‘মরতে চাই না, আমি বাঁচতে চাই...’ মৃত্যুর সময়েও বাঁচার আর্তি ছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার গলায়
Last Updated:
#উন্নাও: মরতে চাই না। আমি বাঁচতে চাই। মৃত্যুর সময়েও বাঁচার আর্তি ছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার গলায়। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পুলিশকে জানিয়ে যান, তাঁর উপর হওয়া বীভৎস্য অত্যাচারের কথা। ভয় দেখিয়ে যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হয়েছিল উন্নাওয়ের বেটিকে।
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে লড়তে লড়তে যখন বুঝতে পেরেছিলেন, শেষ হয়ে আসছে জীবন, তখনও বাঁচার ইচ্ছেয় ভরপুর বছর তেইশের তরুণী। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতেও নির্যাতিতার গলায় কাতর অনুরোধ, ‘আমি বাঁচতে চাই...’ ৷
বীভৎস, নারকীয় ঘটনার সঙ্গে লড়াই চলছিল পাঁচ মাস আগে থেকেই। মৃত্যুর আগে এফআইআরে নির্যাতিতার অভিযোগ শুনলে শিউরে উঠতে হয়। তিনি জানিয়েছেন,রায়বরেলির একটি বাড়িতে তাঁকে আটকে রেখে চলত মারধর। দিনের পর দিন গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। খুনের হুমকি দিয়ে যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হয়েছিল। মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। বাড়ির বাইরে দিকে তাকালেই জুটত অমানবিক নির্যাতন। পুলিশে খবর দিলে ফের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হত।
advertisement
advertisement
প্রথমে লাঠিপেটা। তারপর ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। তাঁকে শেষ করতে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল পাঁচ অভিযুক্ত। তবুও বাঁচার ইচ্ছে ছিল প্রবল। সাহায্য চেয়ে জ্বলতে জ্বলতেই দৌড়েছিলেন এক কিলোমিটার। নিজেই ফোন করে ডাকেন অ্যাম্বুল্যান্স। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচার ইচ্ছেটা পূরণ হল না।
মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী, শুভম ত্রিবেদী, হরিশংকর ত্রিবেদী, রামকিশোর ত্রিবেদী ও উমেশ বাজপেয়ীর নাম করে গিয়েছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। এখন অভিযুক্তরা জেল হেফাজতে। জঘন্য এই অপরাধের কবে বিচার হবে ? উত্তর চাইছে দেশ।
Location :
First Published :
December 08, 2019 11:28 AM IST