Egra Blast|| সন্ধ্যায় চলত মদ-নাচের মোচ্ছব! এগরার বাজি কারখানায় আসত কারা? আড়ালে আর কী চলত? লজ্জা...!

Last Updated:

Egra bomb blast update: বাজি-বোমা তৈরির কাজ শেষে সন্ধ্যায় বসত মদের আসর। ভানু বাগের বাজি কারখানায় মোচ্ছব, মস্তি, গান-বাজনায় অতিষ্ট হতেন সাধারণ মানুষ।

এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ
এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ
এগরা: বাজি-বোমা তৈরির কাজ শেষে সন্ধ্যায় বসত মদের আসর। ভানু বাগের বাজি কারখানায় মোচ্ছব, মস্তি, গান-বাজনায় অতিষ্ট হতেন সাধারণ মানুষ। শুধু রাজ্য নয়, ভিন রাজ্য ওড়িশা থেকেও বোমা ও বাজির বরাত পেতেন ভানু। বরাত আসত অনলাইনেও। বাজি কারিগররা বলছেন, ‘সারা দিনভর বাজি-বোমা তৈরি চলত। সন্ধ্যা নামলেই ভানু বাগের বাজি কারখানায় ‘মোচ্ছব’ চলতো। বসত গান-বাজনা, মদের আসর!’
কপাল জোরে বেঁচে যাওয়া এগরার খাদিকুলের বাজি কারিগর, আতসবাজির শ্রমিকদের গলায় এখন একটাই কথা ‘শপথ নিয়েছি জীবনে আর কোনওদিন বারুদে হাত দেব না। বাজি তৈরির কাজ করব না!’ সকলেই বরাত জোরেই বেঁচে গিয়েছেন। এগরার খাদিকুলের বারুদের কাজ করে যাদের দিন গুজরান হয়, সেইসব বাজি তৈরির কারিগররা বলছেন এ জীবনে আর কোনওদিন বারুদের কাজে হাত লাগাবেন না।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ কিছুক্ষণেই কাঁপিয়ে বৃষ্টি, কোন কোন জেলায় আজ কালবৈশাখীর তাণ্ডব? জানুন সর্বশেষ পূর্বাভাস
কেউ স্বামীর হাত ভেঙে যাওয়ায় কাজে যোগ দিতে পারেননি। কেউ আবার অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন বলেই বাজি তৈরির কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। বরাত জোরে সেই তারাই বেঁচে গিয়েছেন। স্বামীর হাত ভেঙে যাওয়াটাকেই এখন মঙ্গল হয়েছে বলে মনে করছেন স্ত্রী কৃষ্ণা মাইতি। আর্থিক সংকুলন না থাকায় প্রতিদিন ২০০ টাকার মজুরিতে বোমা কারখানায় যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণা মাইতি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ছবি দেখে মোটেই ভুলবেন না! ‘এই’ কলাগাছ একেবারে অদ্ভূত! দেখতে হুলুস্থুল হাওড়ায়
বোমা কারখানায় মহিলা, পুরুষরা অনেকই কাজ করেন। বিস্ফোরণের দিন কৃষ্ণা মাইতি কাজে যোগ দেননি। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮জনের মৃত্যুতে হতভম্ব কৃষ্ণা মাইতি ও তাঁর পরিবার। কপাল জোরে কাজে যোগ না দিয়ে বেঁচে যাওয়ায় সকলেই কৃষ্ণার স্বামী কার্তিক মাইতির হাত ভেঙে যাওয়াটাকেই মঙ্গল বলে মনে করছেন। একই ছবি দেখা গেল কার্তিক মাইতির পরিবারেও। যখন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা শোকাচ্ছন্ন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস কার্তিক মাইতি, কৃষ্ণা মাইতিদের পরিবারে।
advertisement
আরেক শ্রমিক যজ্ঞেশ্বর বাগ ছেলের অসুস্থতার কারণে মাস খানেক কাজে যাননি। তিনিও কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছেন। ছেলের অসুস্থতার কারণে ভুবনেশ্বর যেতে হয়েছিল। তাই একমাস ওই কারখানায় তিনি যাননি। যজ্ঞেশ্বরের দাবি, ঘটনার দিন এলাকায় থাকলে তিনিও মারা যেতেন।সকলেই বলছেন, ভবিষ্যতে এই কাজ আর করব না।
Sujit Bhowmik
বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
Egra Blast|| সন্ধ্যায় চলত মদ-নাচের মোচ্ছব! এগরার বাজি কারখানায় আসত কারা? আড়ালে আর কী চলত? লজ্জা...!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement