বিপুল চাহিদা তবু মিলছে না করোনায় শেষ ভরসা রেমডিসিভির, কালো বাজারে ৬ গুণ দাম
- Published by:Arka Deb
- news18 bangla
Last Updated:
ঘাটতির মধ্যেই একটা অংশ কালোবাজারে চলে গিয়েছে, চড়া দাম চাইছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
#কলকাতা: গত সপ্তাহে করোনা ধরা পড়েছে ৩৮ বছর বয়সী রাজীবের। মুম্বইয়ের নামজাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা পরিস্থিতি বুঝে অক্সিজেন চালিয়ে দেন, দাওয়াই হিসেবে রেমডিসিভির চালু করার কথা বলেন।
পাঁচ দিন রেমডিসিভির চলার কথা রাজীবের। প্রথম দিন ২০০ মিলিগ্রাম ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকাশান, পরের দিন গুলিতে ১০০ মিলিগ্রাম করে। দ্রুত ওষুধ কিনতে গিয়ে আকাশ থেকে পড়েন রাজীবের পরিবার। হাসপাতাল জানায় স্টক ফুরিয়েছে, বাইরের বেশির ভাগ দোকানই তাদের ফিরিয়ে দেয়। অনেকে বলেন পাঁচদিন অপেক্ষা করতে।
এই সময়ে কালোবাজারিরা আসরে নেমে দর হাঁকা শুরু করেন। এক ডোজ (১০০ মিলিগ্রাম) রেমডিসিভির ৩০ হাজার টাকা। প্রভাব খাটিয়ে রাজীবের জন্য হেটেরো নামক রেমডিসিভির উৎপাদকের ঘর থেকে দু' ডোজ ওষুধ জোগাড় করা যায়। কিন্তু সকলের ক্ষমতা রাজীবের পরিবারের মতো নয়। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তুমুল চাহিদার মুখে রীতিমতো আকাল লেগছে রেমডিসিভিরের। মূল দামের তুলনায় ছ'গুণ দামে ওষুধ বিক্রি করছে কালোবাজারিরা। মুম্বই-ই নয়, রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের বহু জায়গাতেই এই পরিস্থিতি।
advertisement
advertisement
দিল্লি-মুম্বইয়ে ম্যাক্স বা ফর্টিজের মতো বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আসন সংখ্যা অন্যান্য হাসপাতালের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্টই জানাচ্ছেন, রেমডিসিভির নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কথায়, এ কথা ঠিক যে বাজারে রেমডিসিভির নেই। ঘাটতির মধ্যেই একটা অংশ কালোবাজারে চলে গিয়েছে, চড়া দাম চাইছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্ত অন্তত আড়াই লক্ষ। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের পাশাপাশি রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন মিলেছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে।
advertisement
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়ে হেটেরো ও সিপ্লা উৎপাদনে নামে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না কেউই। সিপ্লার রেমডিসিভিরের দাম প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম ৪০০০টাকা। আর হেটেরোর একই পরিমাণ রেমডিসিভিরের বাজারমূল্য ৫৪০০ টাকা। কিন্তু সেই টাকা খরচ করলেও ওষুধ পাওয়া যাবে না।
হেটেরো সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে, রেমডিসিভির প্রস্তুত করা জটিল প্রক্রিয়া, ফলে সময় লাগে বেশি। জুলাইয়ের মাঝামাঝি বাজারে ১ লক্ষ রেমডিসিভির সরবরাহ করবে হেটরো, জানাচ্ছে সংস্থার মুখপাত্র।
Location :
First Published :
July 07, 2020 10:26 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
বিপুল চাহিদা তবু মিলছে না করোনায় শেষ ভরসা রেমডিসিভির, কালো বাজারে ৬ গুণ দাম