"আমফান ও করোনা সঙ্কট থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্ত করুন", দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহে পুজো দিয়ে প্রার্থনা সস্ত্রীক রাজ্যপালের

Last Updated:

মা ভবতারিণীকে সস্ত্রীক পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মন্দির কমিটিকে ১ লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেন রাজ্যপাল। গর্ভগৃহে ঢুকে মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন স্বস্ত্রীক জগদীপ ধনখড়

#কলকাতা: গত সপ্তাহেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির।শনিবার থেকেই একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে মা ভবতারিণীর দরজা। বুধবার সস্ত্রীক মা ভবতারিণীকে পুজো দিতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এসে পৌঁছান সস্ত্রীক রাজ্যপাল।
মন্দিরে এসেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসাধারণের জন্য কি কি ব্যবস্থা করা হয়েছে মন্দির কমিটির তরফ সে তাকে তা দেখানো হয়। শুধু তাই নয় সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার জন্য ৬ ফুট অন্তর অন্তর যে মার্ক করা হয়েছে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য সে সম্পর্কেও রাজ্যপালকে অবহিত করে মন্দির কমিটি। মা ভবতারিণীকে সস্ত্রীক পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মন্দির কমিটিকে ১ লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেন রাজ্যপাল। তার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে মন্দির কমিটির হাতে ২৫০ টি n95 মাস্ক তুলে দেন রাজ্যপাল। পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন," একদিকে আমফান অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দুই এর জেরে রাজ্যবাসী এখন চরম সঙ্কটে। তাই প্রার্থনা করে গেলাম যাতে রাজ্যবাসীকে এই দুই সঙ্কট থেকে মুক্তি দেন তাড়াতাড়ি।"
advertisement
শনিবার থেকে খুলে গেছে মা ভবতারিণীর দরজা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢুকতে গেলে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা মেনেই তবেই পুজো দিতে হবে অনুরাগীদের। তাপমাত্রা পরীক্ষা তারপর স্যানিটাইজার টানেল দিয়ে স্যানিটাইজড হওয়া এবং সর্বশেষে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য মন্দির চত্বরে নির্দিষ্ট করে মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় মন্দির চত্বরে অর্থাৎ মন্দিরের বাইরে থেকে মন্দিরের ভেতরে একসঙ্গে একাধিক ভক্তদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে মন্দিরের বাইরে ও যাতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে না দাঁড়ায় তার জন্য পুলিশের উদ্যোগেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লাইনে দাঁড় করানো হচ্ছে। যদিও শনিবার থেকে সর্বসাধারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দির খুলে দেওয়া হলেও বুধবার পর্যন্ত মন্দিরে বেশি ভিড় হয়নি।
advertisement
advertisement
করোনা আবহে মন্দির খুললেও মন্দির কমিটির তরফ এ আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি পর্যায়ে তিন ঘন্টা পরে মন্দির খোলা থাকবে। সকাল৭ টা থেকে ১০টাএবং বিকেলে দুপুর ৩টে ৩০ থেকে সন্ধে সাড়ে ছটা পর্যন্ত মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন দর্শনার্থীরা। তবে ফুলের মধ্যে কোন ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে মন্দির কমিটির তরফ আগেই জানিয়ে দিও দেওয়া হয়েছে কোনভাবেই ফুল নিয়ে পুজো দিতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। তার বদলে শুধুমাত্র প্রসাদ বা মিষ্টি নিয়ে পুজো দিতে পারবেন। পুরোহিতদের পিপিই কিট পড়ে মন্দিরের ভেতরে পুজো দেওয়া নেওয়ার কাজ করতে হচ্ছে।
advertisement
বুধবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এসে মন্দির কমিটির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল। এদিন তিনি পুজো দেওয়ার পর বলেন " মন্দির কমিটির তরফ সে যেভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি সহ একাধিক ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতিতে তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।" তিনি অবশ্যই দিন ধর্মীয় স্থানে এসে কোন রাজনৈতিক মন্তব্য বা কোনো প্রশাসনিক মন্তব্য করতে চাননি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের একসঙ্গে কাজ করার কথা তিনি এদিন ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন " রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে একসঙ্গে হয়ে কাজ করতে হবে। তেমনি একদিন কেন্দ্রকেও রাজ্যকে একদিন নিয়ে কাজ করতে হবে।" সবমিলিয়ে বুধবার মিনিট কুড়ি দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দির এরপর বেলুড়মঠে ও যান সস্ত্রীক রাজ্যপাল।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
"আমফান ও করোনা সঙ্কট থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্ত করুন", দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহে পুজো দিয়ে প্রার্থনা সস্ত্রীক রাজ্যপালের
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement