বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, দারিদ্র্য উপেক্ষা করে মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম হল মাম্পি দাস!
- Published by:Tias Banerjee
- local18
- Reported by:Sarmistha Banerjee Bairagi
Last Updated:
Stood first in Madhyamik Examination:মাত্র এক নম্বরের জন্য রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা করতে পারেনি পুরুলিয়ার মাম্পি দাস , জেলায় সম্ভাব্য প্রথম পুরুলিয়ার এই ভূমিকন্যা!
পুরুলিয়া : অন্ধকারে এক টুকরো যেন আশার আলো। জীবনে চরম ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়েও লক্ষ্য স্থির রেখেছিল পুরুলিয়ার মাম্পি দাস। মাধ্যমিকে মাত্র এক নম্বরের জন্য সে জায়গা করতে পারেনি রাজ্যের মেধা তালিকায়। তবে পুরুলিয়ার মধ্যে সম্ভব্য প্রথম স্থান অর্জন করেছে সে। পুঞ্চা থানার নপাড়া হাইস্কুলের ছাত্রী মাম্পি দাস। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৫ নম্বর পেয়ে জেলার মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে সে। বাবা উত্তম কুমার দাস পরিযায়ী শ্রমিক। মা শান্ত দাস হস্ত শিল্পের কাজ করেন। দারিদ্রতাই যে শুধু তার লড়াইয়ে একমাত্র বাঁধা, তা নয় শারীরে একটা বিশাল সমস্যার সঙ্গে যুঝছে মাম্পি। তা সত্বেও মাম্পির দুর্দান্ত সাফল্য গর্বিত তার স্কুলের শিক্ষকেরা।
গরিব পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বড়লোক! যুদ্ধ করতে হয় না তবু ‘কাঁড়ি কাঁড়ি’ টাকা জেনারেলদের! কী করে জানেন?
বাবা পরিয়ায়ী শ্রমিক। কর্মসূত্রে থাকেন দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে। মাসে ৮০০০টাকা পান। ধার দেনা শোধ করতেই সে টাকা খরচ হয়ে যায়। মা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। মাম্পির নিজেও শারীরিক ভাবে সুস্থ নয়। থাকার জন্য রয়েছে ছোট্ট দুটো ঘর। একটা মাটির। এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে নিজের লক্ষে এগিয়ে চলছে সে। মেয়ের এই সাফল্যে খুবই খুশি মা শান্ত দাস।
advertisement
advertisement
চলার পথে পাড়া , প্রতিবেশী ও স্কুলের শিক্ষকদের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছে মাম্পি। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয় স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের শারীরিক অসুস্থতার জন্য যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। আগামী দিনে উচ্চশিক্ষা লাভ করে ডাক্তার হতে চায় সে। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায় সে। খিদের জ্বালায় কাতড়ালেও হাল ছেড়ে দেয়নি। মনের অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে মনোবল করে ক্রমাগত লড়াই করে গিয়েছে মাম্পি। তাই আজ তার এই সাফল্য। পুরুলিয়ার ভূমিকন্যার এই সাফল্যে গর্বিত গোটা জেলা।
advertisement
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
May 03, 2025 3:59 PM IST