অসাধারণ দক্ষতা! কালো কাপড়ে বাঁধা চোখ, না দেখেই সংখ্যা, রং, বর্ণ চিনে ফেলছে পড়ুয়ারা, কী ভাবে জানেন?
- Published by:Tias Banerjee
- local18
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
চোখ বন্ধ অবস্থায় তার সঠিকভাবে বলে দিতে পারবে কোনও জিনিসের রং বোর্ডে লেখা কোনও শব্দ বা বাক্য, ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রতিভা অবাক করবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: দেখতে সাধারণ ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা। তবে অসাধারণ এদের বুদ্ধিমত্তা। কেন জানেন? এই ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে, সংখ্যা, রং এমনকী বিভিন্ন লাইন। কি শুনে অবাক হচ্ছেন তাই তো? এমন আবার হতে পারে নাকি? আসলে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বন্ধ অবস্থায় তারা পড়ে ফেলতে পারে বিভিন্ন লাইন।
বলে দিতে পারবে সময়, শব্দ এমনকি সংখ্যাও। প্রথমে দেখে অবিশ্বাস্য হলেও প্রমাণসহ করে দেখিয়েছে এই ক্ষুদে পড়ুয়ারা। তারা নাকি শুধুমাত্র অনুভব করে, গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারে এ সকল জিনিস। কেউ চোখ বন্ধ অবস্থায় চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সাইকেল।
advertisement
advertisement
ইঞ্জিন সারানো হয়েছিল সদ্য! ত্রুটি প্লেনের নয়…১৯ জন মৃত যাত্রীর DNA টেস্টের পর বড় তথ্য ফাঁস!
কথায় আছে অন্ধের অবলম্বন লাঠি। এই লাঠি বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে তারা এদিক ওদিক যাতায়াত করে। এই সামান্য ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা ভরসাও করে না লাঠির উপর। চোখ বন্ধ অবস্থায় তারা চালাতে পারে মোবাইল। মানসিক বিকাশ এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশের সেই প্রশিক্ষণ দেন এক দম্পতি। তবে ছোট্ট ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের প্রতিভা দেখলে আপনিও অবাক হবেন। ওদের মধ্যে কেউ পড়ে প্রথম শ্রেণী, কেউ দ্বিতীয় শ্রেণী আবার কেউ পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণী। তবে তাদের প্রতিভা দেখলে অবাক হতে হয়।
advertisement
জীব বিজ্ঞানের ভাষায়, মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয়, চোখ, কান, নাক, জিভ এবং ত্বক। এই পাঁচটি ইন্দ্রিয় দিয়ে মানুষ সারা দিনের দিন যাপন করে। তবে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন তার চোখের উপর। তবে এই সকল পড়ুয়া একদিকে যেমন চোখে দেখেও ভালোভাবে বুঝতে পারে, অনুভব করেও বলে দিতে পারে রং, সংখ্যা, শব্দ এমনকি বাক্যও। ওদের সামনে যে কোনও লেখা ধরা হলে তারা অনায়াসে বলে দিতে পারে। তবে কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে তারা? পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার এক দম্পতি প্রশিক্ষণ দেন এই বিশেষ বুদ্ধিমত্তার। বিজ্ঞান নির্ভর এই বুদ্ধিমত্তা সাড়া ফেলেছে সকলের মধ্যে। শিক্ষকের কথায় বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে এবং শুধু চোখ নয় পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে তোলা হয়। যে ক্ষেত্রে চোখ বাধা থাকলেও তারা অনায়াসে বুঝতে পারে।
advertisement
না! এটা কোনও আধ্যাত্মিকতা নয়, এটা রূঢ় বাস্তবতা। বিজ্ঞান জীব বিদ্যার বিষয় এবং বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট ছোট্ট খুদেদের এই প্রতিভাকে প্রশংসা জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
June 16, 2025 8:30 PM IST