Bangla News: তমলুকের আকাশে এক নতুন 'চন্দ্রবিন্দু', উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোতেই তুমুল শোরগোল
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:SAIKAT SHEE
Last Updated:
Bangla News: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ৫৭ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল।
তমলুক: ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হল বুধবার। ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তমলুকের চন্দ্রবিন্দু মাইতি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তমলুক হ্যামিলটন হাই স্কুলের ছাত্র সে। বরাবরের এই মেধাবী ছাত্র প্রথম দশে স্থান করার করার ক্ষেত্রে আশাবাদী ছিল। তবে চন্দ্রবিন্দুর এই লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না। কারণ বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই দুর্বল দিয়ে তার পড়াশোনার জন্য মায়ের গহনা পর্যন্ত বন্ধক দিতে হয়েছে। আর এই লড়াই তাকে প্রেরণা জুগিয়েছে ভালো ফল করার।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ৫৭ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল। বরাবরের মতোই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাফল্যের হার নজর কাড়া। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হয়েছে শতাংশের হারে ৯৫.৭৫। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শুধু সাফল্যের হারে এগিয়ে নয়, এই জেলার বেশ কিছু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সম্ভাব্য মেধা তালিকা স্থান পেয়েছে। রাজ্যের তৃতীয় ও জেলার মধ্যে প্রথম চন্দ্রবিন্দু মাইতি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
advertisement
advertisement
এবারে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে ছিল তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ছিল। কারণ করোনা অতিমারির কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ ছিল ২০২১ সালে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেই বসে সাফল্য লাভ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের চন্দ্রবিন্দুর। চন্দ্রবিন্দুর বাবার বাড়ির সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সেই চায়ের দোকানে চন্দ্রবিন্দুর মাও কাজ করে। পরিবারের সংসার চালাতে আয় বলতে ওইটুকুই। চন্দ্রবিন্দুর ভাই সরজ হ্যামিলটন হাই স্কুলেরই নবম শ্রেণী ছাত্র।
advertisement
বরাবরের এই মেধাবী ছাত্র চন্দ্রবিন্দুর পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা হয়েছে পরিবারের দারিদ্রতা। পড়াশুনার খরচ চালাতে মায়ের গহনা বন্ধক দিয়ে ঋণ নিতে হয়েছে। চন্দ্রবিন্দু জানান সেটাই তাকে আরো বেশি করে মোটিভেটেড করেছে। চন্দ্রবিন্দু জানান তার কোন ব্যক্তিগত গৃহশিক্ষক ছিল না ব্যাচে পড়তে যেত। এর পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য নিয়ে নিজেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন রুটিন করে ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতে সে। একাদশ শ্রেণী থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালোফলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। পরীক্ষার পর তার আশা ছিল রাজ্যের মেধাতালিকায় প্রথম দশে থাকবে। কিন্তু ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল সে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। চন্দ্রবিন্দুর এই ফলাফলে খুশি সে নিজে এবং তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনেরা। চন্দ্রবিন্দুর আগামী দিনে আইআইটি থেকে পড়াশোনার ইচ্ছা রয়েছে।
advertisement
——Saikat Shee
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 24, 2023 6:06 PM IST
