Goverment School: বেসরকারি নয়, এই সরকারি স্কুলেই পড়তে ছুটে আসছে পড়ুয়ারা, কারণ জানলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:Jiam Momin
Last Updated:
Goverment School: এই স্কুলে গেলে স্কুল ছুটির পরও মন চায় না বাড়ি ফিরতে পড়ুয়াদের। স্কুল ছুটির সময় কাঞ্চন স্যারের পশু পাখির ডাকে আনন্দ মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা স্কুল চত্বর। মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুপুর এস.সি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নজর পড়েছে সকলের।
মালদহ: কখনও অলসতা আবার কখনও খেলাধুলায় মনোভাব ইত্যাদি অজুহাতে স্কুল ছুট হতে দেখা দেয় বহু পড়ুয়াদের। তবে এই স্কুলে গেলেই বাড়ি ফিরতে মন চায় না পড়ুয়াদের। কারণ জানলে অবাক হবেন। মাস্টারমশায়ের স্কুল ছুটির আগে এই ক্লাস মন কাড়ছে পড়ুয়াদের। বিদ্যালয়ের গাছের ছাউনির নিচে স্কুল ছুটির সময় বিভিন্ন রকম পশু পাখিদের ভঙ্গিতে আওয়াজ করে বিনোদন দিয়ে চলেছেন মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুপুর এস.সি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাঞ্চন কুমার ঘোষ। তার এই মুখ কণ্ঠস্বরে আনন্দ মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা স্কুল চত্বর।
বর্তমানে ৫৯-এর বেশি বয়স হয়েছে কাঞ্চন বাবুর। বয়স হলেও প্রথম থেকেই নিয়মিত ক্লাসে আসতে ছাড়েননি। বর্তমানে তিনি সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তবে সামনে বছরই ২০২৬ সালে অবসর নেবেন তিনি। শেষ সময়েও স্কুলে এসে পড়ুয়াদের স্কুলের প্রতি টানকে টিকিয়ে রাখতে একাধিক পশু পাখিদের কণ্ঠস্বরে পড়ুয়াদের বিনোদন দিচ্ছেন কাঞ্চন বাবু।
advertisement
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কাঞ্চন কুমার ঘোষ বলেন, ‘বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন খেলাধুলায় আসক্ত থাকেন পড়ুয়ারা। স্কুলে আসলেও মন থাকে বাড়িতে। তাই পড়াশোনার মধ্য দিয়েই পড়ুয়াদের স্কুলমুখি করতে ছুটির আগে তাদের এই বিনোদনমূলক ক্লাস করানো হয়। এর ফলে শুধু বিনোদন নয় শিক্ষার জ্ঞানও অর্জন করতে পারছেন পড়ুয়ারা।’
advertisement
advertisement
স্কুল শিক্ষক শাহী মাসুম হোসেন বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই কাঞ্চন বাবু এই স্কুলে রয়েছেন। তার জন্যই আজ এই স্কুল এতটা উন্নত। তিনি আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তার এই বিনোদনমূলক ক্লাস ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াচ্ছে। স্কুল ছুটির পর পড়ুয়াদের কাছে আমাদের এটাই প্রাপ্তি যে তারা হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে পারছে।’
advertisement
এক তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া জয়িতা মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুলে আসতে খুব ভাল লাগে। বিদ্যালয়ের সমস্ত স্যার খুব ভালভাবে পড়াশোনা করান। প্রতিদিন পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি শেখানো হয়। ক্লাস শেষে স্কুল ছুটির সময় কাঞ্চন স্যার আমাদের সকলকে বিভিন্ন রকম পশু পাখিদের ভঙ্গিতে আওয়াজ শোনান। এবং পশু পাখিদের সম্পর্কে পরিচয় করান। এই সময়টা স্কুল থেকে বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে না। স্যারের এই ক্লাস করতে খুব ভাল লাগে।’ বর্তমান সময়ে অনেক স্কুলেই দেখা দেয় শিক্ষকদের অলসতা। যার কারণে স্কুল ছুট হতে দেখা দেয় বহু পড়ুয়াদের। তবে এই স্কুলের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন সক্রিয়তা এবং পড়ুয়াদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে সকলের।
advertisement
জিএম মোমিন
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 03, 2025 2:42 PM IST