#কলকাতা : শহরের বয়স্ক নাগরিকদের জন্য মানবিক উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা(KMC)। এবার থেকে অসুস্থ, শয্যাশায়ী, আশি বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়েই করোনার টিকা দেওয়া হবে। শনিবার ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে এমনটাই ঘোষণা করলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
কড়া বিধিনিষেধে রাজ্যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। তবে করোনা রুখতে কোভিডবিধি মানার পাশাপাশি টীকাকরণেও জোর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার টিকাকরণ সেন্টারে এসে টিকা (Kolkata Covid-19 Vaccination) নিতে পারছেন না বয়স্ক এবং শয্যাশায়ী কিংবা অসুস্থরা। এমনকী ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানেও অনেক প্রবীণ নাগরিক ফোন করে তাঁদের এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। আর সেকারণেই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। এদিন ফিরহাদ হাকিম জানালেন, যাঁরা ৮০ বছরের ঊর্ধ্ব তাঁদেরই কেবলমাত্র বাড়ি গিয়ে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা শয্যাশায়ী এবং অসুস্থ, তাঁদেরও বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেবেন পুরসভার কর্মীরা। এঁদের প্রত্যেককেই ‘স্পেশ্যাল কেস’ হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তবে এই কর্মসূচিতে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এদিন ফিরহাদ জানান, বাড়ির আশি বছরের বয়স্কদের ঊর্ধ্ব কিংবা শয্যাশায়ীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই বাড়ির সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের আগে থেকেই ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে। এরপর পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে যাঁকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন তাঁর আধার কার্ডের জেরক্স এবং অরিজিনাল সঙ্গে নিতে হবে। আর ৬০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে অসুস্থ বা শয্যাশায়ীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রমাণপত্র নিয়ে জমা দিতে হবে।
যদিও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে নাম লেখালেই সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। পুরসভার কর্মীরা ফোন নম্বর রেখে দেবে, তারপর নির্দিষ্ট সময়ে ফোন করে তাঁরাই এসে দিয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেন, “এটা দুয়ারে ভ্যাকসিন নয়, এটা অসুস্থ, শয্যাশায়ী, এবং প্রবীণদের জন্য কলকাতা পুরসভার মানবিক প্রয়াস। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Covid-19 vaccination, Firhad Hakim, KMC