কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় খোদ ইউনেস্কো। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েছে ইউনেস্কোর অধীনে থাকা "ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর লাইফ লং লার্নিং" এর আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পেয়েই নবান্ন শীর্ষ আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। মূলত ইউনেস্কোর অধীনে থাকা এই সংস্থা বিভিন্ন দেশে শিক্ষার প্রসারে কাজ করে থাকে। বিশেষত প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বুনিয়াদি শিক্ষা সহ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের কী প্রয়োজন, সেই বিষয় সুপারিশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে এই সংস্থা।
নবান্ন সূত্রে খবর, স্কুল শিক্ষায় একাধিক সামাজিক প্রকল্প ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়ে এসেছে রাজ্য। ইউনেস্কোর অধীনে থাকা সংস্থা এই সামাজিক প্রকল্পগুলিকেই বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। মূলত রাজ্যের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েছে এই সংস্থা বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সূত্র খবর চলতি সপ্তাহেই ইউনেস্কোর এই সংস্থার সঙ্গে বৈঠক বসতে চলেছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। শিক্ষাব্যবস্থা কোন কোন দিকগুলি নিয়ে তারা যুক্ত হতে চায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়েই ঘুম উড়ল অনুব্রতর, লক আপে পায়চারি করেই কাটল প্রথম রাত
প্রসঙ্গত রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হবার পর বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে এই "কন্যাশ্রী"প্রকল্প। শুধু তাই নয় রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেও বিভিন্ন সময় প্রশংসিত করেছে দেশ-বিদেশের একাধিক সংস্থা তাদের রিপোর্টে। সম্প্রতি ইউনেস্কোর তরফে বাংলার দুর্গা পুজোকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বাংলা দুর্গাপূজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিকে সম্মান জানিয়ে রাজ্যে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পদযাত্রা।ইউনেস্কো এর দুই প্রতিনিধিকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এবার বাংলার দুর্গা পূজোর পর রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে ইউনেস্কোর যুক্ত হওয়াকে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
আরও পড়ুন: মণীশ সিসোদিয়ার পরে এবার তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে, আবগারি কাণ্ডে তলব কে কবিতাকে
বিশেষত যখন রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষত স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ভুয়ো নিয়োগের একাধিক প্রমাণ এসেছে। শুধু তাই নয়। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীদের। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনেস্কোর অধীনে থাকা এই সংস্থার রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরাও। স্কুল শিক্ষার স্কলারশিপ এর পাশাপাশি আমাদের সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল দেওয়া, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই সহ একাধিক প্রকল্প গত কয়েক বছর ধরে নিয়ে এসেছে রাজ্য। এই সামাজিক প্রকল্পগুলিকেও রাজ্য বিশেষভাবে বৈঠকে তুলে ধরবে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সামনে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: UNESCO, West bengal education