Lok Sabha Election 2024: ‘কল থাকলেও জল পড়ে না’, দেওয়াল জুড়ে লেখা প্রার্থীদের নাম, কী চায় আদিবাসী গ্রামের মানুষজন?
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Nilanjan Banerjee
Last Updated:
Lok Sabha Election 2024: তবে সব রকম ভাতা পাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ‘লক্ষীর ভাণ্ডারের’ ১২০০ টাকা দিয়ে অনেকেই করছেন তাদের দিন গুজরান। তাছাড়াও গ্রামের ষাটের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা পাচ্ছেন "জয় জোহর" ভাতা।
বাঁকুড়া: বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন নবজীবনপুর গ্রাম। প্রায় ৮৪ টি সাঁওতাল পরিবার নিয়ে বেশ বড় সড় মাঝারি আকারের এই গ্রাম বজায় রেখে চলেছে আদিবাসী ঐতিহ্য। নবজীবনপুরে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী গরুখুটা, তীরন্দাজ প্রতিযোগিতা, গ্রামের মাটির বাড়ি সেজে ওঠে রঙিন আলপনায়, জাহের থানে বয়ে চলে শান্তির বাতাস এবং ক্লাব ঘরে সযত্নে রাখা থাকে ধামসা মাদল।
তবে শহর সংলগ্ন এই গ্রামে রয়েছে কিছু চাওয়া পাওয়া। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম। গ্রামের বুক চিরে চলে গেছে পাকা রাস্তা, সেই রাস্তা নিয়ে রয়েছে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এই রাস্তার উপর দিয়ে ভারী গাড়ি গিয়ে রাস্তার অবস্থার ক্ষতি হয়েছে বলেই দাবি করছেন গ্রামবাসী বৈদ্যনাথ হেমব্রম।
আরও পড়ুন: ছাদে পুড়ছে জলের ট্যাঙ্ক, ট্যাপ খুললেই বেরোচ্ছে আগুনের মত গরম জল! ৪ সহজ টিপসেই হবে কনকনে ঠান্ডা
advertisement
advertisement
জলের সমস্যাও রয়েছে বেশ। কল আছে, জলও আসে তবে কখন জল আসবে তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। নবজীবনপুর গ্রামের মহিলা নিয়তি মান্ডি বলেন কল থাকলেও জল পড়েনা। ক্লাবে কিংবা স্কুলে গিয়ে টিউবকল থেকে জল বয়ে আনতে হয়। এছাড়াও যে কল গুলিতে জল পড়ে সেগুলিতে জল কখন আসবে তার নেই কোনও হিসাব। গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন কখনও তিনদিন অন্তর জল আসে।
advertisement
গ্রামে সাঁওতাল পরিবার ৮৪ টি, তবে আবাস যোজনার ঘরের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন দুইজন। বেশ বড় গ্রাম, বর্ধিষ্ণুও বলা চলে। কাঁচা-পাকা মেলানো মেশানো বাড়ি রয়েছে। তবে আবাস যোজনার সেরকম সমীক্ষা হয়নি বলেই জানিয়েছেন গ্রামের আরেক বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সদস্য শর্মিলা মান্ডি।
তবে সব রকম ভাতা পাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ‘লক্ষীর ভাণ্ডারের’ ১২০০ টাকা দিয়ে অনেকেই করছেন তাদের দিন গুজরান। তাছাড়াও গ্রামের ষাটের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা পাচ্ছেন “জয় জোহর” ভাতা।
advertisement
অবশেষে উঠে এসেছে একটি মৌলিক চাহিদা। অলচিকি লিপি এবং সাঁওতালি ভাষার প্রসার এবং প্রচার হলে পড়াশোনার সুবিধা হবে গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চাদের। বর্তমানে অলচিকির শিক্ষক খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নবজীবনপুর গ্রাম তাদের ঐতিহ্যবাহী ভাষাকে আরও উপরে নিয়ে যেতে চান।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বাঁকুড়া শহরের খুব কাছেই এই গ্রাম। গ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লেখা হলেও। প্রার্থীদের মধ্যে কেউ এখনও জনসংযোগে আসেননি নবজীবনপুরে। তাই চাওয়া পাওয়ার হিসেব তারা এখনই সেরে রাখছেন।
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
April 27, 2024 6:01 PM IST