Threat Happy Hypoxia: অতর্কিতে প্রাণ কাড়ছে 'সাইলেন্ট হ্যাপি হাইপোক্সিয়া', করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণ প্রজন্মের ত্রাস
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
একজন রোগী হয় তো খুব তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন এবং অন্যজনের ক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে।
#নয়াদিল্লি: ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই প্রবীণদের তুলনায় তরুণদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে। যেটা করোনার প্রথম ঢেউয়ে লক্ষ্য করা যায়নি। ICMR জানিয়েছে. এটা হতে পারে, কারণ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে তারা বাইরে বেরোতে শুরু করেছিল। এছাড়াও দেশে SARs-COV-2-এর কিছু মিউট্যান্টের কারণেও এটা হতে পারে। তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ক্ষমতা একটু বেশি থাকার কারণে, তারা নিজের শরীরে সংক্রমণ অনুভব করতে একটু সময় নিচ্ছে। এর ফলে যেটা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে জেঁকে বসছে। এই রোগীরা করোনায় আক্রান্ত হলে, তাদের সাইলেন্ট হাইপোক্সিয়ায় (Silent Hypoxia) আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এঁদের দেখে স্বাভাবিক লাগলেও, এই রোগীরা ‘হ্যাপি হাইপোক্সিয়া’ (Happy Hypoxia) আক্রান্ত হতে পারেন বলে চিকিৎসকরা বলছেন।
গবেষকদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই রোগীরা করোনায় আক্রান্ত হলে, তাঁদের সাইলেন্ট হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় । তবে ব্যক্তিবিশেষে তারতম্যও দেখা যায়। একজন রোগী হয় তো খুব তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন এবং অন্যজনের ক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে। ২০২০ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ রেসপিরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিনে (American Journal of Respiratory and Critical Care Medicine) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় রোগীর এই প্রবণতাকেই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া বলা হয়েছে।
advertisement
India Today-কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে বিহারের ভাগলপুর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের (Jawaharlal Nehru Medical College, Bhagalpur) মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: রাজকমল চৌধুরি (Rajkamal Choudhry) বলেছেন যে, কিছু কোভিড রোগী হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন যাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ২০ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তিনি অনুমান করেই বলেছেন ভারতের করোনারোগী যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ছে, তাঁরা হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত, আর এটা প্রমাণিত সত্য হলে মারাত্মক আকার নিতে পারে। Delhi-NCR-এর চিকিৎসকরা তরুণদের মধ্যে হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার প্রবণতা বেশি সংখ্যায় পেয়েছেন যা কি না পরে মৃত্যুর একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
advertisement
The Mint-কে মাসিনা হাসপাতালের (Masina Hospital to The Mint) মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. সত্যেন্দ্র নাথ মেহরা (Dr Satyendra Nath Mehra) জানিয়েছেন, “বেশিরভাগ অল্প বয়সের রোগীরা বুঝতে পারছেন না যে তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে এবং তাঁরা কোনও কিছু না বুঝেই তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পর হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পেতেই বিপত্তি বেড়ে যাচ্ছে”। এই রোগে আক্রান্তদের ঠোঁটের রঙ বদলে নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে। ত্বকের রঙ বদলে লাল বা পার্পল রঙের হয়ে যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম না করেও ঘাম হওয়া হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার অন্যতম লক্ষণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
view commentsLocation :
First Published :
May 14, 2021 2:57 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Threat Happy Hypoxia: অতর্কিতে প্রাণ কাড়ছে 'সাইলেন্ট হ্যাপি হাইপোক্সিয়া', করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণ প্রজন্মের ত্রাস