#বর্ধমান: পুরভোট নয়, আপাতত করোনা ঠেকাতে একজোট হোক রাজনৈতিক দলগুলি। এমনই মত পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দাদের। রাজ্য জুড়ে পুরভোটের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তার আঁচ অনুভূত হচ্ছিল বর্ধমান-সহ জেলার অন্যান্য পুর এলাকাগুলিতেও। কোমর বেঁধে নামতে উদ্যোগী হচ্ছিল রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় সেসব এখন থমকে গিয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, আগে মারন ভাইরাস নির্মূল হোক। তারপর পুরভোটের কথা ভাবা যাবে।
পুরভোট কবে হবে তা নিয়ে দোটানায় রাজ্য সরকার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সকলেই। নিয়মিত তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান, গুসকরা, কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি পুরসভায় নির্বাচন হবে। কে কোথায় প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল শহরগুলিতে। কোথাও কোথাও প্রচার, দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু করোনার জেরে এখন সব থমকে গিয়েছে।
বর্ধমানের বাসিন্দারা বলছেন, এমনিতেই করোনার আতঙ্কে জড়োসড়ো বাসিন্দারা। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। আদালত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ভোট করা কিভাবে সম্ভব! তাঁরা বলছেন, দিন দিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জোগাড় করতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বিশেষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই অবস্থায় ভোটের মানসিকতা কারও নেই। এখন শুধু বাঁচার লড়াই। প্রাণে বাঁচলে তবেই তো ভোট।
সচেতন বাসিন্দারা বলছেন, ভোট মানেই জমায়েত। জনসভা। একসঙ্গে অনেকের সমাবেশ। প্রচার পর্বের পর ভোটের লাইন। ভোট গণনা। সবই তো একসঙ্গে অনেকের মিলিত কাজ। সরকার তো জনবহুল এলাকা এড়িয়ে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। তাই এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পুর ভোট সম্ভব নয়। আপাতত সব রাজনৈতিক দলকে এক সঙ্গে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কিভাবে এই মারন ভাইরাস মোকাবিলা করা যায় সে ব্যাপারে বাসিন্দাদের সচেতন করাই বেশি জরুরি।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Municipal Election