Black Fungus Scare : করোনা হলেই 'ফাঙ্গাস' আতঙ্ক? গুজব এড়িয়ে 'মিউকরমাইকোসিস' নিয়ে সত্যি জানুন, শুনুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

Last Updated:

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) নিয়ে কিছু চলতি ধারণা আছে সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যা এই নিয়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। রয়েছে গুজবও (Black Fungus Rumors)। সেগুলি এড়িয়ে বুঝে নিতে হবে ভয় কোথায় ও কতোটুকু। সাহায্য করলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক।

সত্যি কোনটা? গুজব কোনটা? কী ধরণের সতর্কতা জরুরি? ভয় কাদের বেশি এবং কেন? এসব সাধারণের প্রশ্ন নিয়েই নিউজ 18 কথা বলেছিল শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
প্রশ্ন : এই ফাঙ্গাস সংক্রমণগুলি মূলত কেন হয় বা হচ্ছে?
advertisement
উত্তর : আসলে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ফাংগাস এরা সব সময়ই কিন্তু আমাদের আসে পাশে রয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও আমরা সংক্রমিত হই না। এদের দ্বারা আমরা তখনই সংক্রমিত হই যখন আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বা কোনও অন্য রোগের কারণে সেই ক্ষমতা 'চ্যালেঞ্জড' হয়।
advertisement
এখন দেখতে হবে কী কী কারণে সাধারণত আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দেখা গিয়েছে মূলত নিম্নলিখিত কারণগুলির ক্ষেত্রে মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
১) বয়স হলে ২) সুগার থাকলে ৩) স্টেরয়েড থাকে, ৪) কেউ অনেকদিন আই সি ইউ তে ভর্তি থাকলে, ৫)  দীর্ঘ সময় অ্যান্টি বায়োটিক চললে এবং ৬) এমন কোনও রোগ যদি হয় যে রোগে প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কমে যায়। যেমন, এইচ আই ভি, ক্যান্সারের কেমো থেরাপি, ডায়ালিসিস ইত্যাদি।
advertisement
এই ধরণের পরিস্থিতিতে দেখা যায় শরীরের আশেপাশের জীবাণুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। তখন বিভিন্ন জীবাণু আক্রমণ করতে পারে।
এমনই একটি জীবাণু হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যাকে 'মিউকরমাইকোসিস' বলে। এটি মাটিতে থাকে। যখন কোনও কোভিড আক্রান্ত রোগী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকেন। হাসপাতালে থাকেন। তাঁর প্রতিরোধ ক্ষমতা তছনছ হয়ে যায়। তাঁর স্টেরয়েড চলে দীর্ঘদিন। সুগার হাই হয়ে যায়। ক্রমশ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে, তখন এই আপাত নিরীহ ছত্রাক কিন্তু তাঁকে আক্রমণ করতে পারে।
advertisement
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু ভাবাচ্ছে... প্রতীকী ছবি ৷ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু ভাবাচ্ছে... প্রতীকী ছবি ৷
প্রশ্ন : এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ কী মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে? কতটা ক্ষতিকর হতে পারে এর আক্রমণ?
উত্তর : এই ফাঙ্গাস দেহের বিভিন্ন জায়গাকে আক্রমণ করতে পারে। এরা মুখ মণ্ডলের বিভিন্ন অংশকে আক্রমণ করতে পারে। একে সাইনোসাইটিস বলে। এর ফলে নাক থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ফুসফুসে আক্রমণ করতে পারে সেক্ষেত্রে নিউমনিয়া বেড়ে যেতে পারে। রক্তের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি মস্তিষ্ককেও আক্রমণ করতে পারে। তাতে এনকেফেলাইটিস, মেনেনজাইটিস হয়ে রোগী মারা পর্যন্ত যেতে পারে।
advertisement
প্রশ্ন: অর্থাৎ যে কোনও কোভিড রোগীর ক্ষেত্রেই যে এই ফাঙ্গাসের হামলা হতে পারে এমনটা নয়? 
উত্তর: একেবারেই না। কারও কোভিড হয়েছে কিন্তু তাঁর প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট ভালই রয়েছে এমন ক্ষেত্রে কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণের আশঙ্কা মোটেও থাকে না। এমন রোগীর বা তাঁদের পরিবারের আতঙ্কে কাটানোর কোনও কারণ নেই।
প্রশ্ন : ফলের গায়ের ফাঙ্গাস থেকে বা পশু-পাখির মাংস থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়ায়, এমন ধারণার কী আদৌ কোনও ভিত্তি আছে?
উত্তর : একেবারেই নেই। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কিছু চলতি ধারণা আছে সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যা এই নিয়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। ফলের গায়ের ফাঙ্গাস যাকে 'এসপারজিলাস' বলা হয় তার থেকেও রোগীদের ভয় থাকে। তবে শুধু তখন যখন তাঁর সুগার ভয়ংকর বেড়ে যায় বা দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড চলে, ডায়ালিসিস চলছে, বা অন্য কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরকম ক্ষেত্রে এই ফাংগাসদের আক্রমণের আশঙ্কা কিন্তু অত্যন্ত বেশি।
advertisement
প্রশ্ন : এক্ষেত্রে চিকিৎসার পদ্ধতি কেমন হয়?
উত্তর : এর জন্য একটি বিশেষ ওষুধ আমরা দিই। এই ওষুধটির নাম 'অ্যামফোটেরিসিন বি'। অনেক সময় রোগী তাতে সুস্থ হয় ওঠেন। কিন্তু অনেক সময় রোগী মারাও যান। বিশেষত সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে এই সংক্রমণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, হোয়াইট ফাঙ্গাস এরা চিরকাল ছিল। নতুন কোনও আবিষ্কার নয়। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না কমলে এগুলো কোনও ক্ষতিও করে না। এমনকী এর থেকে সংক্রমণ এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যাক্তির গায়ে ছড়ায় না। এরা মহামারীর কারণ হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কাও নেই।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Black Fungus Scare : করোনা হলেই 'ফাঙ্গাস' আতঙ্ক? গুজব এড়িয়ে 'মিউকরমাইকোসিস' নিয়ে সত্যি জানুন, শুনুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement