কলকাতা: দেশজুড়ে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। ১৯ শে এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তিন দফার ভোটদান প্রক্রিয়া। গণতন্ত্রের এই উৎসব এখনও পর্যন্ত কার্যত শান্তিপূর্ণ। সোমবার ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এরপর ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আরও তিন দফায়।
ভোট গণনা হবে ৪ জুন। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে প্রথম দফা থেকেই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূচি অনুসারে চলছে মোট সাত দফার ভোট। প্রথম, দ্বিতীয় ও কিছুটা তৃতীয় দফাতেও মূলত ভোট ছিল উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক। তৃতীয় দফায় ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণবঙ্গের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফায় ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি জায়গায়- বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট গণনা হবে জুন মাসের ৪ তারিখে। চতুর্থ দফায় মোট ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আটটি আসন রয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস তৃণমূল সিপিআইএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ মে ভাগ্য নির্ধারণ হবে এরাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর। সেই তালিকায় রয়েছেন- অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্ররা।
এই দফায় সবথেকে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের মাত্র একটি কেন্দ্রে রয়েছে ভোট।
অন্ধ্রপ্রদেশ – ২৫
বিহার- ৫
জম্মু ও কাশ্মীর- ১
ঝাড়খণ্ড- ৪
মধ্যপ্রদেশ-৮
মহারাষ্ট্র-১১
ওড়িশা- ৪
তেলেঙ্গানা- ১৭
উত্তরপ্রদেশ- ১৩
পশ্চিমবঙ্গ-৮
রাজ্যে চতুর্থ দফার ৮টি কেন্দ্র রয়েছে ৫ জেলায়। মোট ৭৫ জন প্রার্থীর হবে ভাগ্য নির্ধারণ। এ দফায় ভোট হতে চলা ৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল চারটি আসনে ও তিনটিতে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল একটি আসন। পরে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিংহ ২০২২ সালে এই আসনে ২ লক্ষর বেশি ভোটে জেতেন।
গোটা দেশে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৬টি আসনে ভোট গ্রহণ হয় আজ। সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রও রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি আজ অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।বহরমপুর- ৭৫.৩৬%, বোলপুর- ৭৭.৭৭%, বীরভূম- ৭৫.৪৫%, কৃষ্ণনগর- ৭৭.২৯%, আসানসোল- ৬৯.৪৩%, রানাঘাট- ৭৭.৪৬%, পূর্ব বর্ধমান-৭৭.৩৬%, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ভোট পড়ল -৭৭.০২%।
৪র্থ দফার শেষবেলায় বহরমপুরে অধীররঞ্জন চৌধুরীর মুখে শোনা গেল পুনর্নির্বাচনের কথা। ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে রি-পোলের দাবি করব। গুটিকয়েক বুথে আমাদের ভোট করতে দেওয়া হয়নি। ৯ থেকে ১০টি বুথে ছাপ্পা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন অধীর চৌধুরী হারুক বিজেপি জিতুক।’
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকা বলছে চতুর্থ দফা ভোটে বিকেল ৩টে পর্যন্ত দেশে ৫২.৬০ শতাংশ (প্রায়) ভোট পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৬৬.০৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৫৯.৬৩ শতাংশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ ৫৫.৪৯ শতাংশ। বহরমপুরে ভোট পড়ল-৬৫.৫৭ শতাংশ, কৃষ্ণনগরে- ৬৬.৩৭ শতাংশ, রানাঘাটে- ৬৬.১৮ শতাংশ, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে- ৬৭.৮৩ শতাংশ, বর্ধমান-দুর্গাপুরে- ৬৭.৯২ শতাংশ, আসানসোলে ৬০.২৬ শতাংশ, বোলপুরে ৬৯.০৮ শতাংশ এবং বীরভূমে ভোট পড়েছে – ৬৪.৯৮ শতাংশ।
লোকসভা নির্বাচন: বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৩% ভোট রেকর্ড হল দেশ জুড়ে। ৬৬% ভোট নিয়ে তালিকায় এগিয়ে বাংলা। ভারতের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকা বলছে চতুর্থ দফা ভোটে বিকেল ৩টে পর্যন্ত দেশে ৫২.৬০ শতাংশ (প্রায়) ভোট পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৬৬.০৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৫৯.৬৩ শতাংশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ ৫৫.৪৯ শতাংশ। দেখে নিন তালিকা।
অন্ধ্র প্রদেশ – ৫৫.৪৯%
বিহার – ৪৫.২৩%
জম্মু ও কাশ্মীর – ২৯.৯৩%
ঝাড়খণ্ড – ৫৬.৪২%
মধ্যপ্রদেশ – ৫৯.৬৩%
মহারাষ্ট্র – ৪৮.৩৫%
ওড়িশা – ৫২.৯১%
তেলেঙ্গানা – ৫২.৩৪%
উত্তরপ্রদেশ – ৪৮.৪১%
পশ্চিমবঙ্গ – ৬৬.০৫%
