Disabled Students Dropout: প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোর কিশোরীদের স্কুলছুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি: জাতিসংঘ
- Published by:Madhurima Dutta
- news18 bangla
Last Updated:
School Dropout Problem: সমবয়সী অন্য পড়ুয়া যাদের কোনও শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা নেই তাদের তুলনায় প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের (Disabled Students Dropout) স্কুলছুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ বেশি।
#নয়াদিল্লি: উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রতিবন্ধী (Disabled Children) শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের (Disabled Adolescent) স্কুল থেকে ড্রপ আউট (School Drop Out) হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি! সম্প্রতি জাতিসংঘের (UN) একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, সমবয়সী অন্য পড়ুয়া যাদের কোনও শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা নেই তাদের তুলনায় প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের (Disabled Students Dropout) স্কুলছুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ বেশি। মা, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে WHO-এর অংশীদার PMNCH এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রতিবন্ধী শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় ২৪০ মিলিয়ন।
PMNCH-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশুই (Disabled Students Dropout) তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয় এবং প্রতিবন্ধকতা নেই এমন সমবয়সীদের তুলনায় অসন্তুষ্ট বোধ করে ৫১ শতাংশ শিশু। PMNCH আরও জানিয়েছে, শিশু এবং কিশোর কিশোরীরা প্রতিবন্ধীদের (Disabled Students Dropout) মধ্যে সবচেয়ে প্রান্তিক এবং প্রতিবন্ধকতাযুক্ত গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচিতে তাদের অগ্রাধিকার কম।
advertisement
advertisement
“যাদের কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই এমন সমবয়সীদের তুলনায়, প্রতিবন্ধী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের (০-১৭ বয়সী) উচ্চমাধ্যমিকের আগেই স্কুলছুট (Disabled Students Dropout) হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ বেশি, ৪১ শতাংশ পড়ুয়া অন্যদের তুলনায় বেশি বৈষম্য বোধ করে এবং ৫১ শতাংশ অন্যদের তুলনায় অসন্তুষ্ট,” বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
advertisement
PMNCH-এর কার্যনির্বাহী পরিচালক হেলগা ফগস্ট্যাড জানন, পদ্ধতিগত বাধা, প্রতিবন্ধী নারী ও মেয়েদের পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থতা ইত্যাদি সব কারণে সমাজের মধ্যে থেকেও যেন ওদের অবস্থা কারও চোখেই পড়ে না।
“তারা একাধিক ধরনের বৈষম্যের অভিজ্ঞতা অর্জন করে, জীবনের বিভিন্ন দিক থেকে বাদ পড়ে যায় তারা, তাদের স্বাস্থ্য ক্রমাগত অবহেলায় জীর্ণ হতে থাকে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের পথ আরও যেন প্রশস্ত হয়ে যায়। দারিদ্র্যের হার বাড়ে, শিক্ষার হার কমে এবং বেকারত্বের হার বাড়ে,” বলেন হেলগা ফগস্ট্যাড।
advertisement
ইনক্লুসিভ হেলথ গ্রুপ, ইন্টারন্যাশনাল ডিসেবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়ামের (আইডিডিসি) আন্দ্রেয়া প্রেগেল জানান, প্রতিবন্ধকতাকে কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রত্যেকের দায়িত্ব, শুধুমাত্র কয়েকটি বিশেষ সংস্থার কাজ নয়। প্রেগেল আরও বলেন, “এই বিষয়ে নিরন্তর সচেতনভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হলে আমাদের আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন; মূলধারার সংস্থা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন, এবং প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আরও ভালো সহযোগিতা প্রয়োজন।”
view commentsLocation :
First Published :
March 23, 2022 11:20 PM IST