#নয়াদিল্লি: করোনা নিয়ন্ত্রণে যে গতিতে কাজ করেছে ভারত তা প্রশংসার দাবি রাখে। আর্থিকভাবে অনেক শক্তিশালী দেশের থেকেও এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং নীতি বাঁচিয়ে দিয়েছে দেশকে। তাই এর জন্য কৃতিত্ব দাবি করতেই পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ভ্যাকসিন দেওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের জন্য বিদেশ থেকেও প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যেই ফের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু আবার একটি ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজেদের কোভিড নাইন্টিন ড্যাশবোর্ড প্রক্রিয়া চালু করার পর তাতে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের বাইরের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে সম্প্রতি জেনেভাতে জাতিসংঘের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ডিজি টেড্রোসের সামনে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন এবং তা ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবেন।
ডাব্লুএইচও তার কোভিড -১৯ ড্যাশবোর্ডে রঙিন কোভিড মানচিত্র স্থাপনের পর থেকে সর্বোচ্চস্তরে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে এই এই চিঠি লিখেছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রমণি পান্ডে। ভারতের চিঠির বক্তব্যে বলা হয়েছে এই প্রথম নয়, অতীতেও একই ভুল করা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। বারবার এই ভুলে অন্য মানে দাঁড়ায়। ডাব্লুএইচওর বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালের মানচিত্রে ভারতের সীমানা সম্পর্কে ভুল চিত্রায়নে গভীর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করার পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে এই ভুল শুধরে নিতে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য অতীতে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক শেষ ঘোষণা করেছিলেন। হু-এর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চিনের হাতে চলে গিয়েছে, এই অভিযোগে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ ছিল হু নাকি চিনের নির্দেশেই এই ভাইরাসের কথা সময় মত বিশ্বকে জানায়নি। তাই মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। ভারত সরাসরি এমন অভিযোগ না করলেও বারবার এই একই ভুল, কোনও নির্দিষ্ট দেশের নির্দেশে কিনা, সন্দেহ থেকেই যায়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে সঠিক জায়গায় প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি কড়া নজর রাখছে ভারত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।