#নয়াদিল্লি: করোনা আবহে কবে হতে পারে সিবিএসই,NEET,JEE মেন এর মত পরীক্ষাগুলি তা সোমবারই কার্যত স্পষ্ট হতে পারে। এমনটাই খবর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সূত্রে। বিশেষত সিবিএসই বোর্ড কিভাবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি নেবে তা নিয়ে সোমবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে বোর্ড।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিমকোর্ট মঙ্গলবার এর মধ্যে সিবিএসই বোর্ডের মতামত চেয়েছে বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি কিভাবে নেবে তা নিয়ে জানানোর জন্য। অভিভাবকদের তরফে সিবিএসই এর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি বাতিলের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আইসিএসই ও আইএসসি বাকি পরীক্ষাগুলো নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকরা। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টকে পরীক্ষা নেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে দুই দফা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে আইসিএসই বোর্ডের তরফে। সে ক্ষেত্রে সিবিএসসি বোর্ডের তরফেও নির্দিষ্টভাবে কয়েক দফা প্রস্তাব বাকি থাকা পরীক্ষা গুলি নিয়ে অভিভাবকদের কাছে রাখতে পারে বলেই কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর।
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। প্রত্যেকদিনই দেশজুড়ে ১০ হাজারের ওপরে আক্রান্ত হচ্ছে করোনাভাইরাস এ। যদিও জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই সি বি এস ই এর বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি নেওয়ার ঘোষণা ইতিমধ্যেই করেছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। পরীক্ষাসূচিও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে সিবিএসই বোর্ডের তরফে। শুধু তাই নয় কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র গুলি এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেবে তার বিস্তারিত গাইড লাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে সিবিএসই বোর্ডের তরফে। কিন্তু একদিকে যেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রত্যেকদিন এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিভাবকরা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ফি মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এর মধ্যে সিবিএসই বোর্ড কে তাদের মতামত জানাতে বলেছে। একই প্রসঙ্গে বম্বে হাইকোর্ট আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষা নিয়েও আইসিএসই বোর্ড কে তাদের মতামত জানাতে বলেছিল। তারপর বোর্ড এর তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এবং যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা ইন্টারনাল বিভাগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে মূল্যায়ণ করতে ইচ্ছুক তাদের অভিভাবকরা স্কুল কে যেন জানিয়ে দেয়।
সিবিএসই বোর্ড সূত্রে খবর, এক্ষেত্রেও পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে থেকে দু থেকে তিন দফা প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
প্রথমত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে
দ্বিতীয়তঃ ইন্টারনাল ইভালুয়েশন এর মাধ্যমে বাকি পরীক্ষাগুলো মূল্যায়ন করা হতে পারে
তৃতীয়তঃ আগের পরীক্ষা গুলিতে প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে নম্বর দেওয়া হতে পারে।
গত সপ্তাহে এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও করেন। অন্যদিকে সিবিএসই পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা 'নিট' ও JEE মেন পরীক্ষার ভবিষ্যৎও। ইতিমধ্যেই এই দুই প্রবেশিকা পরীক্ষার দিনক্ষণ ও ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি তরফে পরীক্ষার দিন এর পাশাপাশি বিস্তারিত গাইড লাইন ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যে হারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে সে দিক থেকে জুলাই মাসের শেষ দিকে এই পরীক্ষার নিয়েও ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে।
সূত্রের খবর সোমবারে এই বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে কেন্দ্রের তরফে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কিভাবে হবে তা নিয়ে কেন্দ্রের বোর্ড গুলির ওপরেও নজর রাখছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন কেন্দ্রের এই বোর্ড গুলির পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রত্যেক পদক্ষেপের উপরেই রাজ্য নজর রাখছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর।২৩শে জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কে সিবিএসই বোর্ড তাদের মতামত জানাবে পরীক্ষা নিয়ে। সেক্ষেত্রে তাদের মতামত জানানোর পরপরই রাজ্য সরকারের কাছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনা নিয়ে ধোঁয়াশা কেটে যেতে পারে বলে মনে করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়