Cooch Behar: মাধ্যমিকে ভালো ফল, তবুও ভবিষ্যতের চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে অনিমার!
Last Updated:
মাধ্যমিকে ৬৪১ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয় মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের দেবোত্তর পানিগ্রাম এলাকার অনিমা বর্মণ।পরিবারের নিত্যসঙ্গী দারিদ্র্য, এমন অবস্থায় মাধ্যমিকে প্রায় ৯১.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রীতিমত খুশি পানিগ্রাম হাই স্কুলের ছাত্রী অনিমা বর্মণ।
মাথাভাঙ্গা: মাধ্যমিকে ৬৪১ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয় মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের দেবোত্তর পানিগ্রাম এলাকার অনিমা বর্মণ। পরিবারের নিত্যসঙ্গী দারিদ্র্য, এমন অবস্থায় মাধ্যমিকে প্রায় ৯১.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রীতিমত খুশি পানিগ্রাম হাই স্কুলের ছাত্রী অনিমা বর্মণ। তার এত ভালো ফলাফলের কারণে স্কুলের সকল শিক্ষক দারুণ খুশি। স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন অনিমা বরাবরই মেধাবী ছিল। তাই মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করবে নিশ্চিত ছিল। আরও ভালো ফল না হওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষকেরা জানান, \"বাবার মৃত্যুর পর তার ছোট দাদাই পড়াচ্ছেন তাকে। অর্থের অভাবে সেভাবে টিউশন পড়া হয়ে ওঠেনি অনিমার। লকডাউন এর সময় অনলাইন ক্লাসও করতে পারেনি অনিমা। তার পরেও অভাবের সংসার সঙ্গেই লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে অনিমা\"। বাবা প্রয়াত হয়েছেন বছর পাঁচেক আগেই। বড় দাদা সুকুমার বর্মণ কেএলও সংগঠনের সদস্য ছিলেন। ২০০২ সালে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যান বলে জানা গেছে। ছোট দাদা সুভাষ চন্দ্র বর্মন সংসারের হাল ধরে কষ্ট করে বোনের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
অনিমার দাদা সুভাষ চন্দ্র বর্মনের ফোন নম্বর : 8509976062
advertisement
তবে ভালো ফল করেও চিন্তিত সে। হতাশার মেঘ ঘনিয়েছে পরিবারের সদস্যদের চোখে-মুখে। তার কথায় উচ্চশিক্ষার পড়ার খরচ জোগাড় হবে কিভাবে? উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক ব্যবস্থার জন্য তা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তবে সে জানিয়েছে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। অনিমার মা অঞ্জলি বর্মণ জানান, \"মেয়ে ভালো ফল করেছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গ্রামবাসীরা প্রশংসা করছে শুনে ভালো লাগছে। মেয়ের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার স্বপ্ন রয়েছে, কিন্তু তাতে প্রচুর খরচ। ছোট ছেলের যৎসামান্য রোজগারে কোনরকমে সংসার চলে। এখন সংসার চালাবো নাকি মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করব। তাই চিন্তায় রাতে ঘুমোতেই পারি না।\"
advertisement
অনিমা জানায়, \"ইচ্ছা অনুযায়ী সবসময় সবকিছু হয় না। যে বিভাগেই পড়ি না কেন মন দিয়ে পড়বো। আমার স্বপ্ন ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবো।\" দাদা সুভাষ বর্মন বলেন, *মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে হোম গার্ড পদে চাকরির আবেদন করেছি। চাকরি পেলে বোনকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলব এবং বোনকে স্বাবলম্বী করে তুলব।\"
advertisement
অনিমা ও তার দাদা সুভাষ, দুজনেই সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেছে। আর্থিক সহযোগিতা পেলে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা দুজনেই।
advertisement
Sarthak Pandit
Location :
First Published :
June 17, 2022 6:18 PM IST