করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে৷ আর এই সময় ঋতু পরিবর্তনের ফলে সাধারণ ফ্লু হয়েই থাকে৷ কিন্তু জ্বর-হাঁচি-কাশি হলেই বাড়তি টেনশন হচ্ছে৷ কী করবেন এই সময় জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ অভ্রজিত রায়৷
প্রশ্ন- এই সময় তো সাধারণ ফ্লু হয়৷ সর্দি-হাঁচি-কাশি-জ্বর৷ অনেকের তো আবার হাঁপানিও থাকে৷ তাই কতটা সজাগ থাকতে হবে?
উত্তর- বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন৷ চাপা সর্দি, গলা ব্যাথা বা নাক দিয়ে খুব বেশি সর্দি না বেরলে একটু সজাগ হতে হবে৷ তার সঙ্গে অবশ্য কোথায় কোথায় গিয়েছেন, বিদেশ থেকে ফেরা কারও সংস্পর্ষে এসেছেন কিনা, এগুলো খেয়াল রাখতে হবে৷ এখন তো একথা সবাই জানে৷ সবাই সতর্কও হয়েছেন৷ যেভাবে সরকার প্রচার চালাচ্ছে তারপর তো বটেই৷
প্রশ্ন- যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য বিশেষভাবে চিন্তার এই করোনা ভাইরাস৷ শিশুদেরও তো ইমুউনিটি কম৷ তাহলে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমের কথা কেন বলা হচ্ছে?
উত্তর- তেমনটা নয়৷ যারা ইমিউনো কম্প্রোমাইজ (প্ররিরোধ ক্ষমতা কম বা দুর্বল) তাদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা থাকছে৷ যেমন বিভিন্ন রকমের বাতের রোগী, বিশেষ করে যাদের ক্রনিক সমস্যা, তাদের জন্যও এই রোগ বিপজ্জনক হতে পারে৷ এছাড়া তো হার্ট, ডায়েবেটিস, ব্লাড প্রেশার হাই, এদের জন্য খারাপ হতে পারে৷
প্রশ্ন- শরীরের ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিছু বাড়তি করা যেতে পারে? মানে কিছু নির্দিষ্ট খাওয়া বা ব্যায়ম?
উত্তর- করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মতো শারীরিক প্রতিরোধ বাড়ানোর বিশেষ কিছু নেই৷ নতুন টিকার জন্য গবেষণা চলছে৷
প্রশ্ন- আগেই প্রশ্ন করছিলাম যে এ সময় শরীর খারাপ তো হয়৷ সেক্ষেত্রে ডাক্তারের চেম্বারে গেলে কতটা সতর্ক থাকতে হবে?
উত্তর- ভীষণভাবেই সতর্ক থাকতে হবে৷ চিকিৎসক নিজেও সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন নিশ্চয়ই৷ অ্যান্টিসেপ্টিক, স্যানিটাইজার ছাড়াও নানা রকমের হাইজিনিক ব্যবস্থা থাকবে চেম্বারে, এটাই কাম্য৷ আর যদি কোনও রকম সন্দেহ হয় তাহলে ক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে৷ এতে কাজ হবে৷ তবে অবশ্যই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির ওপর পুরোটা নির্ভর করবে৷
প্রশ্ন- করোনার কোনও রকম উপসর্গ থাকলে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হচ্ছে৷ তবে বিদেশ থেকে এসেছেন এমন অনেকের শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না৷ ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকলে কী কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়তে পারে?
উত্তর- হ্যাঁ৷ এই সংক্রমণ হলে ১৪ দিনের মধ্যে নিশ্চিত ধরা পড়বে৷ না হলে তো সমস্যাই নেই৷
প্রশ্ন- বাড়িতে কীভাবে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইন সম্ভব?
উত্তর- খেয়াল রাখতে হবে যে বয়স্ক যারা রয়েছেন তারা আলাদা ঘরে রয়েছে কিনা এবং তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা বিশেষভাবে প্রয়োজন৷
প্রশ্ন- কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনের তফাৎ ঠিক কোন জায়গায়?
উত্তর- আইসোলেশন হল যাদের শরীরে সংক্রমণ হয়েছে তাদেরকে সেই সব রোগীর থেকে আলাদা রাখা যাদের এই রোগ হয়নি৷ অন্যদিকে যেসব রোগীর ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখাই হল কোয়ারেন্টাইন৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19