#কলকাতা: রাজ্যে কি স্কুলছুট হচ্ছে? নাকি অন্য কারণে স্কুলবিমুখ ছাত্রছাত্রীরা? তা জানতেই এ বার সমীক্ষা করার ভাবনা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের। সার্কেল ভিত্তিক এই সমীক্ষা করতে চলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, রাজ্যে মোট ৭২৭টি সার্কেল রয়েছে। প্রত্যেকটি সার্কেল ধরে ধরে সমীক্ষা করতে চায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে এই সমীক্ষা করা হবে। মূলত একটি ব্লকের অধীনে দুই থেকে তিনটি সার্কেল থাকে।
সার্কেল ধরে ধরে সমীক্ষা করার কারণ হিসেবে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ব্যাখ্যা করছেন, যেহেতু স্কুল ধরে ধরে সমীক্ষা করতে হবে তার জন্যই সার্কেল ভিত্তিক সমীক্ষা করার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলাতেই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বার্তা পাঠানো হয়েছে যেসব ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসেন না তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার স্কুল গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদের। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হলেও প্রথমদিকে যতসংখ্যক উপস্থিতির হার ছিল তা ক্রমেই কমে আসছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা নিয়ে BJP-র আবেদন 'খারিজ', ১১১ পুরসভার ভোটে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের!
সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে গত কয়েকদিনের গড় উপস্থিতি ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। সে ক্ষেত্রে কেন স্কুলে যেতে চাইছে না ছাত্র-ছাত্রীরা তার কারণ জানতে চায় রাজ্য। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ এই নিয়ে বিভিন্ন জেলার স্কুল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্কুল শিক্ষা সচিব। সেই বৈঠকেই এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত রূপরেখা দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, স্কুলগুলি থেকে স্কুলছুট না হয় তার জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১০০ দিনের বিশেষ পাঠক্রম করানোর সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন: কারণ কয়লা, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মালগাড়ির! শিয়ালদহ-বজবজ লাইনে অচলাবস্থা
মূলত সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে বর্তমান ক্লাসের পড়ার পাশাপাশি আগের দুটি ক্লাসের পড়া পড়তে হবে। তার জন্য ১০০ দিনের সময়সীমাও ঠিক করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের যুক্তি স্কুলছুট যাতে না হয় তার জন্য এই উদ্যোগ অনেকটাই ইতিবাচক হতে পারে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।