JEE Mains Exam 2025: সারা দেশে জয়েন্টে তাক লাগানো রেজাল্ট অর্চিষ্মানের, কে তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল জানেন?
- Published by:Raima Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
JEE Mains Exam 2025: কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে খড়গপুরের IIT-তে ভরতি হতে চান অর্চিষ্মান। ভবিষ্যতে তাঁর কী করার ইচ্ছে জানেন?
পশ্চিম মেদিনীপুর: পড়তে হবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে, বলেছিলেন তাঁর দাদু। দাদুর দেখানো পথেই পড়াশোনা করে সফলতা জুটেছে অর্চিষ্মান নন্দীর। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে মন জিতে নিয়েছে সকলের। লক্ষ্য আইআইটি থেকে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হওয়ার।
দাদু ছিলেন আইআইটি খড়গপুরের একজন প্রাক্তনী। দাদু তাঁর কাছে অনুপ্রেরণা। পড়াশোনাকে চাপ না মনে করে উপভোগ করেছে এই পড়ুয়া। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় তাঁর ভাল লাগার। এভাবে প্রতিদিন খেলাধূলা, তবলার অনুশীলনের পাশাপাশি পড়াশোনা করত সময় করে। লক্ষ্য ছিল আইআইটিতে পড়াশোনা করা। অবশেষে সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে খড়গপুরের ছেলের। শুক্রবার প্রকাশিত সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফলে নজর কাড়া সাফল্য পেয়েছেন অর্চিষ্মান।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে নতুন বেঞ্চে গেল মামলা, সকলের নজর ২৮ এপ্রিলে! কী হতে চলেছে?
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় টপারদের তালিকায় রয়েছেন অর্চিষ্মান নন্দী। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১০০%। স্বাভাবিক ভাবে খুশি ও গর্বিত পরিবার। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা করে গবেষণা করতে চান মেধাবী এই ছাত্র। খড়গপুরের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেটিয়ার বাসিন্দা অর্চিষ্মান। বাবা একটি ওষুধ সংস্থার পদস্থ কর্মী। মা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। দাদু পড়াশোনা করেছিলেন খড়গপুর IIT থেকে। দাদুই তাঁর অনুপ্রেরণা। তিনিই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। অঙ্ক থেকে মডার্ন ফিজিক্স কিংবা রসায়ন সবটাই ছিল ভাললাগা, ভালবাসা।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ফাঁস হয়ে গেল তালিকা, সর্বনাশ! বাংলাদেশের ১২ জনকে খুঁজছে ইন্টারপোল! পরিচয় শুনে আঁতকে উঠবেন
সবমিলিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে খামতি কোনওদিন হয়নি। অবশেষে মিলল দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল। সম্প্রতি ফলাফল প্রকাশে খুশির হাওয়া পরিবার জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু’জন কৃতীর মধ্যে একজন অর্চিষ্মান। অর্চিষ্মান বরাবর মেধাবী। প্রাথমিকের পড়াশোনা বাংলা মিডিয়ামে। মায়ের চাকরি সূত্রে সাউরি থেকে খড়গপুর গ্রামীণের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেটিয়াতে চলে যান অর্চিষ্মানরা। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অর্চিষ্মান খড়গপুর শহরের ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এর পর একাদশ শ্রেণিতে তিনি ভর্তি হন আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসে অবস্থিত ডিএভি মডেল স্কুলে। আইসিএসই -তেও ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে পঞ্চম স্থান দখল করেছিলেন তিনি। সঙ্গে চলছিল IIT-তে প্রবেশের জন্য এন্ট্রান্স টেস্টের প্রস্তুতিও।
advertisement
অর্চিষ্মানের মামা-দাদু বঙ্কিমবিহারী মাইতি। সত্তরের দশকে তিনি আইআইটি খড়গপুর থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন। দাদুকে দেখেই IIT খড়্গপুরে পড়াশোনার ইচ্ছে জাগে অর্চিষ্মানের। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ২৪ জনের পার্সেন্টাইল ১০০। আর এই ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দেবদত্তা মাঝি এবং অর্চিষ্মান নন্দী। তাঁর সাফল্যে খুশি বাবা মিঠুন নন্দী ও মা অনিন্দিতা নন্দী। কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে খড়্গপুর IIT-তে ভরতি হতে চান তিনি। ভবিষ্যতে তাঁর ইচ্ছে গবেষণা। দাদুর দেখানো পথেই সেই লক্ষ্যে অবিচল এই পড়ুয়া।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
April 21, 2025 5:02 PM IST