South Dinajpur News: পুজোর আগে হাতে আসবে টাকা, বাড়তি উপার্জনের পথ খুঁজে পেলেন বালুরঘাটের মহিলারা
- Reported by:SUSMITA GOSWAMI
- hyperlocal
- Published by:Riya Das
Last Updated:
South Dinajpur News: গৃহবধূ থেকে কলেজছাত্রী,নিজেদের অবসর সময় নষ্ট না করে মন্ডপ সজ্জার বিভিন্ন কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে বাড়তি উপার্জনের রাস্তা পেয়েছেন বালুরঘাটের বেশ কিছু মহিলা।পূজার মরসুম আশা মানেই সংসারে একটু বাড়তি অর্থের প্রয়োজন।
দক্ষিণ দিনাজপুর : বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন সেই তেরো পার্বনের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। পুজোর মরশুম আশা মানেই সংসারে একটু বাড়তি অর্থের প্রয়োজন। সে তার নিজের পোশাকের জন্যই হোক বা প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া।
তাই গৃহবধূ থেকে কলেজছাত্রী,নিজেদের অবসর সময় নষ্ট না করে মন্ডপ সজ্জার বিভিন্ন কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে বাড়তি উপার্জনের রাস্তা পেয়েছেন বালুরঘাটের বেশ কিছু মহিলা। আর এই বাড়তি অর্থ উপার্জনের জন্য পূজোর আগে বালুরঘাট শহরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির মহিলাদের উপার্জনের অন্যতম রাস্তাই হচ্ছে বিভিন্ন মন্ডপ সজ্জার জন্য কাজে নিযুক্ত হওয়া।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরসহ জেলার বড় বড় পূজা মন্ডপ গুলির সজ্জার জন্য বিভিন্ন সবজির বীজ দিয়ে, কখনো বা পুঁতির কখনো বা পাতা দিয়ে সাজানোর কাজ হয়। তাতে নিয়োগ করা হয় মহিলাদের এবং এই কাজ সারা বছরে তারা অন্ততপক্ষে পাঁচ মাস করতে পারেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন- ‘ব্লাউজ খুলে শুধু ব্রা পরতে হবে’, অমিতাভের সঙ্গে শ্যুটিংয়ে মেজাজ হারান মাধুরী, পরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর
বালুরঘাট শহরে ব্রিজ কালি, উত্তামাশা, সাহেব কাছাড়ি, পাওয়ার হাউস সর্বত্রই বড় ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের ঘর, গোডাউনে বর্তমানে তিল ধারণের জায়গা নেই। সর্বত্রই ব্যস্ততা তুঙ্গে। কেউ কলেজের ক্লাস শেষ করে, কেউবা পরিবার সামলে ছেলেমেয়েকে স্কুলে দিয়ে বাড়তি সময়টা নষ্ট না করে এই ডেকোরেশনের কাজ শুরু করেন। এতে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে পূজোর হাত খরচ অনায়াসে চলে যায়। কেউবা আর্থিকভাবে সাহায্য করেন তার পরিবারকে। কখনও ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কখনও বা হাজিরার চুক্তিতে টাকা দিয়ে থাকেন মন্ডপ ব্যবসায়ীরা।
advertisement
বালুরঘাট শহরের বেলতলা পার্ক, উত্তমাশা, এই দুটি জায়গায় সবথেকে বেশি মহিলা শ্রমিকের কাজ করে থাকেন। বালুরঘাট শহর জুড়ে এমনই প্রায় ৫০০ জন মহিলা পূজো আসলেই এই কাজের সঙ্গে তারা নিযুক্ত হয়ে থাকেন প্রতিবছরই। সাধারণত প্যান্ডেলের ভারী কাজগুলো পুরুষ শ্রমিকরাই করেন। কিন্তু প্যান্ডেল কে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে যে সুদক্ষ কাজ দর্শকরা দেখেন তার পিছনে থাকেন এই সমস্ত মহিলা শিল্পীরাই। কারণ তারাই পারেন নিজেদের হাতের দক্ষতায় নিখুঁতভাবে সাজিয়ে তুলতে।
advertisement
ডেকোরেটর ব্যবসায়ী দের পক্ষ থেকে জানা যায়, ‘প্রতিটি মহিলা ন্যূনতম দিনে প্রায় আড়াইশ টাকা রোজকার করে থাকেন। এই সমস্ত ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা সারা বছর কাজ করিয়ে থাকে। তবে দুর্গা পুজোর সময় এর সংখ্যাটা অনেক গুণ বেড়ে যায়।’ সেভাবে প্রথাগত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ তাদের নেই বললেই চলে। সুদূর মেদিনীপুর কিংবা অন্যান্য জায়গা থেকে মূল শিল্পীরা আসেন পূজোর প্রায় তিন মাস আগে। সেই সমস্ত প্রশিক্ষকরা এসে তারাই এই পরিকল্পনাগুলি করে কর্মীদের বুঝিয়ে দেন। সেই মতোই চলে মন্ডপ শজ্জার কাজ।
advertisement
সুস্মিতা গোস্বামী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Sep 11, 2023 2:08 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
South Dinajpur News: পুজোর আগে হাতে আসবে টাকা, বাড়তি উপার্জনের পথ খুঁজে পেলেন বালুরঘাটের মহিলারা









