মনেরও রোগ হয়, ৩ প্রয়াত মডেলের চরিত্রহননের বিরুদ্ধেও গর্জে ওঠেন ঐন্দ্রিলা

Last Updated:

ঐন্দ্রিলা যদিও কখনও পল্লবী, বিদিশা এবং মঞ্জুষার পদক্ষেপকে সমর্থন করতেন না। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে সেই মডেল এবং অভিনেত্রীদের চরিত্রের দিকে আঙুল তোলাকে সমর্থন করতেন।

#কলকাতা: দু'বার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়বার হার মানতে হল বটে। কিন্তু প্রচণ্ডভাবেই বাঁচতে চেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। জীবনের প্রতি তাঁর ভালবাসা যে নিদর্শন তৈরি করে দিল, তা আর কোনও দিনও মুছবে না। কিন্তু তা বলে অন্য কাউকে অপমান করতে রাজি ছিলেন না 'জিয়ন কাঠি'র নায়িকা। মতের সঙ্গে অমিল হলেই সে ভুল, এমন ধারণা পোষণ করতেন না ঐন্দ্রিলা। সে কথা একবার স্পষ্ট বলেছিলেন নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময়ে।
২০২২ সালের শুরুতেই অভিনয় জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। ১২ দিনের মধ্যে পর পর তিন জন তরুণী অভিনেত্রীর মৃত্যু হয় এই শহরে। প্রথমে পল্লবী দে, তার পর বিদিশা দে মজুমদার, শেষে মঞ্জুষা নিয়োগী। পুলিশের অনুমান, এই তিন মডেল এবং অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
সেই সময়ে নানা তর্ক বিতর্কে বারবার উঠে এসেছিল একটিই বিষয়বস্তু— এই প্রজন্মের অভিনেত্রী এবং অভিনেতাদের মানসিক অবসাদ। অনেকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের।
advertisement
advertisement
কিন্তু এই ঐন্দ্রিলা, যিনি তার আগে দু'বার ক্যানসার জয় করে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন, তিনি এই মানসিকতার বিরুদ্ধে গর্জন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এই প্রজন্মকে কাঠগড়ায় তোলার প্রবণতায় তিনি বীতশ্রদ্ধ। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
তিনি বলেছিলেন, "আমি তো বলতেই পারতাম, আমি শারীরিক যন্ত্রণাকে জয় করেছি, আর এই মেয়েরা কেবল মনের যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করে ফেলল? কিন্তু আমি সেটা কখনও বলতে পারি না। তার কারণ শরীরের মতো মনও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তার দিকে নজর দিতে হবে। যত্ন করতে হবে।"
advertisement
ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন, সেই সময়ে যে প্রবল নেতিবাচকতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে দূরে সরার জন্য কলকাতা ছেড়ে বহরমপুরে মা-বাবার কাছে চলে গিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথা বলেছিলেন ক্যানসারজয়ী নায়িকা।
advertisement
ঐন্দ্রিলা বলেছিলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে, কতটা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগে এই পদক্ষেপ করেছেন পল্লবী, বিদিশা এবং মঞ্জুষা। সেখানে তাঁদের মনের খবর না নিয়ে আমি কী ভাবে বলতে পারি যে, ‘মানসিক অবসাদ বড়লোকদের রোগ’ বা ‘এই প্রজন্মের এটাই দোষ’ ইত্যাদি? রোজ নানা জায়গায় মানুষের সাক্ষাৎকার দেখতে দেখতে অবাক হয়ে যাচ্ছি৷ সেই মানুষগুলিকে খুবই সম্মান করতাম। কিন্তু এখন শুধুই বিস্ময়!’’
advertisement
ঐন্দ্রিলা আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ভারতে মানুষ আজও মানসিক রোগকে নিয়ে অবহেলা করেন। ঐন্দ্রিলা যদিও কখনও পল্লবী, বিদিশা এবং মঞ্জুষার পদক্ষেপকে সমর্থন করতেন না। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে সেই মডেল এবং অভিনেত্রীদের চরিত্রের দিকে আঙুল তোলাকে সমর্থন করতেন। মানসিক রোগকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের সম্মান দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
advertisement
তিনি বলেছিলেন, ‘‘সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সময়ে তাঁকে নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কেউ তাঁর চরিত্রহনন করেমনি। সেটা ভাল। কিন্তু সেই জায়গায় এই তিন জন মহিলার সম্পর্কে যা যা শুনতে হচ্ছে, তাতে আমি বিরক্ত। তাঁরা সিগারেট খেতেন, নাকি মদ, তাঁরা লিভ ইন করতেন নাকি বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতেন— এই সমস্ত বিষয় উঠে আসছে কেন? আর যাঁরা বলছেন, এই প্রজন্মের মানুষ বেশি আত্মহত্যা করে ইত্যাদি, তাঁদের বলতে চাই, আপনাদের সময়েও সফল অসফল শিল্পীরা আত্মহত্যা করেছেন। তখন অত খবর পাওয়া যেত না বলে জানা যায়নি। মানসিক রোগ প্রত্যেক যুগেই বর্তমান। তাই অবহেলা করবেন না।’’
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
মনেরও রোগ হয়, ৩ প্রয়াত মডেলের চরিত্রহননের বিরুদ্ধেও গর্জে ওঠেন ঐন্দ্রিলা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement