#উহান: ২০১৯ সালের শেষদিকে চিনের ইউহান শহরে প্রথম টের পাওয়া যায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। ২০২০ সালের শুরুর দিক থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে এবং ভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে ক্রমে। সম্প্রতি, চিনের ইউহান শহরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তরফে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, এই শহরে সরকারি হিসেব অনুযায়ী সংক্রমণের যে সংখ্যা, আসলে তা আরও ১০ গুণ বেশি।
চাইনিজ সেন্টার অফ ডিজিজ কনট্রোল বলছে, শহরের মোট ১১ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৪.৪ শতাংশ মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এই হিসেব অনুযায়ী ইউহান শহরে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্য়া ছিল ৪৮০,০০০। অথচ সরকারি হিসেব বলছে, শহরে সংক্রমণ হয়েছিল মাত্র ৫০,০০০।
প্রাথমিক ভাবে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চিন যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার জেরে দেশে এবং বিদেশে কঠিন সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে এদেশের সরকার। গত জানুয়ারি মাসে, দেশের প্রশাসন ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা চাপতে শুরু করে। ঝাং ঝান নামের এক সাংবাদিককে ৪ বছরের কারাদন্ডও দেওয়া হয়, করোনা সংক্রমণে ইউহান শহরের আসল ছবি মানুষের সামনে আনার অপরাধে।
হুয়াং ইয়ানঝং নামের কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনস-এর একজন কর্মকর্তা বলেন, “জানুয়ারির শেষে এবং ফেব্রুয়ারি মাসে, প্রচুর মানুষের কোভিড টেস্ট করানো হয়নি। সিডিসি’র তথ্য অনুযায়ী সংক্রমিতের সংখ্যায় যে অসামঞ্জস্য উঠে এসেছে, তা এই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের ওই ভুলের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
তবে সিডিসি’র রিপোর্ট বলছে, শুধু সঠিক ভাবে টেস্ট করানো হয়নি তা নয়, উপসর্গহীন সংক্রমণ গুলিকেও ধরা হয়নি সরকারি হিসেবে। সে কারণেই, সরকারি হিসেবে সংক্রমিতের সংখ্যা এবং আসল সংক্রমিতের সংখ্যার মধ্যে এই বিস্তর ফারাক।