউনের মিরাজ সিনেমা হলের সামনে গাদাগাদি ভিড়। ভিড় করেছেন কলকাতার বাঙালি মেয়েরা। আয়ুষ্মানকে দেখেই চিৎকার করে উঠলেন। ট্রেলার লঞ্চের পর নানা সামাজিক ইস্যু নিয়ে মুখোমুখি হলেন নিউজ ১৮ বাংলা ডিজিটালের।
প্রশ্ন: কলকাতা আপনার নিজের শহর নয়। কিন্তু এখনই যা দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে কলকাতার তাবড় স্টারদের থেকেও মেয়েমহলে বেশি ডিমান্ড আয়ুষ্মান খুরানা কেমন লাগছে ব্যাপারটা?
আয়ুষ্মান: (একগাল হাসি) সাত বছর আগে শুটিং করতে এসেছিলাম বহুদিন ধরে কাজ করেছি বাঙালি তারকাদের সঙ্গে। কো-স্টার বাঙালি হলে একটু আধটু বাংলাও শিখে নেওয়া যায়। সেটাও শিখেছিলাম বেশ মন দিয়ে। কিন্তু সাত বছর আগে তো, এখন প্র্যাকটিস নেই বলে আর বাংলা বলতে পারি না। কিন্তু তখনই দেখেছিলাম, কলকাতায় আমার অভিনীত ছবির বেশ কদর আছে। তখনই দেখেছিলাম, অনুরাগীদের ভিড়। এখন যখন আবার দেখছি তাঁরা একই ভাবে আমাকে মনে রেখেছেন, আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত। আমারও স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগছে। ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আমার আগামী ছবিটাও তাহলে তাঁরা দেখতে আসবেন আশা রাখি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন -মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য, মৃণালের খারিজের চরিত্ররা ফিরছে কৌশিকের পালান-এ
প্রশ্ন: তাহলে বাংলা ছাড়ার পর নিশ্চয়ই আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড হয়ে গেছে পুরো বিষয়টা!
আয়ুষ্মান: আউট অফ সাইট নিশ্চয়ই তবে আউট অফ মাইন্ড একেবারেই নয়।
প্রশ্ন: পরিচালক অনুভব সিনহার কিন্তু বাংলা ছবির অসম্ভব ভক্ত। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' এসে তিনি তার বক্তব্যে পরিষ্কার করে জানিয়েছেন। তখনই জানতে পেরেছিল সবাই, বাংলা ছবি নিয়ে তার গভীর জ্ঞান। আর এখানেও 'অনেক' ছবির ট্রেলারে শোনা যাচ্ছে নর্থ-ইস্ট বলতে 'পশ্চিমবঙ্গের 'ইস্ট সাইড' এর কথা বলা হয়েছে! একটুখানি হলেও বাংলার অনুষঙ্গ আছে।
advertisement
আয়ুষ্মান: পরিচালক হিসেবে ওঁর কোনো জুড়ি নেই। ইনফ্যাক্ট, ওঁর সঙ্গে কাজ করতে করতে বুঝতে পেরেছি, সব বিষয়ে জ্ঞান কতটা গভীর, অত্যন্ত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে তিনি যেভাবে চর্চা করেন, তা সত্যিই তার নিজস্ব ভাবনার প্রসারিত রূপ, নর্থ ইস্ট অর্থাৎ নাগাল্যান্ড-মণিপুর-আসাম এইসব জায়গাগুলি এখনও আড়ালে। তাদের রাজনৈতিক সমস্যার দিকগুলো ভালোভাবে উন্মোচিত নয়। এমনকি মিডিয়ার নজরেও সবসময় হাইলাইটেড হয় না। পরিচালক অত্যন্ত গভীরভাবে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন ভারতের বা ভারতীয়ত্বের আইডেন্টিটি কতখানি গভীরে, এবং একসঙ্গে কতখানি সুপারফিসিয়াল। আমার এখনই মনে পড়ছে যে আসামে এত বড় বন্যা পরিস্থিতি হয়ে গেল কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া আসামের বন্যা পরিস্থিতি কে অতটাও হাইলাইট করে নি যাতে মুম্বইয়ের লোক জানতে পারে, পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক। আমি কোন বিশেষ মিডিয়ার কথা বলছি না আমি একটা জেনারেল ট্রেন্ডের কথা বলছি। ভারতীয় মানসে প্রোথিত ধারণার উপর আঘাত হেনেছেন হাতুড়ি দিয়ে। কাকে বলব আমরা North Indian? কেন বলব north-east কেন বলব South, সব তো রিলেটিভ ব্যাপার।
advertisement
প্রশ্ন: হ্যাঁ, ট্রেলারে ঝলকেই দেখলাম প্রশ্নগুলো আপনি তুলেছেন।
আয়ুষ্মান: তুলেছেন পরিচালক। আমি তার দৃশ্যরূপ দিয়েছি। কারণ আমি মনে করি এই প্রশ্নগুলো ওঠা উচিত। আশা করি এই ছবির মর্ম উপলব্ধি করতে পারবে জনতা। গোটা ভারত বর্ষ। আমার তো এখন ইচ্ছে হচ্ছে এই পরিচালকের সঙ্গে প্রতিবছর কাজ করে চলার। সুযোগ পেলে সেটাই করব।
advertisement
প্রশ্ন: এত জোর দিয়ে বলছেন, অন্যান্য পরিচালকেরা তো রাগ করবেন! কলকাতায় আসার পর সুজিত সরকারের সঙ্গে দেখা হয়েছে? সুজিতদা তো এখানকার লোক!
