#বর্ধমানঃ বদলে যাচ্ছে পেশা। লক ডাউনে বর্ধমানে বাড়ছে সবজি বিক্রেতার সংখ্যা। অনেকেই আলু পটল নিয়ে রাস্তার ধারে পসরা সাজাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার টোটোতে সবজির নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন। বাড়ির দরজায় দরজায় ঘুরে সবজি বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। লক ডাউনের জেরে ছোটোখাটো অনেক কাজই বন্ধ। কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকের সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে দৈনন্দিন প্রয়োজনের কথা ভেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে সবজি বেচাকেনায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। কাজ হারিয়ে অনেকে তাই সবজি বিক্রি করে সংসার চালানোর পথ বেছে নিয়েছেন। অনেকে বাড়ি বাড়ি সবজি ফেরি করছেন। এতে বাসিন্দাদেরও সুবিধা হচ্ছে। তাঁরা বাড়ির দরজায় টাটকা সবজি পাচ্ছেন। লক ডাউন ভেঙে বাইরে বেরনোর প্রয়োজন পড়ছে না।
সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে লক ডাউন অনেকের পেশা বদলে দিয়েছে। যাঁরা ভ্যান রিক্সা, সাইকেল রিক্সা, ই-রিক্সা চালিয়ে উপার্জন করতেন তাঁদের অনেকেই এখন সবজি বিক্রি করে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে সবজির পসরা দিচ্ছেন। বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ বাজার মোড়, খোসবাগান, বড়বাজার, বি সি রোডে অনেকেই সবজির পসরা সাজাচ্ছেন। তাঁরা অনেকেই এতোদিন অন্য পেশায় যুক্ত ছিলেন। উপায়ান্তর না দেখে অনেকেই টোটো বা ভ্যান রিকশয় সবজি সাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় দরজায় দরজায় বিক্রি করছেন। লক ডাউনের জেরে বেশির ভাগ বাসিন্দাই গৃহবন্দি। করোনা ঠেকাতে সচেতন সকলেই। বাড়ির দরজায় টাটকা সবজি মাছ মেলায় অনেকেই আর বাইরে বের হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না।
ফুল বিক্রিতে সরকার ছাড় দেওয়ার পর এখন ফুলেরও পসরা সাজাচ্ছেন অনেকে। পুজোর জন্য ফুল বেলপাতার চাহিদা রয়েছে যথেষ্টই। কেউ কেউ সকালে সবজি বিক্রির পর বিকেলে ফুলের পসরাও সাজাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, লক ডাউন চলছে। কাজ নেই। কিন্তু উপার্জন না থাকলে খাব কি? আপাতত তাই সবজি বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করার চেষ্টা করছি। তবে সবজির দাম কম। তার ওপর অনেকেই নেমে পড়েছেন। তাই আয় কম হচ্ছে। তবুও যেটুকু হচ্ছে তাতে এখন দৈনন্দিন খরচ উঠলেই অনেক। লক ডাউন উঠলে তখন আবার দেখা যাবে। এখন এভাবেই দিন চালাতে হবে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।