ABIR GHOSHAL
#কলকাতা: করোনার জের এবার হু হু করে কমতে শুরু করল স্টেশনের ফুড প্লাজায়। যাত্রীদের সুরক্ষায় এবার ফুড প্লাজায় ঢোকার আগে চেক করা হচ্ছে থারমাল স্ক্যানার দিয়ে। যাদের নেই মাস্ক। তাদের দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে তারপরেই মিলছে ফুড কাউন্টারে ঢোকার অনুমতি।
হাওড়া ও শিয়ালদহ দু'টিই আমাদের রাজ্যের অন্যতম বড় রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লোক যাতায়াত করে। যদিও করোনার জেরে ব্যাপক হারে কমতে শুরু করেছে যাত্রী সংখ্যা। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে স্টেশনের ফুড প্লাজা গুলিতে। হাওড়া ও শিয়ালদহ ফুড প্লাজায় দিনের বেশিরভাগ সময় পা রাখা দায় হয়। কাউন্টারে লক্ষ্য করা যায় লম্বা লাইন। এখন ঠিক বিপরীত ছবি এই দুই স্টেশনের ফুড প্লাজায় দেখা গেল।
হিসেব বলছে, হাওড়া ফুড প্লাজায় পিক আওয়ারে ক্রেতা হয় ৫০০০ জন। করোনার জেরে সেই সংখ্যা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫০০ জন। শিয়ালদহ ফুড প্লাজায় পিক আওয়ারে লোক হয় ১৫০০ জন করে। করোনার জেরে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আড়াইশো থেকে তিনশো জন। ফলে ক্রমশ লোকসান হতে শুরু করেছে ফুড প্লাজাগুলিতে। তবে যাত্রীদের সচেতনতায় এবার নিজেরাই উদ্যোগ নিল ফুড প্লাজাগুলি। যাত্রীদের ফুড প্লাজায় ঢোকার সময়ে তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। যাঁদের মাস্ক নেই তাদের দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। এর পাশাপাশি থারমাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তবেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি ঘন্টায় পরিষ্কার করা হচ্ছে ফ্লোর। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে চেয়ার, টেবিল, হ্যান্ডরেল সহ প্লাজার প্রতিটি কোণ।
যে বা যাঁরা রান্নার কাজে যুক্ত আছেন তাঁদের প্রতিদিন শারীরিক পরীক্ষা করে তবেই কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফুড প্লাজার অ্যাডমিনেস্ট্রেটর শংকর নাগ জানান, "আমরা সচেতন থাকার জন্য সমস্ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কতটা সচেতন মানুষ হবেন সেটা তাদের ওপরই আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। তবে মাস্ক থেকে স্যানিটাইজার সবটাই আমরা দিচ্ছি।" ফুড প্লাজার এই কাজে খুশি ক্রেতারাও।
আসানসোল যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রী ফারহা নুর। তিনি বলেন, "চিকিৎসকরা তো আমাদের এক জায়গায় সবাইকে জমায়েত হতে বারণ করছেন এখানে তো কিছু করার নেই। তবে যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে আমরা খুশি।" ফুড প্লাজার এই আচরণে খুশি বিভিন্ন বয়সের যাত্রীরাই। তবে সংক্রমণ এড়াতে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্লাসে জল দেওয়া। ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে জলের বোতল। যা একবার ব্যবহারের পরে ফেলে দেওয়া যায়। তবে ক্রেতা কমার পাশাপাশি কমেছে চিকেনের আইটেম বিক্রি। করোনা নিয়ে চিকেন সংক্রান্ত যে ভুল তথ্য রটেছে তাতে চিকেনের খাবার বিক্রি করতে সমস্যায় পড়ছে ফুড প্লাজা।