আয়ুষ্মান: দেখা হয়নি সময়ের অভাবে। তবে বম্বেতে তো দেখাই হয়। আর আমার প্রথম ব্রেক যিনি দিয়েছেন তাঁকে তো সারাজীবন মনে রাখব। রাখতেই হবে। আর 'ভিকি ডোনর'-এর মতো ছবিতে আমি ব্রেক পেয়েছিলাম বলেই এতদূর এগোতে পেরেছি, 'গুলাবো সিতাবো' ছবিতেও আমার কাজ করার সুযোগ ঘটেছে। উনি যোগ্য মনে করেছেন তাই।
advertisement
আরও পড়ুন - 'কান'-এ ফের সব্যসাচীর শাড়ি! রাজকীয় লুকে মুগ্ধ করলেন অদিতি রাও হায়দারি
প্রশ্ন: নর্থ ইস্টে শুটিং করতে গিয়ে এমন কোনও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে?
আয়ুষ্মান: শুটিং করতে গিয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা হয়তো হয়নি। কারণ শুটিংয়েই পুরো মনোনিবেশ করতে হতো কিন্তু আমার কলেজ লাইফে আমি নর্থ ইস্ট থেকে আসা ছাত্রদের দেখেছি এবং তাদের প্রতি অন্যান্য ছাত্র দের মানসিকতাও দেখেছি। আমি নিজে তার সঙ্গে প্রচুর কথা বলে জানতে পেরেছি তাদের সমস্যার কথা এবং দুঃখের বিষয় দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার কোন সমাধান এর চেষ্টা করা হয়নি। সমাধান কোন পথে আসবে জানা নেই, সমস্যাটা এইভাবে জিইয়ে রাখার কোন মানে নেই। বাকিটা আপনারা ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন কি বলতে চাওয়া হয়েছে ভারতীয় কথাটার মানে খুঁজতে গিয়ে।
advertisement
প্রশ্ন: আপনি স্টিরিওটাইপ ধারণার কথা বলছেন। এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে আসে যে নর্থইস্ট থেকে আসা মানুষের ফিচার দেখে বিশেষ বিশেষ চাকরিতে বহাল করা হয় যেমন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আয়ুষ্মান: কোনও ধরনের স্টিরিওটাইপ-ই ভাল‌ নয়। আর এইভাবে মানুষের যোগ্যতা বিচার হয় না। শুটিংয়ের সময় সেখানকার মানুষ জনকে দেখে আমার নানা ধরনের অনুভূতি হয়েছে। ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন চিন্তা-ধারা কতটা স্বচ্ছ। তবু বিষয়টা কতটা জটিল করে রাখা হয়েছে। আমার চরিত্রের জন্যেও একটা মেন্টাল মেকওভার জরুরি ছিল, যেটার ব্যাপারে পরিচালক আমাকে পুরোপুরি গাইড করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। আমার‌ বিশ্বাস 'অনেক' ছবিটি অনেক ধারণাই পাল্টে দিতে পারবে।
শর্মিলা মাইতি
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Ayushmann Khurrana Visits Kolkata | 'আমরা অনেক ধারণাই না বুঝে মেনে নিই, প্রশ্ন করি না': আয়ুষ্মান খুরানা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement