হোম /খবর /ক্রাইম /
পাচারে ফাঁদ ফেসবুকে ! শিক্ষায় সমাধান খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা 

পাচারে ফাঁদ ফেসবুকে ! শিক্ষায় সমাধান খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা 

Representational Image

Representational Image

বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কর্মাসের আয়োজনে এমপাওয়ার- রিইনভেন্টিং উইমেনহুড, শীর্ষক সম্মেলনে উঠে এল এই চাঞ্চল্য়কর তথ্য়।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: ফেসবুকে বুঁদ নতুন প্রজন্ম থেকে মধ্য়বয়সীরা। সেই ফেসবুকেই ফাঁদ পাতছে নারী পাচারকারীরা। রাজ্য় ভিত্তিক এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, নাবালিকাদের ফাঁদে ফেলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেসবুকই হাতিয়ার। ৬৫টি ঘটনার কেস স্টাডি করে জানা গিয়েছে, ৫২টি ঘটনায় ফেসবুকের মাধ্য়মে বন্ধুত্ব পাতিয়েই কিশোরীদের পাচার করা হচ্ছে।

বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কর্মাসের আয়োজনে এমপাওয়ার- রিইনভেন্টিং উইমেনহুড, শীর্ষক সম্মেলনে উঠে এল এই চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। নারী পাচারের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। নাবালিকা কিংবা ২৫ বছরের কম বয়সী মহিলাদের পাচারে এরাজ্য় দেশের মধ্য়ে প্রথম তিনে। নারী পাচারে নতুন একটি প্রবণতা নিয়েও চিন্তিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তাদের অভিজ্ঞতা,পাচারের আড়কাঠি হিসাবে পরিবারের লোকদেরই ব্য়বহার করা হচ্ছে। আরও একটি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য়, পাচার হওয়া মেয়েদের ৪৫ শতাংশই নাবালিকা। এদের মধ্য়ে আবার ৪০ শতাংশ ভারতের বাসিন্দা নন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মার্কিন কনসাল জেনারেল প্য়াট্রিসিয়া হফম্য়ান জানান, পাচার রোধে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে মার্কিন দূতাবাস। পাচার রুখতে সচেতনতা ও শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য়ের মহিলা ও শিশু কল্য়াণ দফতরের সচিব সংঘমিত্রা ঘোষের দাবি, কন্য়াশ্রীর মতো প্রকল্পের মাধ্য়মে পাচার কমেছে। কম বয়সে বিয়ে দেওয়া ও ছাত্রীদের স্কুলে ধরে রাখতেও পথ দেখাচ্ছে এই কন্য়াশ্রী। কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দময়ন্তী সেনের পরামর্শ, ছাত্রী ও মহিলাদের সমস্ত ধরণের সুযোগ-সুবিধাই কাজে লাগানো উচিত। সুযোগ কাজে লাগালে স্বপ্ন সফল হবেই। বৈদেশিক বাণিজ্য় দফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর অনিন্দিতা সেনগুপ্তর দাবি, শিক্ষাই একমাত্র বিকল্প। মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিলে তাঁরা সব প্রতিকূলতা ভেঙে এগনোর জন্য় তৈরি হতে পারবে।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Facebook, Human Trafficking, Indian chamber of commerce