#মেক্সিকো: করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এক অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল স্তন্যদুগ্ধে। দুধের রং বদলে নিওন গ্রিনে। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন মেক্সিকোর মন্টারের বাসিন্দা আনা কর্টেজ (Anna Cortez)। ঠিক কী হয়েছিল? জেনে নেওয়া যাক!
জানুয়ারি মাসে ২৩ বছয় বয়সের এই যুবতীর জ্বর আসে। পরে স্বাদ ও গন্ধ চলে যায়। পরীক্ষা করে জানা যায়, মা ও সন্তান দু'জনেই করোনায় আক্রান্ত। এর পর একটা বিষয় অবাক করে দেয় আনাকে। দেখা যায়, ধীরে ধীরে নিওন গ্রিন হয়ে যাচ্ছে আনার স্তন্যদুগ্ধের রং। দিনকয়েক এই রকম থাকার পরে আনা যখন সুস্থ হয়ে ওঠেন, তখন ফের স্তন্যদুগ্ধের রং আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
Mirror-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন আনা। তাঁর কথায়, চিকিৎসক তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, এটি খুব সাধারণ বিষয়। যখন মা বা সন্তান কোনও ঠাণ্ডা লাগা কিংবা অন্ত্রের সমস্যায় ভোগে, তখন অ্যান্টিবডির জেরে স্তন্যদুগ্ধের রং পরিবর্তন হতে পারে। যদি ভাইরাস অত্যন্ত বেশি সক্রিয় হয়, তাহলে সেই রং পরিবর্তনের বিষয়টি আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে শিশুদের দুধ পান করানো যেতে পারে। এতে খুব একটা বড় সমস্যা হবে না।
পেশায় ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা আনা। বর্তমানে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আশেপাশের মায়েদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। তাঁরাও না কি স্তন্যদুগ্ধের এই রং পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। আনার কথায়, রং বদলানোর পরেও সেই দুগ্ধ সন্তানদের পান করাচ্ছেন মায়েরা। যা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। Daily Mail-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজের স্তন্যদুগ্ধের রং পরিবর্তনের বিষয়টি প্রথমে Fscebook-এ শেয়ার করেন আনা। তার পর সেই পোস্টে একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন অনেক মহিলা। তবে করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার দিন দু'য়েকের মধ্যেই আবার স্তন্যদুগ্ধের রং ঠিক হয়ে যায়।
এ নিয়ে হিউম্যান মিল্ক ফাউন্ডেশনের (Human Milk Foundation) কো-ফাউন্ডার ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে স্তন্যদুগ্ধ নিয় গবেষণারত ড. নাতালি শেনকর (Natalie Shenkar) জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। আর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেই অ্যান্টিবডিগুলি স্তন্যদুগ্ধে মিশে যায়। এর জেরে এই রং পরিবর্তন হতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Breast milk, Coronavirus