বিদেশে চাকরির লোভে বিক্রি হয়ে গেলেন যুবক, ঘরে বন্ধ রেখে চলত অত্যাচার, তারপর...
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
টাকা দরকার,অনেক টাকা...
SHANKU SANTRA
#নদিয়া: কোনো ভাবে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।বাঙালি মাত্রই আগে অভিযোগ সবাই বেকার সরকার চাকরি দিচ্ছে না।সংসার চালাতে মাসে খরচ ২০- ২৫ হাজার টাকা।রোজগার নেই।কোনো ভাবে চলতে গেলে টাকা লাগবে।আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে এক প্রকারের দালালরা। বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, এদেশ থেকে বেকার যুবকদের নিয়ে যাচ্ছে বিদেশে। তারপর সবাই ফাঁদে পড়ছে বিদেশে গিয়ে।বেশি টাকা মাইনের লোভে সুদে টাকা ধার করে পাড়ি দেয় বিদেশে।তার পরই যা ঘটার তাই হয়।বিদেশের মাটিতে ,বদ্ধ ঘরে চলে অত্যাচার।
advertisement
এরকমই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেলেন নদিয়ার ধানতলা থানার, শঙ্কর পুর গ্রামের বাসুদেব রায়।বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে সংসার ।বাবা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ।ওষুধের খরচ ,সংসার সব মিলিয়ে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে, আর চলছিল না।তাতে বরং ধার দেনা হয়ে যাচ্ছিল।ধারের বোঝার ওপর, আবার সুদের বোঝা। বছর ৩০-র বাসুদেব বিপ্লব বিশ্বাস নামে এক দালালের পাল্লায় পড়েন।সেই দালাল ওর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নেয় , কথা দেওয়া হয়েছিল ওখানে পৌঁছে সৌদি আরবে শপিং মলে চাকরি দেওয়া হবে।সেখানে মাস মাইনে ৪৫ হাজার টাকা ।সঙ্গে ওভার টাইম থাকবে বলা হয়েছিল।সেই বিপ্লবের ওপর ভরসা করে চলে যায় সৌদি আরবে।সেখানে যাওয়ার পর বিপ্লবের সঙ্গে আরও ভারতীয়কে বিক্রি করে দেওয়া হয় এক সৌদি দালালের হতে।
advertisement
advertisement
সেই দালাল ওদের দিয়ে একটি সার কারখানার ভেতরে গোপনে বস্তা ওঠানো নামানোর কাজ করাতে থাকে।যার ফলে ওঁর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়।সেই ঘা মারাত্মক আকার নিলে চিকিৎসা তো দূরের কথা,শপিং মলের চাকরির কথা বললেই মারধোর শুরু করা হত।তারপর বাসুদেবরা জানতে পারে,ওরা সবাই ট্যুরিস্ট ভিসাতে গেছে।কাজ করার ভিসা ওদের কাছে নেই।বাসুদেব সমস্ত ঘটনা তার মা কমলা রায়কে জানায় এবং ওদের মারধোর করা হচ্ছে,একটি গুদামের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে। মা কমলা, দালাল বিপ্লবের কাছে যতবার গেছে ততবার লাঞ্ছিত হয়ে ফিরেছেন।ছেলে বিদেশে
advertisement
আটকে আছে।বিপ্লবের হুমকি যদি পুলিশের কাছে যায় তাহলে, ঐ দেশেই ছেলেকে খুন করে দেবে।শুধু কান্না ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।উপরন্তু যাওয়ার সময় ছেলে ১লক্ষ টাকা সুদে ধার নিয়ে গেছে।সেই টাকার সুদ নেওয়ার জন্য মহাজন চাপ দিচ্ছে।মাসে সুদ ১০ হাজার টাকা।
advertisement
নিরক্ষর গরীব বাবা মা তারা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে সমাজের বিভিন্ন কর্তা ব্যাক্তিদের দরজায় দরজায় ঘুরছে।ওদিকে বাসুদেবের তিন মাসের ভিসা শেষ।যেকোনো মুহূর্তে ওই দেশের পুলিশ ধরলে জেল হতে পারে।লুকিয়ে দিন কাটানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।অবশেষে এই বিষয় নিয়ে ধানতলা থানায় বিপ্লবের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কমলা।পুলিশ অভিযোগ নিয়েছে,পুলিশি তদন্ত চলছে,বাসুদেবের মা প্রতিদিন থানা থেকে ঘুরে আসছে। থানার পুলিশ নাকি বিপ্লবকে বলেছে বাসুদেব কে ফিরিয়ে আনতে।এটুকুতেই শেষ।এই সমস্যাতে কি ভাবে ফিরবে ছেলে! সেই চিন্তাতে সবাইয়ের কাছে করজোড়ে আবেদন করেছে,কমলা।
advertisement
আরও দেখুন
Location :
First Published :
December 23, 2019 7:36 PM IST