#আহমেদাবাদ: প্রথম দফার ভোট মিটেছে। বাকি রয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোট। গুজরাতে আবারও সবার চোখ কিন্তু প্রভাবশালী পতিদার (প্যাটেল) সম্প্রদায়ের দিকে। ২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে এই সম্প্রদায়ের আন্দোলনে বিজেপির জেতা কঠিন করে তুলেছিল।
পতিদার সম্প্রদায়ের আন্দোলনের বিরাট প্রভাব দেখা গিয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন হার্দিক প্যাটেল। এই আন্দোলনে পতিদাররা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) মর্যাদা দাবি করছিল। তবে এবারের পরিস্থিতি কিন্তু অন্যরকম। পতিদার আন্দোলন এখন আর তেমন নেই। পতিদার আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক প্যাটেল নিজেই এখন বিজেপি প্রার্থী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পতিদার সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ ভোটাররা এবার বিজেপিকে ভোট দেবেন। অন্যদিকে, সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনের প্রাক্তন নেতারা বিশ্বাস করেন যে পতিদার সম্প্রদায়ের অনেক তরুণ ভোটার আম আদমি পার্টি এর মতো তৃতীয় দলের বিকল্প বেছে নেবেন।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতের মোট ১৮২টি আসনের মধ্যে বিজেপির টার্গেট ছিল কমপক্ষে ১৫০টি আসনে জয়। কিন্তু শেষে দেখা যায়, বিজেপির হাতে এসেছে মাত্র ৯৯টি আসন। অনেকের মতে, বিজেপির আসন কমার ক্ষেত্রে পতিদাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই সময়ে।
বিজেপির বিরুদ্ধে হার্দিক প্যাটেলের ঝড়ো নির্বাচনী প্রচারে একপ্রকার ভর করে সেই সময়ে কংগ্রেস ৭৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল বলে মনে করা হয়। গুজরাতে প্রায় ৪০টি এমন আসন রয়েছে, যেখানে পতিদার ভোটাররা একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করেন। তবে গুজরাতের পতিদার নেতাদের দাবি, ৪০ নয়। ৫০টি আসনে তাঁদের আধিপত্য রয়েছে। প্যাটেল সম্প্রদায় গুজরাতের জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৪৪ জন পতিদার সম্প্রদায়ের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে মোরবি, টাঙ্কারা, গোন্ডাল, ধোরজি, আমরেলি, সাভারকুন্ডলা, জেতপুর, রাজকোট পূর্ব, রাজকোট পশ্চিম এবং রাজকোট দক্ষিণ আসনে পতিদার ভোটারদের প্রভাব বেশি। উত্তর গুজরাতের ভিজাপুর, ভিসনগর, মেহসানা এবং উনঝা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রচুর সংখ্যক পতিদার ভোটার রয়েছেন। আহমেদাবাদ শহরে ঘাটলোদিয়া, সবরমতি, মণিনগর, নিকোল এবং নরোদা নামে অন্তত পাঁচটি আসন রয়েছে, যা পতিদার অধ্যুষিত।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং আপ দুই দলই প্রচুর সংখ্যক পতিদারদের টিকিট দিয়েছে। দক্ষিণ গুজরাত, সুরাট শহরের বেশ কয়েকটি আসন পতিদার সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভারাছা, কামরেজ এবং কাতারগাম।
আরও পড়ুন, জেলে অন্য 'মুডে' আফতাব! খেলছে দাবা, চাইছে সাহিত্য-উপন্যাসের বই
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৭ সালে পতিদার আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়েছিল বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে। যার কারণে ২০১৭ সালে পদ্ম শিবির অনেক পতিদার অধ্যুষিত আসনে পরাজিত হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে মেহসানা জেলার উনঝা এবং সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের মোরবি ও টাঙ্কারা আসন।
আরও পড়ুন, ‘ডিসেম্বরে ছোট্ট করে দরজা খুলব?’ কাঁথিতে হঠাৎ তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন অভিষেক
গুজরাতের চলতি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি ৪১ জন পতিদারকে টিকিট দিয়েছে। কংগ্রেস দিয়েছে ৪০ জন পতিদার নেতাকে টিকিট। আম আদমি পার্টিও বিপুল সংখ্যক পতিদার প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।