Dev: হিরণের ফোন এসেছিল, গ্রামের বাড়িতে যেতেই জানালেন ভাই! পুরোটা শুনে কী বললেন দেব?

Last Updated:

সিপিআইএমের কট্টর সমর্থক দেবের পরিবার। এক সময়ে কেশপুরে শক্ত ঘাঁটি ছিল সিপিআইএমের ওই গ্রাম।

দেবের ভাইকে ফোন হিরণের?
দেবের ভাইকে ফোন হিরণের?
শোভন দাস, কেশপুর: তৃতীয় পর্বের লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে প্রায় দু মাস ধরে প্রচার করে চলেছেন দেব তথা দীপক অধিকারী। অবশেষে প্রচারের শেষ পর্বে মঙ্গলবার বিকেলে কেশপুরের মহিষদা গ্রামে নিজের মাটির বাড়িতে হাজির হলেন দেব। সিপিএমের ঘাঁটি মহিষদা গ্রাম পরিচিত হলেও তৃণমূল প্রার্থী দেবের আপ্যায়নে অবশ্য কোনও ত্রুটি রাখলেন না গ্রামবাসীরা৷ ফেরার আগে গ্রামবাসীদের দাবি পূরণেরও আশ্বাস দিয়ে গেলে ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ৷
মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ মহিষদা গ্রামে হাজির হয়েছিলেন দেব। আগে থেকেই জানানো হয়েছিল দেব বাড়িতে আসবেন। সেখানে এখন দেবের জেঠু ও তাঁর পরিবারের লোকজনেরা বসবাস করেন।
সিপিআইএমের কট্টর সমর্থক দেবের পরিবার। এক সময়ে কেশপুরে শক্ত ঘাঁটি ছিল সিপিআইএমের ওই গ্রাম। দেবের প্রয়াত জেঠু শক্তিপদ অধিকারী সিপিআইএমের কেশপুর জোনাল কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তবে তৃণমূলে যোগ দিলেও বাড়িতে এলে দেবের আপ্যায়ণে কোনও ত্রুটি রাখেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷
advertisement
advertisement
এ দিনও দেব পৌঁছনোর আগেই বাড়ির সামনে একটি শামিয়ানা টাঙিয়ে তাঁকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন পরিবারের সদস্য সদস্যারা। বাড়িতে আসতেই উলু দিয়ে, বরণ ডালা এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বরণ করে বাড়িতে তোলা হয় দেবকে। এর পর বাড়িতে ঢুকে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে চা পান করেন দেব। জেঠিমা সহ সবার সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান। ততক্ষণে গ্রামের বহু মানুষ ভিড় করেছেন দেবের সেই মাটির বাড়ির সামনে। কিছুক্ষণ দেব বক্তব্যও রাখেন গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে।
advertisement
দেব বলেন, ‘অনেকদিন পর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এলাম। অবশ্যই গ্রামবাসীদের সঙ্গেও দেখা করার আমার প্রয়োজন ছিল। গ্রামের মানুষের জন্য অনেক কিছু করতে পেরেছি, অনেক কিছু বাকিও রয়েছে। চেষ্টা করব। এলাকায় শান্তি রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তাই সবার কাছে আশীর্বাদ চাইছি। যদি মনে হয় তবেই ভোট দেবেন।’
এ দিন দেবের কাছে হাজির হয়েছিলেন দেবের জ্যাঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। বিক্রম দেবকে জানান, ‘হিরণ আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছেন বিজেপিতে যোগদানের জন্য।’ শুনে দেব তাঁকে বলেন, ‘মন চাইলে অবশ্যই বিজেপিতে যোগ দিতে পারো।’
advertisement
এ দিন দেবের জ্যাঠতুতো দাদা সুজিত অধিকারী মাইক নিয়ে বক্তব্য রাখার শুরুতে দেবকে মাননীয় সাংসদ সম্বোধন করতেই দেব ঝাঁঝিয়ে ওঠেন। সাংসদ বলে সম্বোধন করতে দাদাকে বারণ করেন তিনি৷ দাদার মুখ থেকে মাননীয় সাংসদ শুনতে চাননি তিনি। তারপরে সুজিত অধিকারী বলেন, ‘গ্রামে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের জন্য কবরস্থান ও শ্মশানের চুল্লির প্রয়োজন রয়েছে। সেটা যেন দেখা হয়।’ দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামের বাড়ি ছাড়েন দেব৷
বাংলা খবর/ খবর/নির্বাচন/
Dev: হিরণের ফোন এসেছিল, গ্রামের বাড়িতে যেতেই জানালেন ভাই! পুরোটা শুনে কী বললেন দেব?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement