দেশে শিল্প নেই, চিনা দ্রব্য আসা বন্ধ, পেটে লাথি নাগরিকের

Last Updated:
SHANKU SANTRA
#কলকাতা: কলকাতায় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। শুধু পশ্চিমবাংলায় নয়, বেশ কয়েকটি ভিন রাজ্যের বাজার নির্ভর করে কলকাতার ওপর। কারণ কলকাতায় পাইকারি দরে প্রতিটি জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেই পাইকারি বাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে, ভিন রাজ্য কিংবা কলকাতার বাইরের ব্যবসায়ীরা কলকাতায় মালপত্র কিনতে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
গত বেশ কয়েক মাস ধরে, প্রতিদিন কলকাতায় এনআরসি ও সিএএ বিরোধী মিছিল ও বিক্ষিপ্তভাবে গন্ডগোল চলছে। যার ফলে যানবাহনের চলাচলের সমস্যা বেড়েছে দিনের পর দিন। বহু ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাঁরা রাতের ট্রেন কিংবা ভোরের ট্রেনে কলকাতায় এসে মালপত্র কিনে ট্রেনে কিংবা বাসে করে বাড়ি ফিরে যান। তাঁদেরকেই অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এমনও অনেকে বলেন, কলকাতায় এলে এখন দু-তিন দিন থাকতে হয়। কিংবা নিজস্ব গাড়ি ভাড়া করে আসতে হয়। যার ফলে খরচ বাড়ছে ব্যবসা করতে গিয়ে। লাভ কমে যাচ্ছে।
advertisement
advertisement
কোলকাতার পাইকারী ব্যবসায়ীদের একই বক্তব্য, গত তিনমাসে ব্যবসা অনেক কমেছে। বড়বাজার কিংবা পোস্তা এলাকাতে গেলে আগের তুলনায় ভিড় অনেক কম দেখা যায়। কলকাতায় ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র বিক্রির শিরোভাগটাই আসে চিন থেকে। নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে চিন থেকে ভারতে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ। আস্তে আস্তে অন্যান্য দেশগুলো থেকেও পরিবাহী জাহাজ আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।যার ফলে কলকাতার চাঁদনী চক ও খিদিরপুর, বড় বাজারের মতো ইলেকট্রনিক্সের বাজার আস্তে আস্তে শূন্য হচ্ছে। দোকানদারদের দাবি, যে দ্রব্যের ১০ টাকা দাম ছিল, সেটি এখন ২০ টাকা দাম দিলেও পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই বলেন আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক্সের কোনও কিছু উৎপাদন না হওয়ার ফলে আজকে এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে দেশকে। মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুতের আলো সবকিছুই নতুন টেকনোলজিতে তৈরি। তার জন্য পুরনো বিদ্যুতের টেকনোলজির সঙ্গে এখনকার কোনও মিল নেই। অতএব বর্তমানের চায়না জিনিসগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে আর পাওয়া নাও যেতে পারে। অতএব, দ্বিগুণ খরচের সম্মুখীন হবেন সাধারণ মানুষ।
advertisement
চায়না ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদির উপর নির্ভর করে পশ্চিমবাংলায় এক কোটির বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের জীবিকা আজ অন্ধকারময় হয়ে উঠছে। করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে যদি আরও ছ'মাসের বেশি আতঙ্ক থাকে তাহলে আমাদের দেশে আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে । নতুন প্রজন্মের দাবি, আমাদের দেশে তৈরি হোক ইলেকট্রনিক্স হাব। এই দেশে যদি উৎপাদন না হয় তাহলে অন্য দেশের নীতির উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না আমাদের দেশকে। বিএসসি পাশ আহমেদের কথায়, পেটের দায়ে মোবাইল সরানোর কাজ করেন তিনি। চাকরি নেই। দোকানের ভাড়া মাসে ২০ হাজার টাকা (শুধু একটি টেবিল) তারপর ঘর ভাড়া। এভাবে চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস আক্রমণ না করলেও তো অনাহারে মরা পড়তে হবে। এই একই কথা সবাইয়ের। প্রতিটা পার্টসের দাম বাড়ার ফলে ও সরবরাহ না থাকার ফলে কাজ কমে গিয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
দেশে শিল্প নেই, চিনা দ্রব্য আসা বন্ধ, পেটে লাথি নাগরিকের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement