Future School : ২০৫০ সালে স্কুল কেমন হবে? এত শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কী? হার্ভার্ড অধ্যাপকের ভবিষ্যদ্বাণী, শুনে তাজ্জব হয়ে যেতে পারেন
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Future Schools- আজ থেকে ২৫ বছর পর শিক্ষা ব্যবস্থার ছবি আজকের পরিচিত শ্রেণিকক্ষ থেকে অনেকটাই আলাদা হবে। এমনটাই মনে করেছেন মনোবিজ্ঞানী হাওয়ার্ড গার্ডনার, যিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনে কগনিশন এবং এডুকেশনের অধ্যাপক।
কলকাতা : ২০৫০ সালে স্কুল কেমন হবে! এত শিক্ষক, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী!
গোটা দেশে সরকারি স্কুলের বেহাল দশা। অনেকেই বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়েকে বেসরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন, তাও আবার মাসে প্রচুর খরচ করে। তবে আজ থেকে ২৫ বছর পর শিক্ষা ব্যবস্থার ছবি আজকের পরিচিত শ্রেণিকক্ষ থেকে অনেকটাই আলাদা হবে। এমনটাই মনে করেছেন মনোবিজ্ঞানী হাওয়ার্ড গার্ডনার, যিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনে কগনিশন এবং এডুকেশনের অধ্যাপক।
advertisement
তিনি হার্ভার্ড ল’ স্কুলে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত এবং ড্রাগনফ্লাই থিংকিং নামক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক ফোরামে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) শুধুমাত্র শিক্ষাকে উন্নত করেই থামবে না, বরং মানুষের জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতিকে বদলে দেবে।
advertisement
গার্ডনারের মতে, শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিটি শিশুর জন্য মৌলিক জ্ঞান শেখার জন্য শুধু সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণই যথেষ্ট হবে: “পড়া, লেখা, গণিত, আর সামান্য কোডিং।”
advertisement
তিনি বলেছেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রভাব গত ১,০০০ বছরে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া যেকোনো পরিবর্তনের চেয়ে বড় হবে।” তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেসব দক্ষতাকে একসময় অপরিহার্য বলে মনে করা হত, সেগুলোর অনেকটাই ভবিষ্যতে যন্ত্রের ওপর ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হবে। অর্থাৎ সেসব স্কিল-এর আর কোনও মূল্য থাকবে না।
এই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল “Thinking in an AI-Augmented World”। তিনি বলেন,
“AI ইতিমধ্যেই শিক্ষার ভবিষ্যতকে এমনভাবে রূপ দিচ্ছে, যা এই খাতে কাজ করা প্রত্যেকের জন্য উপলব্ধি করা জরুরি।”
“AI ইতিমধ্যেই শিক্ষার ভবিষ্যতকে এমনভাবে রূপ দিচ্ছে, যা এই খাতে কাজ করা প্রত্যেকের জন্য উপলব্ধি করা জরুরি।”
advertisement
গার্ডনার একটি সংক্ষিপ্ত শিক্ষাব্যবস্থার পরিকল্পনার প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, যদিও শিশুদের প্রাথমিকভাবে মৌলিক সাক্ষরতা, সংখ্যা-জ্ঞান এবং কোডিং শেখানো জরুরি, এর পর শিক্ষকরা আর ঐতিহ্যবাহী ‘প্রফেসর’ নয়, বরং একজন ‘মেন্টর’ বা পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত থাকবে, যা তাদের মানসিকতা চ্যালেঞ্জ করবে এবং একইসঙ্গে অর্থবহ কাজ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
advertisement
আরও পড়ুন- মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগ, দেরি না করে আজই আবেদন করুন
“আমার মনে হয় না ১০ বা ১৫ বছর ধরে স্কুলে যাওয়া, যেমনটা আমরা করে এসেছি, তা এখন আর যৌক্তিক,” বলেন গার্ডনার। আগামিদিনে শিক্ষার্থীরা এআই-এর দল পরিচালনা করবে। নিজেরাই সব কাজে অংশ নেবে, বলেন তিনি।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
October 06, 2025 3:51 PM IST