করোনা আতঙ্কের জের, কলকাতায় PPE পরে সেলুনে কাজ করছেন কর্মীরা, মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঢাকার ব্যবস্থা হয়েছে কর্মীদের। পিপিই ছাড়াও মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, ফেস গার্ড পরে কাজ করছেন সবাই।
#কলকাতা: লকডাউনের মধ্যেই শুরু হল সেলুন পরিষেবা। গতকাল, বুধবার থেকেই শহরের বেশিরভাগ পার্লার, স্যালোঁ খুলে গিয়েছে। প্রথম দিনই দেখা গিয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চুল, দাড়ি কাটতে ব্যস্ত মানুষজন। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের জাভেদ হাবিবের একটি আউটলেট সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান। প্রত্যেক কর্মী পিপিই পোশাক পরে কাজ করছেন।
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঢাকার ব্যবস্থা হয়েছে কর্মীদের। পিপিই ছাড়াও মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, ফেস গার্ড পরে কাজ করছেন সবাই। কোনও ব্যক্তি আসলে প্রথমেই তাঁর থার্মাল চেকিং করে শরীরের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হচ্ছে। হাত স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিতে বলা হচ্ছে। মাস্ক পরে আসাটা বাধ্যতামূলক। একান্ত কোনও ব্যক্তি মাস্ক না পরে আসলে দোকান থেকেই তাকে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। চুল কাটার সময় মাস্ক পরে থাকাটা বাধ্যতামূলক। দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে কাস্টমারের মাস্ক খুলে কাজ করছেন কর্মীরা। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে আগে অনুমতি নেওয়া হচ্ছে তিনি মাস্ক খুলে দাড়ি কাটাতে চান কিনা। সম্মতি পেলে তবেই দাড়ি কাটা হচ্ছে।
advertisement

advertisement
প্রত্যেক কাস্টমারের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের শিট গুলি একবার ব্যবহারের পরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। চেয়ার থেকে কাঁচি, চিরুনি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। দু’জন ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে বসার ক্ষেত্রে। দোকানের কর্মীরাও পিপিই পোশাক প্রত্যেকদিন পরিবর্তন করছেন।দোকানের ম্যানেজার জানান, " দোকান খুললেও কাস্টমারের সংখ্যা অনেকটাই কম। আর সমস্ত গাইডলাইন মেনে কাজ করতে হচ্ছে বলে বেশি লোককে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখনও রেট বাড়ানো হয়নি। তবে আলোচনা চলছে প্রয়োজনে চুল, দাড়ি কাটার দাম বাড়ানো হতে পারে।"
advertisement

সেলুনে চুল কাটতে আসা এক ব্যক্তি জানান, "যে কোনও জায়গায় যেতে প্রথমে ভয় লাগছিল। তবে জাভেদ হাবিবের এই আউটলেটের পরিষেবা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তবেই এসেছি। যেভাবে প্রত্যেকে নিয়ম মেনে কাজ করছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। দু’মাস চুল কাটিনি। তবে এখন অফিস খুলেছে, তাই চুল না কেটে যাওয়াটা অসম্ভব ছিল। দাড়িটা বাড়িতেই কাটছি।"
advertisement
সব মিলিয়ে লকডাউনের মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব মেনে সেলুন পরিষেবা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ার পথে।
Eeron Roy Barman
view commentsLocation :
First Published :
May 28, 2020 3:32 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
করোনা আতঙ্কের জের, কলকাতায় PPE পরে সেলুনে কাজ করছেন কর্মীরা, মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক