#কলকাতা: প্রায় দু’সপ্তাহের মাথায় অবশেষে গোয়েন্দাদের জালে গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ও তার শাগরেদ ৷ কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইতে কালা চৌকি থানা এলাকার একটি আটচল্লিশ তলা বিল্ডিংয়ের পার্কিং লট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
ধৃত মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও শুভঙ্কর মণ্ডলকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতাতে নিয়ে আসা হবে। এর আগে এই ঘটনায় মিঠু-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। ধৃতদের জেরা করে টিম পৌঁছয় মুম্বইতে। বারবার সিম বদলের জেরে ভিকিকে গ্রেফতার করতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় গোয়েন্দাদের।
কোন পথ দিয়ে পালায় ভিকি? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভিকি খুনের পর ডায়মন্ড হারবার পৌঁছয় ৷ তারপর হাওড়া স্টেশন হয়ে মুম্বই পৌঁছয় | গত ১৭ অক্টোবর কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল খুন করে ভিকি ও তার শাগরেদরা। খুনের পর দিন ১৮ অক্টোবর রাতে পালায় ভিকি। ১৯ ও ২০ অক্টোবরের মধ্যে সে পৌছয় মুম্বইতে । সেখানে ওয়াচম্যানের কাজ করতো ভিকি।
ডায়মন্ড হারবারে বেশ কিছু শ্রমিক বন্ধু ছিল ভিকির ৷ তাদের মধ্যে কেউ কেউ শ্রমিকের কাজ করতো মুম্বইতে। তাদের মাধ্যমেই ভিকি কাজ পায় একটি নির্মীয়মান বহুতলের ওয়াচম্যান হিসাবে। ভিকির মূল শাগরেদ শুভঙ্কর মণ্ডল ভিকির সঙ্গেই আত্মগোপনের জন্য মুম্বই পালায়।
ভিকি ফার্ন রোডে যে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে কাজ করতো সেখানে আলাপ হয়েছিল শুভঙ্করের সঙ্গে। যদিও ভিকির বক্তব্য কতটা সঠিক তা খতিয়ে দেখা হবে। ভিকি ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ও শুভঙ্কর বাসন্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই ঘটনায় ভিকি ও তার মা মিঠু হালদারের এতো বড়ো পরিকল্পনা করে কি আদতে পেল তা নিয়ে গোয়েন্দারা জেরা করবে ভিকিকে। কারন ভিকি মূল পরিকল্পনাকারী ৷ লুঠ ও খুনের ব্লু প্রিন্ট সে তৈরি করে, মা মিঠু বাইরে কোথা থেকে কিভাবে পালাবে সেই অপারেশন সম্পর্কে অবগত ছিল। ফলে মিঠু ও ভিকি-সহ বাকিদের মুখোমুখি জেরা করলে জানা যাবে এর পিছনে আসল কি রহস্য।
শুধুমাত্র সুবীর চাকির হিরের আংটি, মানি ব্যাগ ও মোবাইল লুঠের জন্য নিশ্চয়ই এতো বড়ো পরিকল্পনা করেনি, আসল কি কারণে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ লুঠের উদ্দেশ্য খুন হলেও সেই লুঠে আদতে কি হাসিল করতে চেয়েছিল ভিকি? সেই বিষয়ে জেরা করা হবে। ভিকিকে কলকাতা আনার পর আলিপুর আদালতে পেশ করে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। এই নিয়ে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এর আগে এই ঘটনায় মিঠু হালদার, জাহির গাজি, বাপি মন্ডল, সঞ্জয় মন্ডলকে গ্রেফতার করেছিল। এবার মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার শাগরেদ শুভঙ্কর মন্ডলকে গ্রেফতার করলেন গোয়েন্দারা। প্রশ্ন উঠছে, গড়িয়াহাট জোড়া খুনে ছয় জন গ্রেফতার হলেও আদতে কি পাওয়ার আশায় ভিকি ও তার মা এরকম পরিকল্পনা করল? তা নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। ভিকিকে জেরা করে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।
Arpita Hazra
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Crime News