নয়টি রাজ্য এবং এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৬ আসনে দুপুর ১টার পর্যন্ত মোট ৪০.৩২ শতাংশ ভোট পড়ল। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে, ৫১.৮৭ শতাংশ। আর সবথেকে কম ভোট পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে, ২৩.৫৭ শতাংশ। এছাড়া, মধ্য প্রদেশে ৪৮.৫২ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশে ৪০.২৬ শতাংশ, বিহারে ৩৪.৪৪ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৪৩.৮ শতাংশ, ওড়িশায় ৩৯.৩০ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৩০.৮৫ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৪০.৮৩ শতাংশ এবং উত্তর প্রদেশে ৪০.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে হাজির বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা এক জায়গায় রান্নাবান্না করছিলেন সেখানে তৃণমূলের বাইক বাহিনী এসে তাঁদের উপর হামলা চালায়। এখন রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বিজেপি কর্মীরা
মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের দয়ানগর হনুমান মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কনভয় আটকালো বহরমপুর সদরের ডিএসপি সুশান্ত রাজবংশী-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের বক্তব্য, অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাঁর নিজের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি এবং সিকিউরিটির একটি গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন তাছাড়া অন্য কোনও গাড়ি বা প্রেসের কোনও গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। দীর্ঘক্ষণ ধরে বচসা তৈরি হয় এবং এখনও পর্যন্ত পর্যন্ত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কনভয় আটকে রেখেছে পুলিশ। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত বহরমপুর শহরে।
বেলা বাড়তেই উত্তপ্ত চতুর্থ দফার ভোট চিত্র। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। এরইমধ্যে চলছে ভোটদান পর্ব। দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়ল ৫১.৮৭ শতাংশ। রাজ্যে আট কেন্দ্রের কোথায় কত ভোট পড়ল? দেখে নিন দুপুরের ভোটের হার।
বহরমপুর- ৫২.২৭%
বোলপুর- ৫৪.৮১%
বীরভূম- ৪৯.৬৩%
কৃষ্ণনগর- ৪৯.৭২%
আসানসোল- ৪৯.৫৫%
রানাঘাট- ৫২.৭০%
পূর্ব বর্ধমান- ৫৫.৮৭%
বর্ধমান-দুর্গাপুর- ৫০.৩০%
জাজিগ্রাম এ ২০৩ নং বুথে মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের। অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এএসআই মহেন্দ্র সিং-এর বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতদেহ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান, তুলকালাম। দিলীপ ঘোষ ময়দানে নামতেই ধুন্ধুমার। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে উত্তপ্ত বর্ধমান দুর্গাপুরের টুললা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠল লাঠিচার্জের অভিযোগ।
ভোট যুদ্ধের শেষ লগ্নে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ও বিজেপি প্রার্থী জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ নাম ঘোষনার হওয়ার পর থেকেই বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে সকাল থেকে রাত অব্দি বিরোধিতা করে গিয়েছেন। সমানে টক্কর দিয়েছেন কীর্তি আজাদ। আজ দুই নেতার কনভয় মুখোমুখি হতেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন দু’জন।
বীরভূমের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তিনি ভোট দিলেন ২০৯ নম্বর বুথে। বোলপুর শহরের নিচুপটি কুঞ্জ বিহারী নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় সপরিবারে লাইন দিয়ে ভোট দিলেন মন্ত্রী।
বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা নিয়েই চলছে রাজ্যে ঘটণাবহুল চতুর্থ দফার ভোট। তবে এখনও পর্যন্ত রবিবার রাতের কেতুগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনের মতো আর কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি ভোটের দিন। বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়ল ৩২.৭৮%। দেখে নিন আট কেন্দ্রের কোথায় কত ভোট পড়ল।
বহরমপুর- ৩৫.৫৩%
বোলপুর-৩৫.২২%
বীরভূম-৩০.৪৫%
কৃষ্ণনগর-৩২.৫৯%
আসানসোল-২৯.৯৯%
রানাঘাট-৩৩.২৩%
পূর্ব বর্ধমান-৩৩.৮২%
বর্ধমান-দুর্গাপুর-৩১.৪১%
অবৈধ জমায়েত সরানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভরতপুর বিধানসভার কুলুরু গ্রামে ১৫৫ নন্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র থেকে ভোটাররা বেড়িয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা।
মুর্শিদাবাদ: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কান্দিতে একের ভোট অন্যর হয়ে দিতে দেখা গেল কান্দির ঘনশ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, বয়স্ক মানুষদের একের পর এক তৃণমূল কর্মীরা নিয়ে যাচ্ছেন আর ছাপ্পা দেওয়া হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি তিনি ভোট দেননি ওই ভোটার ভোট দিয়েছেন নিজেই। তাঁকে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।